ডিবেঞ্চার হচ্ছে একটি জামানতবিহীন বন্ড। ফলে বন্ডের অধিকাংশ বৈশিষ্ট্য ডিবেঞ্চারে বিদ্যমান। বন্ড ও অগ্রাধিকার শেয়ারের ন্যায় ডিবেঞ্চারও আমাদের দেশে খুব বেশি দেখা যায় না।
বন্ডের তুলনায় এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ডিবেঞ্চারের বিপরীতে কোনো জামানত থাকে না। ডিবেঞ্চারের বিপরীতে জামানত থাকে না বিধায় সব কোম্পানির ডিবেঞ্চার বিনিয়োগকারীরা ক্রয় করে না। বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বড় স্বনামধন্য কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চারে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করে।
বিনিয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ডিবেঞ্চারের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা নিম্নরূপ :
সুবিধা
ক) নিয়মিত আয় : বন্ডের ন্যায় বিনিয়োগকারীরা ডিবেঞ্চার থেকে নির্দিষ্ট হারে নিয়মিত আয় পায় ।
খ) নির্দিষ্ট সময় : ডিবেঞ্চারের নির্দিষ্ট মেয়াদের কারণে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে এটি জনপ্রিয়।
অসুবিধা
ক) জামানতহীনতা : ডিবেঞ্চারের বিপরীতে কোনো জামানত থাকে না বিধায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ
খ) নিয়ন্ত্রণ : বন্ডের ন্যায় ডিবেঞ্চার মালিকদের ভোটাধিকার থাকে না। ফলে কোম্পানির পরিচালনায় ডিবেঞ্চার মালিকদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
গ) মুনাফা ও সম্পদে অধিকার : ডিবেঞ্চার মালিকরা সাধারণ পাওনাদারদের সমান মর্যাদা ভোগ করে। ফলে কোম্পানির অর্জিত আয় থেকে ডিবেঞ্চার মালিকদের সুদ দেওয়ার আগে বড় মালিকদের সুদ পরিশোধ করা হয়। অনুরূপভাবে কোম্পানির বিলুপ্তির সময় বা অবসায়নকালে বন্ড মালিকদের দাবি বা পাওনা পরিশোধের পর ডিবেঞ্চার মালিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়।
আরও দেখুন...