ডিজিটাল প্রযুক্তি বিশ্ব পরিস্থিতিকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছে। প্রযুক্তির গতি যেহেতু সমাজের স্বাভাবিক বিবর্তনের চেয়ে দ্রুততর, অনেক সময়ই সমাজের রীতিনীতি ও আইনের সাথে তাল মিলাতে পারে না ও আমাদের রক্ষা করতে পারে না। কাজেই নিরাপদ ও ভারসাম্যপূর্ণ ডিজিটাল জীবনযাপনের জন্য আমাদের নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে। শুধু তাই নয় নিজেরা শেখার পর এটি আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও শেখাতে হবে। এখানে আমরা সেই অভিজ্ঞতাই অর্জন করব।
আমরা আগের শ্রেণিতে ইতোমধ্যে তথ্য ঝুঁকি ও সাইবার নিরাপত্তার প্রাথমিক ধারণাগুলো পেয়েছি। শুধু তাই নয়, আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও এসব ব্যাপারে অনেক সচেতন করেছি। এ পর্যায়ে আমরা এই ধারণাগুলোর আরেকটু গভীরে যাব। সাইবার দুর্বৃত্তরা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ছাড়া নিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক উপায় বের করেছে। এমন কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আমরা এখন জানব।
আমাদের বাবা মা বা পরিচিত অনেকের মোবাইলে মেসেজ বা ই-মেইল আসে যেখানে একটি লিংক পাঠিয়ে ক্লিক করার জন্য বলা হয়। বলা হয় যে ক্লিক করলে অনেক টাকা বা দামি পুরস্কার পাওয়া যাবে। এ ধরনের ঘটনাকে বলে ফিশিং।
ফিশিং (Phishing) ইংরেজি বানান ভিন্ন হলেও এটি মূলত বড়শির ফাঁদ ফেলে মাছ ধরার ধারণা থেকে এসেছে। পরিচিত বা আমরা বিশ্বাস করি এমন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ, গোপনীয় তথ্য বা আর্থিক সম্পদ হাতিয়ে নেওয়াকে ফিশিং বলে।
|
পরের পৃষ্ঠার ই-মেইলটি দেখি:
এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যাংকের গ্রাহকদেরকে সত্যি সত্যি পাঠানো হয়েছিল। যেহেতু গ্রাহকদের বেশিরভাগ ইংরেজি ভাষাভাষী, তাই ই-মেইলের ভাষা ইংরেজি।
একটি ব্যাংক যখন কোনো চিঠি পাঠায় তাতে সাধারণত ব্যাকরণগত বা বানান ভুল থাকে না। কারণ তা যথাযথ সংশোধন হয়ে গ্রাহকের কাছে যায়। চল আমরা দেখি, উপরের চিঠিতে কী ভুল আছে-
বানান ভুল: received, discrepancy
ফিশিং বার্তা শুধু ই-মেইলে নয় মুঠোফোনেও আসতে পারে। পরের পৃষ্ঠার বার্তাটি খেয়াল করি। এটিও কিন্তু সত্যিই কিছু মানুষকে পাঠানো হয়েছিল।
আমাদের কাছে যদি এরকম কোনো বার্তা আসে তাহলে এটি আসল না নকল বুঝব কি করে?
প্রথমে আমরা আমাদের শ্রেণিশিক্ষকের পরামর্শ নিব। যদি তিনি বলেন এই সময়ে এ ধরনের ক্ষুদেবার্তা আসার কথা তাহলে আমরা এই বার্তাকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে যাচাইয়ের পরের ধাপে যাব। যদি তিনি বলেন এই সময়ে এরকম বার্তা আসার কথা না তাহলে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত এটি একটি প্রতারণা!
এরপর চিন্তা করি আমাদের কোনো রকম উপবৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা। ধরা যাক এই সময় আমার কোন উপবৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে হতে পারে আরেকজনের জন্য পাঠানো বার্তা ভুল করে আমাদের কাছে চলে এসেছে। কাজেই অপ্রাসংগিক বিধায় আমরা এটি ফেলে দিব বা ডিলিট করে দিব।
ধরি আমরা এমন শ্রেণিতে পড়ি যেখানে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। তাহলে? প্রথমে দেখতে হবে যে ফোন নম্বর থেকে বার্তাটি এসেছে বা যে নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে সেটি আসল না নকল। এই বার্তায় দেখি একটি নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আমরা যে শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এটি কি তাদের নম্বর? সেটিই বা জানব কি করে? খুব সহজ। প্রথমে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেই বোর্ডের ওয়েসবাইটে যাবে।
ধরি আমরা চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে। এই শিক্ষাবোর্ডের ওয়েব ঠিকানা হলো https://bise-ctg.portal. gov.bd/। আমরা কিন্তু আগের শ্রেণিতে শিখেছি কিভাবে ঠিকানা থেকে ওয়েবসাইটে যেতে হয়। সেখানে গেলে আমরা চিত্র ২.৩ এর ওয়েবপেজটি দেখতে পারব।
এই ওয়েবসাইটে যোগাযোগের ফোন নম্বর কোথায় পাব? পেজটি ভাল করে খেয়াল করি। দেখব এক জায়গায় "যোগাযোগ” কথাটি আছে। সেটিকে গোল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করি। কম্পিউটার বা মুঠোফোনের পর্দায় যদি চাপ দিই দেখব আমরা আরেকটি ওয়েবপেজে চলে গেছি যেটি দেখতে নিচের মতো।
আমরা চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের যোগাযোগের ঠিকানায় দেওয়া একটি নম্বরে যোগাযোগ করে আমাদের কাছে পাঠানো বার্তার সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারি।
অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফিশিংয়ের চেষ্টা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে এবার আমরা নিচের মাইন্ড ম্যাপটি পূরণ করব -
বাংলাদেশে মুঠোফোনের গ্রাহকসংখ্যা আমাদের মোট জনসংখ্যারও বেশি। এর অর্থ হচ্ছে বয়স বা অন্য কোনো কারণে যদি আমরা এখনও মুঠোফোন নাও পাই, আমাদের আশে পাশে অনেকেই বা পরিবারের অনেক সদস্যই এই মুহূর্তে মুঠোফোন ব্যবহার করছে, তাও অনেকের একই সাথে একাধিক নম্বর রয়েছে। আমরাও হয়তো কিছুদিনের মধ্যে এটি ব্যবহারের সুযোগ পাব। কাজেই এখন থেকেই মুঠোফোনের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে সচেতন হওয়া দরকার।
একটি আধুনিক বা স্মার্ট মুঠোফোন, যেটি স্মার্টফোন নামেও পরিচিত, দেখতে নিচের মত। এর গঠন, কার্যকারিতা, যন্ত্রাংশ ইত্যাদি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই একেক ব্র্যান্ডের একেক মডেল ও ভার্সনের মুঠোফোন বাজারে চলে আসে। যেটি আগের চেয়ে আরো বেশি গতির ও কার্যকরী হয়।
অসৎ উদ্দেশ্যে আমাদের মুঠোফোন যখন কেউ দখল করে তখন বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের অ্যাকাউন্টে সে প্রবেশ করে। এমনকি সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলোরও নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যায়। আমাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন জনকে বিভ্রান্তিমূলক বার্তা পাঠাতে থাকে। কখনো কখনো আমাদের নাম নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কিছু দাবি করে বা আর্থিক সহায়তা চায়। তাছাড়া আমাদের জন্য অপমানজনক বা কোন নাশকতাজনক কাজে দায়ী হতে পারি এমন কার্যকলাপও তারা করতে পারে। আমাদের মুঠোফোন বা ডিভাইসে থাকা ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্যও তারা ফাঁস করে দিতে পারে যা আমাদের জন্য খুবই অপমানজনক হতে পারে।
পরের পৃষ্ঠায় আমরা মুঠোফোনের চারটি বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার বা অ্যাপের ছবি দেখতে পাচ্ছি। প্রত্যেকটি ছবির নিচে খালি জায়গায় আমরা এখন লিখব এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর অসতর্কতা কী ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
মুঠোফোনের নিরাপদ ব্যবহারের প্রথম ধাপে ব্যবহারকারীকে নিশ্চিত করতে হয় যে অনুমোদিত মানুষ ছাড়া আর কেউ যেন এটি ব্যবহার করতে না পারে। সাধারণত যে উপায়ে এটি করা হয় সেটি পাসওয়ার্ড, পাসকোড, পিনকোড, পিন নম্বর, পাস কি, এসব বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কেউ তার মুঠোফোন চালু করলে নিচের ছবির কাছাকাছি কিছু পর্দায় দেখবে। এখানে কি হচ্ছে? এখানে মুঠোফোনটি ব্যবহারকারীকে বলছে, "তুমি এখানে সঠিক পিনকোড দিয়ে নিশ্চিত কর যে তুমিই এর আসল ব্যবহারকারী"।
সাধারণত পিনকোড চার অঙ্কের হয়। তবে কখনও কখনও আরো বেশি অঙ্কেরও হতে পারে। আমরা আগের শ্রেণিতে ক্রেডিট কার্ডের পিনকোড সম্পর্কে জেনেছি। মুঠোফোনের পিনকোডও একইভাবে কাজ করে।
এবার আমরা নিচের এই ছকটি বাড়ি থেকে পূরণ করে আনব।
পরিবারের কতজন সদস্য নিরাপত্তার জন্য পিনকোড চালু করেছেন?
|
উত্তর:
|
পরিবারের সদস্যরা মুঠোফোনের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন?
|
উত্তর:
|
ইতোপূর্বে চুরি হওয়া ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বহুল ব্যবহৃত ও বিরল ব্যবহৃত পিনকোডের একটি তালিকা করেছেন (তথ্যসূত্র: ডেটা জেনেটিক্স)। সেখানে দেখা গিয়েছে বহুল ব্যবহৃত পিনকোডগুলো হলো ০০০০, ১১১১, ২২২২ ইত্যাদি। পিনকোড যেন কেউ উদ্ধার করতে না পারে সেজন্য এর কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। যেমন, পিনকোডটিতে যেন সবগুলো একই অঙ্ক না থাকে। আবার ১২৩৪ বা ৯৮৭৬ এই পিনকোডগুলোও সহজে অনুমান করে ফেলা যায়।
এখন আমরা নিচের ঘরে কয়েকটি সহজ এবং কয়েকটি কঠিন পিনকোড লিখব-
সহজ | কঠিন |
৩৩৩৩ | ২৫১৬ |
উপরের তালিকাটি আমরা বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের দেখাব এবং তাদের জিজ্ঞেস করব বহুল ব্যবহৃত বা সহজ পিনকোডের তালিকায় তাদের পিনকোড আছে কিনা। তাদের পিনকোডগুলো বহুল ব্যবহৃত বা সহজ পিনকোডের তালিকায় থাকলে তাদেরকে পিনকোড পরিবর্তন করতে উৎসাহিত করব।
আমরা নিশ্চয়ই বিভিন্ন সময় পত্রিকায় বা আশেপাশে আসল ও নকল পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখেছি। আমরা জানি আমাদের সমাজের একটি চর্চা অনেক আগে থেকেই ছিল কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে এটির গতি ও প্রভাব অনেক বেড়ে গেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি কেউ ভাল কাজ করে খুব দ্রুত সেটি যেমন ছড়িয়ে যায়, কেউ যদি কোনো খারাপ কিছু করে সেটিও অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছড়িয়ে অনেককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ডিজিটাল উপাত্তের অধিতথ্য বা মেটাডেটা বোঝা এ কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরি আমাদের কাছে একজন কোনো ঘটনার একটি ছবি মুঠোফোনে পাঠিয়ে বলল ঘটনাটি এইমাত্র ঘটেছে। এখন আমরা কিভাবে বুঝব যে সেই মানুষটি পুরনো কোনো ছবি আজকের ছবি বলে চালিয়ে দিচ্ছে কিনা? অথবা এক জায়গার ছবি আরেক জায়গার বলে চালিয়ে দিচ্ছে না?
অধিতথ্য বা মেটাডেটা হলো তথ্য সম্পর্কিত আরো তথ্য। যেমন: একটি বইয়ের অধ্যায়গুলোকে যদি আমরা তথ্য হিসেবে কল্পনা করি, তাহলে রেফারেন্স বা মূল উৎস হতে আরো তথ্য যাচাই করা হলো অধিতথ্য, যেমন পিনকোডের বিষয়ে আগের সেশনে তথ্যসূত্র: ডেটা জেনেটিক্স লিখা পড়েছিলাম তা ছিল অধিতথ্য পাওয়ার উৎস।
|
আমরা যদি সেই ছবির অধিতথ্য বা মেটাডেটা পড়তে পারি তাহলে আসল তথ্যটি পাওয়া সম্ভব, তাই না? চলো দেখি কিভাবে সেটি পড়ব।
এখন "Properties" লেখা অপশনে ক্লিক করতে হবে। আমরা নিচের তথ্যগুলো দেখতে পাব।
এখন চিন্তা করে দেখি, যদি কেউ এই ছবি দেখিয়ে বলে এটি ২০০০ সালের ছবি, উপরের তথ্যের ভিত্তিতে কি তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব? নিচে আমাদের উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেই।
'Detail' মেন্যুতে গেলে পাশাপাশি আরো কিছু তথ্য আমরা জানতে পারি। সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।
আবার যদি ছবিটি তোলার সময় কোথায় তোলা হয়েছে সেই তথ্য সংরক্ষণের অনুমতি থাকে তাহলে পরবর্তীকালে ছবির অধিতথ্য বিশ্লেষণের সময় তা দেখা যাবে। এর একটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো।
কাজেই কেউ যদি আমাদের একটি ছবি দেখিয়ে বলে এটি টেকনাফের ছবি আর আমরা যদি অধিতথ্যে দেখি তেঁতুলিয়ার তথ্য দেওয়া আছে তাহলেই বুঝতে পারব যে কথাটি মিথ্যা।
উপরের ছবিটির অধিতথ্য মুঠোফোন থেকে নেওয়া। অর্থাৎ মুঠোফোনেও এই অধিতথ্যগুলো দেখা যায়।
এখন আমরা আমাদের শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে একটু গোয়েন্দাগিরি করব। আমাদের কেউ একজন এখানে একটি দুষ্টলোকের চরিত্রে অভিনয় করব। সে একটি ছবি দেখিয়ে কত তারিখ, কোন ক্যামেরা দিয়ে আর কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তোলা হয়েছে তা নিয়ে কিছু দাবি করবে। আমরা অধিতথ্য বিশ্লেষণ করে নিচের ঘরে বলব কোন দাবিটি সত্য আর কোন দাবিটি মিথ্যা।
এরপর আমরা পরিবারের সদস্যদের জন্য অধিতথ্য ব্যবহার করে কিভাবে জাল ছবি ধরে ফেলতে হয় তার উপর একটি ছোট দেয়ালিকা বানাব যেটি রান্নাঘর বা খাওয়ার ঘরে সবাই দেখতে পারে এমন জায়গায় ঝুলানো যাবে। দেয়ালিকার গল্প আমরাই ঠিক করব। যেমন একটি উদাহরণ হতে পারে আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের মুঠোফোনে একটি ছবি এসেছে যাতে বলা আছে এলাকার কোনো একটি জায়গায় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন প্রথম, দ্বিতীয়, আর তৃতীয় বা সর্বশেষ ধাপে কোনো অধিতথ্য যাচাই করবে সেটি দেখাব। সাথে যদি মানুষকে সচেতন করার জন্য একটি ছড়া বা শ্লোগান দিতে পারি তাহলে তো আরো ভাল হয়। খসড়ার করার জন্য আমরা নিচের ঘরটি ব্যবহার করব।
আমরা এর আগের শ্রেণিগুলোতে ডিজিটাল যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে পরিচিত হয়েছি। একবিংশ শতাব্দীতে যে ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যমটি সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সেটি হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া। আমরা নিশ্চয়ই অনেকেই বিভিন্ন ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে পরিচিত, তাই না? পরিচিত না হয়ে থাকলে কোন সমস্যা নেই। কিছুক্ষণের মাঝেই আমরা পরিচিত হয়ে যাব।
চলো প্রথমেই আমাদের পরিচিত কয়েকটি ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম লিখি এবং সেই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আমরা কোন কাজগুলো করি তা লিখি। এই কাজটি করার ক্ষেত্রে আমরা চাইলে আমাদের পাশের বন্ধুর সহায়তা নিতে পারি।
ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম | সেখানে আমরা যেসব কাজ করি |
১।
| |
২।
| |
৩।
| |
৪।
| |
৫।
|
আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আমরা মূলত বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করি। সেই সাথে আরো বেশ কিছু কাজ করি যেগুলোর পেছনে আমাদের কোন ধরনের অর্থ ব্যয় না হলেও আমাদের দিনের অনেকটুকু সময় ব্যয় হয়ে যায়। আমরা সাধারণত আমাদের মুঠোফোনগুলোর সাহায্যে বিভিন্ন ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করি। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় মুঠোফোনের ছোট স্ক্রিনের দিকে অনেক বেশি সময় একটানা তাকিয়ে থাকার ফলে আমাদের চোখে নানা সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত মনোযোগ ব্যয় করার ফলে আমাদের। অন্যান্য কাজে মনোযোগ দিতেও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
এখন তাহলে প্রশ্ন হল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আমরা কীভাবে ব্যবহার করবো? আমরা আসলে কতটা সময় ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যয় করব? দিনের মাঝে এমন কোন সময় কি আছে যখন আমরা এসব ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করব না? এই মাধ্যমগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আমাদের কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে? এসো বিষয়গুলো নিয়ে জোড়ায় আলোচনা করি এবং এরপর আমরা সবাই মিলে একটি উপস্থিত বক্তৃতার আয়োজন করব। বক্তৃতার জন্য নিচের বিষয়বস্তুগুলো থেকে কোন একটিকে নির্বাচন করি-
বক্তৃতার বিষয় -
১। ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কত সময় ব্যয় করা উচিত।
২। দিনের কোন সময়টাতে আমরা ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করব।
৩। ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিব্যবহারের অসুবিধা।
