ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর বৈশিষ্ট্য

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ই-মার্কেটিং - ই-মার্কেট এবং এর সম্ভাব্যতা, সম্ভাবনা ও কৌশলসমূহ | | NCTB BOOK
5

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় লাভের উদ্দেশ্যে অফলাইনে বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করা হয়। তাই বলা হয়েছে, "Traditional marketing is the process of fulfilling the target audience's needs using offline channels and making a profit out of it." ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর কতিপয় স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

১. অফলাইন চ্যানেল (Offline channels) : ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি এক ধরনের অফলাইন মার্কেটিং কার্যক্রম। এক্ষেত্রে ডিজিটাল চ্যানেলগুলো কোনোভাবেই জড়িত নয়। অর্থাৎ, ইন্টারনেট ব্যবহার করে মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় না।

২. মজবুত সম্পর্ক (Strong relationships ) : ট্রেডিশনাল মার্কেটিং- এর আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বিভিন্ন ধরনের ক্রেতা বা পক্ষের সাথে মজবুত সম্পর্ক তৈরি করা। কেননা এক্ষেত্রে সশরীরে ক্রেতাদের নিকট পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তাদের চাহিদা জানার সুযোগ রয়েছে। সর্বোপরি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি হয়।

৩. কম বাজার বিভক্তিকরণ (Less market segmentation) : সাধারণত ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এ ব্যবসায়ের আওতা সীমিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী অনলাইন মার্কেটিং-এর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের আওতা অনেক বড় হয়। ব্যবসায়ের আওতা সীমাবদ্ধ থাকে বলে তুলনামূলক কম বিভক্তিকরণ করতে হয়।

৪. অধিক বিশ্বাসযোগ্য ( More reliable): ক্রেতারা সাধারণত ট্রেডিশনাল মার্কেটিংকে বিশ্বাসযোগ্য মার্কেটিং পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করে। প্রতারণা আর জালিয়াতির মাত্রা কম থাকায় সাধারণ মানুষ ট্রেডিশনাল মার্কেটিংকে অধিক হারে বিশ্বাস করে।

৫. উৎকৃষ্ট ভ্যালু প্রদান (Providing better value): ট্রেডিশনাল মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ক্রেতাদেরকে উৎকৃষ্ট ভ্যালু প্রদান করা সহজ হয়। যেহেতু এ ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতিতে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি হয়। তাই ক্রেতারা বিক্রেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে।

৬. অধিক ক্রেতা আয়ত্তকরণ (Capturing more customers or audience ) : ট্রেডিশনাল মার্কেটিং- এর একটি কৌশল হলো জনসংখ্যার বৃহৎ গ্রুপ বা দলের কাছে বার্তা পৌঁছানোর ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করা। শহর কিংবা গ্রাম সব স্থানের লোকজন ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর সাথে পরিচিত। তাই এই পদ্ধতিতে বেশি ক্রেতা আকর্ষণ করা যায়।

৭. মাধ্যমের ব্যবহার (Use of medium) : ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এ যেসকল মাধ্যম ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে বিলবোর্ড, রেডিও, টেলিভিশন, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র অন্যতম।

৮. খরচ (Cost): ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর খরচ সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং-এর খরচের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

Content added By
Promotion