hsc

তড়িৎ বিশ্লেষ্যের পরিবাহিতা মাপন

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK
5

তড়িৎ বিশ্লেষণের পরিবাহিতা মাপা (Measurement of Electrical Conductivity):

তড়িৎ বিশ্লেষণের পরিবাহিতা (Electrical conductivity) হলো এক ধরনের বৈদ্যুতিক সম্পত্তি যা কোনো উপাদানের বৈদ্যুতিক প্রবাহ চলার ক্ষমতাকে নির্দেশ করে। এটি একটি পদার্থের আণবিক গঠন এবং তার মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রবণতার উপর নির্ভরশীল। পরিবাহিতা নির্ধারণের জন্য, পরিবাহিতা পরীক্ষক বা কন্ডাকটিভিটি মিটার ব্যবহার করা হয়, যা একটি নির্দিষ্ট তরল বা উপাদানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বৈদ্যুতিক প্রবাহ পরিমাপ করে।

পরিবাহিতা মাপার প্রক্রিয়া:

  1. পরীক্ষণ কক্ষ নির্বাচন:
    পরিবাহিতা মাপার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষণ কক্ষ নির্বাচন করা হয়, যেমন পানির জন্য বিশেষভাবে তৈরি কন্ডাকটিভিটি মিটার ব্যবহৃত হয়।
  2. পরীক্ষণ কক্ষের প্রস্তুতি:
    পরীক্ষণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট তরল বা পদার্থকে পরিষ্কার এবং প্রস্তুত করতে হবে যাতে কোনো বাইরের অমেধ্য বা মিথ্যা পরিবাহিতা মাপের ক্ষেত্রে বিভ্রাট সৃষ্টি না হয়।
  3. পরিবাহিতা মিটার সেটআপ:
    পরিবাহিতা মিটার দুটি ইলেকট্রোড ব্যবহার করে তরলের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালনা করে। প্রবাহের বিপরীতে প্রতিরোধকের মান থেকে পরিবাহিতা নির্ধারণ করা হয়।
  4. ডেটা সংগ্রহ:
    মিটারটি তরল বা উপাদানের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রেরণ করে এবং পরবর্তী ডিভাইসে গতি, ভোল্টেজ এবং বর্তমান পরিমাপ করে পরিবাহিতার মান হিসাব করে।
  5. গণনা:
    এরপরে, সূত্র ব্যবহার করে পরিবাহিতার মান নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত, পরিবাহিতা (κ) পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত সূত্র হলো:

    \[
    \kappa = \frac{1}{R} \times \frac{l}{A}
    \]

    যেখানে,

    • \( R \) হলো প্রতিরোধক,
    • \( l \) হলো ইলেকট্রোডের মধ্যে পরিসরের দৈর্ঘ্য,
    • \( A \) হলো ইলেকট্রোডের প্রস্থ।

এটির গুরুত্ব:
পরিবাহিতা মাপা কেমিক্যাল সলিউশনের বিশ্লেষণ, পানির গুণগত মান পরীক্ষা, দূষণ নির্ধারণ এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion