পারদর্শিতার মানদন্ড
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২। প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের তালিকা তৈরী করা;
৪ । এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহের অবস্থান চিহ্নিত করে যন্ত্রাংশ সমূহ বিচ্ছিন্ন করা;
৫ । এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের যন্ত্রাংশের ত্রুটি চিহ্নিত করা;
৬। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের ত্রুটিপুর্ন যন্ত্রাংশ স্পেশিফিকেশন অনুযায়ী পরিবর্তন করা;
৭। ত্রুটিপুর্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন / মেরামতের পর সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করা;
৮। মেরামতের পর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে বিধি মোতাবেক বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে চালু করা;
৯। মেজারিং টুলসের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক রিডিং সংগ্রহ ও ডাটা শীটে লিপিবদ্ধ করে ইউনিটটির মেরামত কার্য সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা;
১০ । কাজ শেষে ওয়ার্কপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
১১। অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১২। ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
১৩। কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া ।
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials)
কাজের ধারা
১। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট ফ্লাসিং করো।
ক. কন্ডেনসার,ইভাপোরেটরের এক প্রান্তে নন রির্টান ভাল্ভ লাগাই এবং ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে প্রেসার দেও।
খ. অপর প্রান্ত আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরি। যখন প্রেসার তৈরি হবে তখন ছেড়ে দেই। এভাবে বারবার করতে থাক ।
২। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের লিক নির্ণয় করো ।
ক. ইউনিটের সাথে হাই প্রেসার গেজ ও ড্রাই নাইট্রোজেন সিলিন্ডারের হোজপাইপ সংযোগ করো ।
খ. চিত্র অনুয়ায়ি ইউনিটে ৭০-৭৫ পি.এস.আই, ড্রাই নাইট্রোজেন প্রেসার দেই;
গ. প্রেসার দিয়ে অপেক্ষা কর এবং লক্ষ কর গেজ মিটারের কাটা নেমে যাচ্ছে কিনা। গেজ মিটারের কাটা নেমে গেলে বুঝতে হবে ইউনিটে লিক আছে;
ঘ. টিউবের বিভিন্ন জয়েন্টে ও সন্দেহজনক স্থানে সাবান ফেনা ধর
ঙ. লক্ষ কর কোথা থেকে সাবান ফেনার বাবল (বুদবুদ) তৈরি হচ্ছে । যেখান থেকে বাবল তৈরি হচ্ছে সেখানেই লিক আছে ৷
৩। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের লিক মেরামত করো ।
ক. রেফ্রিজারেটর ইউনিটের চার্জিং লাইন খুলে ড্রাই নাইট্রোজেন বের করে দেও।
খ. অধ্যায় ৫ এর ১ অথবা ২ নং জব অনুসরণ করে ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং জয়েন্টের মাধ্যমে লিক মেরামত করো ।
গ. ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং এর মাধ্যমে নতুন ড্রায়ার লাগাও ।
৪। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটটি ভ্যাকুয়াম বা বায়ুশূন্য করো।
ক. চিত্র অনুযায়ি রেফ্রিজারেটরের সাথে হোজপাইপ, গেজ মেনিফোল্ড, ভ্যাকুয়াম পাম্প, সঠিক রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার স্থাপন
খ. ভ্যাকুয়াম পাম্পে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেই ও ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু
গ. গেজ মেনিফোল্ডের সকল ভাল্ভ খুলে দেও;
ঘ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা - ২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে নামা পর্যন্ত ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু রাখ;
ঙ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা - ২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে নেমে গেলে হাই প্রেসার গেজ মিটারের ভাল্ভটি বন্ধ করো;
চ. ভ্যাকুয়াম পাম্পটি বন্ধ কর এবং আনপ্লাগ করো;
৫। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক চার্জ করো ।
ক. ডাবল স্তর বিশিষ্ট্য সিলিন্ডারের ভাল্ভটি খোল;
খ. কম্পাউন্ড গেজে মিটারের ভাল্ভটি খোল;
গ. রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক (রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী) চার্জিং প্রেসার তৈরি কর এবং কম্পাউন্ড গেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো;
ঘ. সাপ্লাই লাইনে ক্লিপ অন মিটার সংযোগ করো;
ঙ. বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ করে ইউনিটি চালু
চ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার সঠিক (ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত) আছে কিনা লক্ষ্য করো;
ছ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার কম হলে পুন: রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক রানিং প্রেসারও অ্যাম্পিয়ার (ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত) তৈরি করো।
৬। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটটিতে পরিপূর্ণ রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক চার্জ হয়েছে কিনা পর্যবেক্ষন করো ।
ক. ইনফরমেশন শিট অনুযায়ী সঠিক তিন স্তর বিশিষ্ট্য চার্জিং এর লক্ষণ গুলি মেলাই ও সঠিক তথ্য ডাটা শিটে লিখ;
খ. লক্ষণ গুলি মিলে গেলে তিন স্তর বিশিষ্ট্য সিলিন্ডারের ভাল্বটি বন্ধ কর এবং হোজপাইপ, গেজ মেন্ডিফোল্ড খুলে ফেল;
গ. চার্জিং লাইনটি পিঞ্চিং টুলস এর সাহায্যে সিল্ড করো;
ঘ. গেজের ভাল্ভ অল্প খুলে দেখ রেফ্রিজারেন্ট বের হয় কিনা। বের হলে আবার ও সিল্ড কর। বের হওয়া বন্ধ হলে ওয়েল্ডিং করো এবং নন রিটার্নের মাথায় একটি ডেট ক্যাপ দিয়ে বন্ধ করো ।
কাজের সতর্কতা:
আত্নপ্রতিফলন
এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের লিকেজ নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
আরও দেখুন...