তাহলে, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনেছি। তবে এটি নিয়ে ভয় না পেয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। অন্যান্য প্রযুক্তির মতই এটি খুব দ্রুতগতিতে আমাদের সমাজ কাঠামোতে পরিবর্তন আনছে। যেহেতু এই পরিবর্তনের গতি সামাজিক রীতিনীতি ও দেশের আইনের স্বাভাবিক বিবর্তনের চেয়ে দ্রুত, আমরা এখনও শিখছি কীভাবে এর সাথে তাল মেলাতে হবে।
বক্তৃতার বিষয় ১। ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কতটুকু সময় ব্যবহার করা উচিত; ২। দিনের কোন সময় ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা উচিত নয়; ৩। ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপত্তা ঝুঁকি;
|
আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে জেনেছি। তবে এটি নিয়ে ভয় পেলে চলবে না, আমাদের সচেতন হতে হবে। এটি আসলে ভাল উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আর যেকোনো প্রযু- ক্তির মতো এটি খুব দ্রুতগতিতে আমাদের সমাজ কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছে। যেহেতু এই পরিবর্তনের গতি সামাজিক রীতিনীতি ও দেশের আইনের স্বাভাবিক বিবর্তনের চেয়ে দ্রুত, আমরা এখনও শিখছি কীভাবে এর সাথে তাল মেলাতে হবে।
অপু স্কুল থেকে বাসায় এসেই মায়ের মোবাইলটা হাতে নেয়। কিন্তু মা তাকে বারবার বলতে থাকেন কিছু খেয়ে বিশ্রাম নাও। কিন্তু কে কার কথা শোনে! সে তারপরও মায়ের মোবাইল নিয়ে শুয়ে শুয়ে কার্টুন, সিনেমা, মায়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গিয়ে কমেন্ট দেখা ইত্যাদি করতে করতে বিশ্রামের সময় পার করে। মা তাকে অনেক বুঝানোর পরও সে কথা তো শুনেই না বরং মায়ের সাথে মেজাজ করে। তাছাড়া স্কুলেও সে ক্লাসে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারে না। সবাই যখন বিভিন্ন ধরনের গল্পে মেতে থাকে, তখন সে মায়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যদের দেওয়া মন্তব্যগুলো নিয়ে ভাবতে থাকে। ক্লাসের বন্ধুরা মজা করে কিছু বললেও সে রেগে যায়। কয়েকদিন ধরে তার এই পরিবর্তনটা শিক্ষকরাও খেয়াল করছেন।
|
উপরের ঘটনায় অপুর আচরণে কী কী সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে? এই ধরনের আচরণ পরিবর্তনের কারণ কী হতে পারে?
সময়ের পাশাপাশি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন হতে হবে। অনেকের কাছে প্রথম প্রথম এসব নিয়ে কথা বলা অস্বস্তিকর মনে হবে। কিন্তু ক্লাসে আমরা সবাই সবার বন্ধু। আমরা একে অপরের মানসিক সুস্থতা রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। আমরা পাশের বন্ধুর সাথে নিচের প্রশ্নগুলো নিয়ে আলাপ করব।
১. আমাদের বয়সী শিক্ষার্থীদের কী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের একটি একাউন্ট থাকা উচিত?
২. মা বাবার মোবাইল নিয়ে আমি দিনে কতটুকু সময় ব্যয় করতে পারি?
৩. মা বাবার মোবাইল নিয়ে আমি কী কী করতে পারি?
8. আমাদের বয়সী কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করে তাহলে তার জন্য আমাদের পরামর্শ কী কী হতে পারে?
