জৈব যৌগের বিশুদ্ধতা ও শণাক্তকরণে গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK
3

জৈব যৌগের বিশুদ্ধতা ও শনাক্তকরণে গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়

গলনাঙ্ক নির্ণয়

গলনাঙ্ক (Melting Point) একটি কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যেখানে এটি তরলে রূপান্তরিত হয়। এটি জৈব যৌগের বিশুদ্ধতা নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।


গলনাঙ্ক নির্ণয়ের ভূমিকা

  1. বিশুদ্ধতা পরীক্ষা:
    বিশুদ্ধ যৌগের গলনাঙ্ক একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়। যদি গলনাঙ্কের ব্যাপ্তি বড় হয় বা নির্ধারিত গলনাঙ্ক থেকে বিচ্যুতি ঘটে, তবে যৌগটি অপবিত্র বলে ধারণা করা হয়।
  2. সংজ্ঞায়ন:
    বিভিন্ন যৌগের গলনাঙ্ক আলাদা থাকে, যা তাদের শনাক্তকরণে সাহায্য করে।

স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়

স্ফুটনাঙ্ক (Boiling Point) একটি তরলের সেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যেখানে এর বাষ্প চাপ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের সমান হয়। এটি তরল জৈব যৌগের বিশুদ্ধতা ও শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।


স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়ের ভূমিকা

  1. বিশুদ্ধতা পরীক্ষা:
    একটি বিশুদ্ধ তরলের স্ফুটনাঙ্ক একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় থাকে। দূষিত তরলের স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে এবং ব্যাপ্তি বেড়ে যেতে পারে।
  2. সংজ্ঞায়ন:
    বিভিন্ন তরলের স্ফুটনাঙ্ক আলাদা, যা তাদের শনাক্তকরণে সহায়তা করে।

ব্যবহারিক পদ্ধতি

  1. গলনাঙ্ক নির্ণয় পদ্ধতি:
    ক্যাপিলারি টিউব ব্যবহার করে গলনাঙ্ক নির্ণয় করা হয়। পদার্থটি ক্যাপিলারির মধ্যে ঢুকিয়ে তাপ প্রয়োগ করা হয় এবং নির্ধারিত তাপমাত্রা নোট করা হয়।
  2. স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয় পদ্ধতি:
    তরলকে একটি বন্ধ টিউবে রেখে গরম করা হয় এবং বাষ্পের প্রথম বুদ্বুদ তৈরি হওয়ার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সারাংশ

গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক জৈব যৌগের বিশুদ্ধতা ও শনাক্তকরণের জন্য দুটি অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি। এগুলো বিশুদ্ধতার মান নির্ধারণ এবং যৌগগুলোর সঠিক শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion