পারদর্শিতার মানদণ্ড:
১) হাঁসের রেশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণ সনাক্ত করা
২) খাদ্য উপকরণ সমূহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি তথ্য সনাক্ত করা
৩) খাদ্য উপকরনসমূহের গুণগত মান নিশ্চিত করা
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
(গ) প্রয়োজনীয় কাঁচামাল (Raw materials)
কাজের ধারাঃ
১. বাজার ও বিভিন্ন উৎস থেকে হাঁসের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত খাদ্য উপকরণসমূহ সংগ্রহ কর।
২. খাদ্য উপকরণসমূহের সঠিক পুষ্টিমান বই পুস্তক, ম্যাগাজিন, জার্নাল বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করো।
৩. খাদ্য উপাদানসমূহের উৎকৃষ্ট মান যেমন- দানাদার অবস্থা, আর্দ্রতা, পদ, বৰ্ণ ইত্যাদি সঠিক ভাবে আছে কি না যাচাই করো।
বাংলাদেশে সাধারনত নিম্নলিখিত খাদ্য উপাদান সমুহ হাঁসের খাদ্য তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। যাদের পুষ্টিমানের তালিকা নিম্নে প্রদান করা হল-
এছাড়াও পোল্ট্রি খাদ্যে বিভিন্ন প্রকার কৃত্রিম ভিটামিন ও খনিজ উৎস, ছত্রাক ও টক্সিন বাইন্ডার, এনজাইম, কৃত্রিম এমাইনো এসিড ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। যেমন-
ক) ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স, জি এস, ডব্লিউ এস এবং এল
খ) ছত্রাক বাইন্ডার- মোল্ড ষ্টপ, সরবাটক্স
গ) টক্সিন বাইন্ডার-ডট, ইএসবি-৩
ঘ) কৃত্রিম অ্যামাইনো এসিড- লাইসিন, মিথিওনিন
ঙ) ইলেকট্রোলাইট ইত্যাদি
৪. প্রতিটি উপাদানের পুষ্টিমান সঠিকভাবে জেনে নিয়ে মান ও ব্যবহার অনুযায়ী গ্রুপে ভাগ করে লিপিবদ্ধ কর।
৫. এরপর প্রতিটি খাদ্যউপাদানের নমুনা পৃথকভাবে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের জারে রেখে তার গায়ে নাম লিখে রাখ ।
৬. কাজ শেষে কক্ষটি পরিস্কার করে খাদ্য উপাদানসহ প্লাস্টিকের জারগুলো সুন্দর ভাবে শুল্ক ও ঠান্ডা জায়গায় সাজিয়ে রাখ ।
সতর্কতাঃ
১. কোন ভাবেই ভেজাল বা নিম্নমানের খাদ্য উপকরণ সংগ্রহ করা যাবে না।
২. নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে খাদ্যের পুষ্টি উপকরণ সংগ্রহ করতে হবে।
৩. খাদ্য উপকরণসমূহ সঠিকভাবে লেবেলিং করে শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে যাতে সহজে নষ্ট না হয় ।
আরও দেখুন...