উপরের প্রশ্নগুলো বিবেচনা করে আমাদের জন্য কিছু নীতিমালা নিচের খালি ঘরে পয়েন্ট করে বাড়ি থেকে লিখে নিয়ে আসব।
|
আমরা ইতোমধ্যে তথ্য ঝুঁকি, মুঠোফোনের নিরাপত্তা, জাল ডিজিটাল উপাত্ত শনাক্ত করা, আর ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি। যে বিষয়টি এসব কিছুর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত তা হলো ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা। আমরা সবাই পাসপোর্ট সম্পর্কে জানি। কোনো বাংলাদেশী নাগরিক যখন দেশের বাইরে যেতে চান তার পাসপোর্ট থাকতে হয়। একটি পাসপোর্ট পেতে প্রথমে কিছু তথ্য একটি ফর্মে জমা দিতে হয়। এই ফর্মে বেশ কিছু তথ্য থাকে যেসব আমাদের একান্ত গোপনীয়। আগের শ্রেণিতে আমরা জেনেছিলাম ব্যক্তিগত গোপন তথ্য কী আর কীভাবে ব্যক্তিগত গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায়। সবাই যদি এই তথ্যগুলো জেনে যায় তাহলে প্রতারকেরা এর অপব্যবহার করতে পারে। আমরা এখন সেই অংশগুলো চিহ্নিত করব।
পরের পৃষ্ঠার সেই ফর্মটির প্রথম দুই পাতা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখন আমরা গোল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করব এর মধ্যে কোনগুলো ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য।
এখন আমরা চিন্তা করে দেখি। আমরা কি চাই আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ছড়িয়ে যাক? অবশ্যই না। আমাদের পরিবারেরও কারো ব্যক্তিগত তথ্যও ছড়িয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। কাজেই আমরা এসব ব্যাপারে খুব সচেতন থাকব।
অনলাইনে এসব ফাঁস হয় কী করে? অনলাইনে আমরা যখন বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে যাই তখন সেখানে আমাদের উপস্থিতির চিহ্ন রেখে আসি। কোথাও হয়তো লগইন করি, কোথাও মন্তব্য করে আসি, কোথাও হয়তো কোনো বন্ধুকে বার্তা বা ডিজিটাল উপাত্ত পাঠাই। কখনও আমরা দলবেঁধে একটি বিষয় নিয়ে কথা বলি আর ভাবি এর বাইরে কেউ হয়তো জানে না আমরা কী নিয়ে আলাপ করছি। এটি ভীষণ ভুল ধারণা। আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে যখন যাই করি না কেন, তার হিসাব সবসময়ই থাকে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় দেশের আইনে কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের ইতিহাস সংরক্ষণ করার কথা বলা থাকে যাতে কোনো অঘটন ঘটলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যায়।
ডিজিটাল জগতে আমাদের উপস্থিতি ও কার্যক্রমের ইতিহাসকে বলা হয় ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, ডিজিটাল মাধ্যমে এমন কিছু করব না যেটির কারণে বড় হয়ে ভীষণ লজ্জায় পড়ে যাব বা থানা-পুলিশ পর্যন্ত যেতে হবে। কারণ ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কখনও মুছে না।
আগের শ্রেণিতে আমরা কিশোর বাতায়নে আমাদের একাউন্ট খুলেছিলাম। এখন আমরা কিশোর বাতায়নে গিয়ে ডিজিটাল লিটারেসির একটি কোর্স শুরু করব। (পরবর্তীতে বাড়িতে বসে আমরা কোর্সটি সম্পন্ন করব।)
আমরা যদি কিশোর বাতায়নের হোম পেজে জীবন দক্ষতা মেন্যুতে ক্লিক করি তাহলে নিচের পেইজটি দেখব।
এখন ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে ক্লিক করে সেই 'মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল লিটারেসি কোর্স' এ যাব।
কোর্সটিতে কি আমরা ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টের কোনো চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি? এক জায়গায় লেখা আছে কতজন শিক্ষার্থী কোর্সটি করেছে। এর অর্থ হলো যারা কোর্সটি করেছে তারা তাদের উপস্থিতির চিহ্ন রেখে গেছে।
চিত্র ২.১৮ তে দেখা যাচ্ছে কিছু অংশগ্রহণকারী মন্তব্য করেছে এই কোর্সটি করে তাদের কেমন লেগেছে। এই সব মন্তব্য ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টের অংশ। অনেক সময়ই অনেক ব্যবহারকারী বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অপ্রাসঙ্গিক বা রূঢ় মন্তব্য করে যা পরে অন্যরা যখন দেখে তখন সে নিজেই লজ্জায় পড়ে যায়। আমরা কখনও এমন কাজ করব না। অনলাইনে ডিজিটাল জীবনে এমন একটি ব্যাপার যেটি সবাই দেখতে পায়। কাজেই আমরা এমন কোনো কাজ করব না যেটি নিয়ে আমরা বা আমাদের পরিবার সমস্যায় পড়ে।
আমরা এখন পর্যন্ত ডিজিটাল জীবনযাপন নিয়ে অনেক কিছু জেনেছি ও চর্চা করেছি। এই পর্যায়ে আমরা সবাই মিলে একটি নাটিকা তৈরি করবো।
এই নাটিকার পেছনে থাকবে একটি গল্প। সেই গল্পে প্রধান চরিত্র থাকবে আমাদেরই একজন বন্ধু। গল্পটি হবে এমন-
আমাদের বন্ধু সম্প্রতি ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে। বেশিরভাগ সময় সে তার বন্ধুবান্ধবদের সাথে গল্পগুজব করে কাটালেও, একদিন একজন অপরিচিত মানুষ তার সাথে ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলা শুরু করে। সেই মানুষটি জানায় যে সে স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা। প্রথমেই সে আমাদের সেই বন্ধুকে পড়ালেখা নিয়ে কিছু সাহায্য করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর একদিন সে বন্ধুকে জানায় একটি বিশেষ সরকারি বৃত্তি চালু হয়েছে। সে যদি বৃত্তির জন্য বিবেচিত হতে চায় তাহলে তাকে নাগরিক পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনের সনদ জমা দিতে হবে। এরপর একদিন হঠাৎ জানা গেল তার বাবার নামে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার কাগজে লেখা আছে তার বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কেউ একজন স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকাটা আত্মসাৎ করেছে। এই পর্যায়ে এসে কাহিনির মোড় ঘুরে যাবে। আমরা বাকি বন্ধুরা মিলে একটি গোয়েন্দাদল তৈরি করব। তারপর আমরা আমাদের বন্ধুর ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ধরে ধরে বের করব কীভাবে তথ্যগুলো চুরি হয়েছে এবং সেই তথ্যগুলো ব্যবহার করে জাল পরিচয়পত্রটি তৈরি করা হয়েছে। সবশেষে, আমরা অনলাইনে পাল্টা জিডি করে তার বাবার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
আমরা ক্লাশের সবাই আলাদা আলাদা নাটিকা লিখব না। তিনটি দল হবে। প্রতিটি দল উপরের গল্পটি অনুসারে একটি করে নাটিকার স্ক্রিপ্ট লিখবে। প্রতি দলের আবার কাজ ভাগ করা থাকবে কারা নাটক পরিচালনা করবে, কারা লিখবে, কারা অভিনয় করবে ইত্যাদি।
প্রথমে আমরা নিচের ছকে আমাদের দলের নাম ও সদস্যদের নাম লিখে ফেলি।
দলের নাম
|
সদস্যদের নাম
|
এরপর আমরা ঠিক করব আমাদের নাটিকার কী কী চরিত্র থাকবে। সেটি নিচের ঘরে লিখে ফেলি।
|
এখন আমরা দৃশ্যগুলো একে একে লিখে ফেলব। বাড়তি কাগজ প্রয়োজন হলে আমাদের খাতা ব্যবহার করব।
দৃশ্য ১: |
|
দৃশ্য ২: |
|
এরপর আমরা আমাদের সবগুলো নাটিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রদর্শনী আয়োজন করব। এই নাটিকাগুলো আমাদের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও উপস্থাপন করতে পারি।
আমরা এই অভিজ্ঞতায় এমন অনেক কিছু শিখলাম যেগুলো শুধু বাকি জীবনে আমাদের কাজে আসবে তাই নয়, আমরা যদি ডিজিটাল প্রযুক্তি নিরাপদ ও ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও শিখিয়ে দিতে পারি তাহলে আমাদের সামাজিক দায়িত্বও পালন করা হবে। আমরা প্রযুক্তি কখনও ভয় পাব না, বরং নিজের কাজে লাগাব। প্রযুক্তি কখনও আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে না, বরং আমরা প্রযুক্তির পিঠে সওয়ার হয়ে আমাদের জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাব। এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে?
Read more