hsc

তড়িৎ ঋণাত্মকতার ওপর পরমাণুর আকার,উপশক্তিস্তর ও ইলেকট্রন বিন্যাসের প্রভাব

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK
2

তড়িৎ ঋণাত্মকতার ওপর পরমাণুর আকারের প্রভাব

তড়িৎ ঋণাত্মকতা হল একটি পরমাণুর ইলেকট্রন আকর্ষণের ক্ষমতা। পরমাণুর আকার ছোট হলে নিউক্লিয়াসের ইলেকট্রন আকর্ষণের ক্ষমতা বেশি হয়, ফলে তড়িৎ ঋণাত্মকতাও বেশি হয়। বিপরীতে, বড় আকারের পরমাণুতে বাইরের ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াস থেকে দূরে থাকে এবং তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম হয়।

পর্যায়ের পরিবর্তন:

  • বাম থেকে ডানে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বাড়ে, কারণ আকার ছোট হয়।
  • উপর থেকে নিচে তড়িৎ ঋণাত্মকতা কমে, কারণ আকার বড় হয়।

তড়িৎ ঋণাত্মকতার ওপর উপশক্তিস্তরের প্রভাব

উপশক্তিস্তরের উপস্থিতি তড়িৎ ঋণাত্মকতাকে প্রভাবিত করে।

  • বেশি উপশক্তিস্তর থাকলে বাইরের ইলেকট্রনগুলোর উপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ কমে যায়, ফলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম হয়।
  • কম উপশক্তিস্তরের কারণে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি থাকে, যার ফলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেড়ে যায়।

তড়িৎ ঋণাত্মকতার ওপর ইলেকট্রন বিন্যাসের প্রভাব

ইলেকট্রন বিন্যাস বা অরবাইটালে ইলেকট্রনের অবস্থান তড়িৎ ঋণাত্মকতায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

  • যদি বাইরের অরবাইটাল পূর্ণ বা স্থিতিশীল হয়, তাহলে সেই পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা তুলনামূলক কম হয়। উদাহরণস্বরূপ, নিওন বা আর্গনের মতো পূর্ণ শেল বিশিষ্ট গ্যাসগুলোর তড়িৎ ঋণাত্মকতা খুবই কম।
  • অসম্পূর্ণ অরবাইটাল বিশিষ্ট পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি, কারণ তারা ইলেকট্রন আকর্ষণ করতে চায়।

Content added By
Promotion