দেশি ফলের কৌটাজাতকরণ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK
3

দেশি ফলের কৌটাজাতকরণ

দেশি ফল সংরক্ষণের অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি হলো কৌটাজাতকরণ। এই পদ্ধতিতে ফলকে প্রক্রিয়াজাত করে নির্দিষ্ট প্যাকেজিংয়ে সিল করে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এটি ফলের স্বাদ, পুষ্টি এবং গুণগত মান বজায় রাখতে সহায়ক।


কৌটাজাতকরণের উদ্দেশ্য

  • ফল সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার উপযোগী রাখা।
  • মৌসুমের বাইরে ফলের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।
  • রপ্তানির জন্য ফলকে প্রক্রিয়াজাত করা।
  • পুষ্টিগুণ ও স্বাদ অক্ষুণ্ন রাখা।

প্রক্রিয়া

কৌটাজাতকরণের জন্য নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করা হয়:

  1. ফল বাছাই: তাজা, পাকা এবং অক্ষত ফল নির্বাচন।
  2. পরিষ্কার করা: ফল থেকে ময়লা ও অশুদ্ধি সরানো।
  3. প্রক্রিয়াজাতকরণ: ফলকে টুকরো করা, রস বের করা বা সিরাপ তৈরি করা।
  4. প্যাকেজিং: ফল কৌটায় ভরে বায়ুরোধী সিল করা।
  5. পেস্টুরাইজেশন: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গরম করে জীবাণুমুক্ত করা।

সংরক্ষণকাল ও মান নিয়ন্ত্রণ

কৌটাজাতকৃত ফল সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।

  • সঠিক তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে হয়।
  • সিলিংয়ের পরে লিক বা ক্ষতিগ্রস্ত কৌটা বাতিল করা উচিত।

বাণিজ্যিক গুরুত্ব

দেশি ফল কৌটাজাতকরণের মাধ্যমে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়। এটি কৃষকের আয় বাড়ায় এবং স্থানীয় শিল্পের প্রসারে সহায়ক হয়।


পরিবেশগত দিক

কৌটাজাতকরণে পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্লাস্টিকের পরিবর্তে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহারের প্রচেষ্টা বাড়ানো প্রয়োজন।


Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion