প্রাণী এবং উদ্ভিদের জন্য সূর্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। কারণ, উদ্ভিদ সূর্যের আলোর সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে। প্রাণীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।
উদ্ভিদ সূর্যের আলোর সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে। উদ্ভিদ যখন সূর্যের আলোর সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে, তখন অক্সিজেন গ্যাস ত্যাগ করে। এই অক্সিজেন প্রাণী শ্বাসকার্যে ব্যবহার করে। সূর্য পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে উদ্ভিদ, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বসবাসের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সূর্য থাকার ফলে পৃথিবী আলোকিত হয় এবং আমরা আশপাশের পরিবেশ দেখতে পাই। সূর্য না থাকলে আমাদের চারপাশ অন্ধকার থাকত। সূর্য আছে বলেই পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে।
সূর্যের অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ার দৈর্ঘ্য পরিবর্তন হয়। সকালে এবং বিকালে আকাশে সূর্য হেলানো অব স্থানে থাকে। ফলে ছায়া দীর্ঘ হয়। দুপুরে সূর্য খাড়া অবস্থানে যায়। ফলে দুপুরে ছায়ার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোটো হয়।
ছায়া ব্যবহার করে ঘড়ি তৈরি করা যায়। একে সূর্যঘড়ি বলে। সূর্যের আলোয় সূর্যঘড়ির লাঠিটির ছায়া কোথায় পড়েছে তা দেখে সময় বলা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি ছায়াটি ১২-এর কাঁটার দিকে থাকে, তবে এটি দুপুর ১২টা নির্দেশ করে। কল্পনা করো, তুমি স্কুলের মাঠে একটি ঘুরতে সক্ষম এমন একটি চেয়ারে বসে ঘুরছ। সেক্ষেত্রে, তোমার মনে হবে, স্কুলের পতাকাও যেন তোমার চারদিকে ঘুরছে। আসলে পতাকাটি যেমন স্থির অবস্থানে রয়েছে, তেমনি সূর্যও সৌরজগতের কেন্দ্রে স্থির। আর চেয়ারটি যেমন ঘোরে, তেমনি পৃথিবী তার অক্ষের উপর ঘোরে। ফলে আমাদের মনে হয়, স্থির পতাকাটির মতো সূর্যও যেন পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে।