নাগরিক ও নাগরিকতা

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - | NCTB BOOK

আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। নাগরিক হিসেবে আমরা প্রত্যেকে কিছু অধিকার ভোগ এবং কর্তব্য পালন করি। আবার কতগুলো গুণের অধিকারী হয়ে আমরা সুনাগরিকে পরিণত হতে পারি । সুনাগরিক রাষ্ট্রের সম্পদ । আমাদের প্রত্যেকের সুনাগরিকতার শিক্ষা লাভ করা অত্যাবশ্যক । এ অধ্যায়ে নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণা, নাগরিকতা অর্জনের উপায়, দ্বৈত নাগরিকতা, সুনাগরিকের ধারণা ও বৈশিষ্ট্য, নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । এ অধ্যায় পড়া শেষে আমরা-
♦ নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব
♦ নাগরিকতা অর্জনের উপায় বর্ণনা করতে পারব
♦ দ্বৈত নাগরিকতা ব্যাখ্যা করতে পারব
♦ সুনাগরিকতার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব
♦ নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের ধারণা বর্ণনা করতে পারব
♦ নাগরিক অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারব
♦ নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে আগ্রহী হব ।

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

রাষ্ট্রে জনসংখ্যা কম হলে
রাষ্ট্রে সম্পদ বেশি হলে
রাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া হলে
সেনাবাহিনীতে যোগদান করলে
অর্থনৈতিক অধিকার
নৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
৪ এপ্রিল, ২০০৯
৫ এপ্রিল, ২০০৯
৪ এপ্রিল, ২০১০
৬ এপ্রিল, ২০১০
অধিক সম্পদ অর্জন করা
যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকা
যে কোনো সমস্যা সমাধান করা
পারিবারিক কল্যাণে অধিক মনোযোগী হওয়া
প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে
প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে
প্রায় ৩০০০ বছর পূর্বে
প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বে
নাগরিক হিসেবে ব্যক্তির কর্তব্য
নাগরিক হিসেবে ব্যক্তির পরিচয়
নাগরিক হিসেবে ব্যক্তির মর্যাদা
নাগরিক হিসেবে ব্যক্তির ভোটাধিকার
জন্মস্থান নীতি ও জন্মনীতি
শিক্ষানীতি
দীক্ষানীতি
কর্মনীতি
জন্মসূত্রে নাগরিকতা অর্জন
অনুমোদন সূত্রে নাগরিকতা অর্জন
চুক্তির মাধ্যমে নাগরিকতা অর্জন
মানবিকতার ভিত্তিতে নাগরিকতা অর্জন
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
অর্থনৈতিক অধিকার
নৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
অর্থনৈতিক অধিকার
নৈতিক অধিকার
উৎপাদন ও বণ্টন
ধর্মীয় শিক্ষাদান
সন্তান লালন-পালন
চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা
নির্বাচিত হওয়া
স্বাধীনভাবে চলাফেরার
পরিবার গঠনের
মত প্রকাশের
নির্ভুল ও স্পষ্ট
লিখিত ও স্পষ্ট
মৌখিক ও বিস্তারিত
নির্ভুল ও বিস্তারিত
আইন মান্য করা
যথাসময়ে কর প্রদান
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য
নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন
ব্যবসায়ীদের
নিরক্ষরদের
বুদ্ধিমান নাগরিকদের
প্রভাবশালী বিত্তবানদের
শুধু জন্মনীতি
জন্মস্থান নীতি
অনুমোদন সূত্রে
জন্মনীতি ও জন্মস্থান নীতি
উচ্চশিক্ষিত হওয়া
কর্তব্য সচেতন হওয়া
আত্মসংযমী হওয়া
অধিকার সচেতন হওয়া
রাষ্ট্রের নাগরিক
নিজ দেশের অধিবাসী
সকল দেশের অধিবাসী
নগরের অধিবাসী
অর্থনৈতিক কর্তব্য
আনুগত্য প্রদর্শন
আইনগত কর্তব্য পালন
সংহতি প্রকাশ
দর্পণস্বরূপ
সম্পদস্বরূপ
হাতিয়ার স্বরূপ
প্রাণস্বরূপ
সামাজিক শিক্ষা
সুনাগরিকতার শিক্ষা
গঠনমূলক শিক্ষা
রাজনৈতিক শিক্ষা
রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা
রাষ্ট্রে বসবাসকারী বিদেশি
রাষ্ট্রের বৃদ্ধ লোকেরা
রাষ্ট্র থেকে বিদেশে গিয়ে বসবাসকারী
রাষ্ট্রে স্থায়িভাবে বসবাস করা
যে রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করে
ব্যক্তির মর্যাদা
রাষ্ট্রের মর্যাদা
রাষ্ট্রের অধিবাসী
সমাজের অধিবাসী
নগরের অধিবাসী
পল্লির অধিবাসী
সরকারি চাকরি গ্রহণ
সম্পত্তি ক্রয়
আনুগত্য প্রদর্শন
ভাষা জানা
সামাজিক শিক্ষা
সুনাগরিকতার শিক্ষা
গঠনমূলক শিক্ষা
রাজনৈতিক শিক্ষা
রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা
রাষ্ট্রে বসবাসকারী বিদেশি
রাষ্ট্রের বৃদ্ধ লোকেরা
রাষ্ট্র থেকে বিদেশে গিয়ে বসবাসকারী
রাষ্ট্রে স্থায়িভাবে বসবাস করা
যে রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করে
ব্যক্তির মর্যাদা
রাষ্ট্রের মর্যাদা
রাষ্ট্রের অধিবাসী
সমাজের অধিবাসী
নগরের অধিবাসী
পল্লির অধিবাসী
সরকারি চাকরি গ্রহণ
সম্পত্তি ক্রয়
আনুগত্য প্রদর্শন
ভাষা জানা
বিবাহ, সেনাবাহিনীতে চাকরি গ্রহণ, সরকারি চাকরি গ্রহণ, ভাষা জানা
রাজনৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ বিবেচনা সাপেক্ষে
দেশীয় সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হওয়া
মানবিক সত্তা ও মানবতাবোধ বিবেচনা সাপেক্ষে
জন্মনীতি
জন্মস্থান নীতি
জন্মনীতি ও জন্মস্থান নীতি
কোনো নীতিই অনুসরণ করে না
শুধু জন্মনীতি
শুধু জন্মস্থান নীতি
অনুমোদনসূত্রে
জন্মনীতি ও জন্মস্থান নীতি
বুদ্ধিমত্তা
উচ্চশিক্ষা
উচ্চ মূল্যবোধ
নৈতিকতা
দলীয় মনোভাব
নির্লিপ্ততা
দাম্ভিকতা
বুদ্ধি/আত্মসংযম
উচ্চ শিক্ষিত হওয়া
কর্তব্য সচেতন হওয়া
আত্মসংযমী হওয়া
অধিকার সচেতন হওয়া
একনায়কতন্ত্রের
সমাজতন্ত্রের
স্বৈরতন্ত্রের
আধুনিক গণতান্ত্রিক
সাধারণ নাগরিক
বিদেশি নাগরিক
ক্ষমতাবান নাগরিক
বিবেকবান নাগরিক
ধনসম্পদ অর্জন করা
ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব জীবনের উন্নয়ন
ব্যক্তির সর্বজনীন কল্যাণ সাধন
সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি
ইচ্ছামত কাজ করার ক্ষমতা
স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা
যথেচ্ছা করার ক্ষমতা
যেকোনো মতামত প্রকাশ করার ক্ষমতা
দুর্বলের সাহায্য লাভের
সকলের ক্ষমতা লাভের
পরিবার গঠনের
মতামত প্রকাশের
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
আইনগত অধিকার
নৈতিক অধিকার
অর্থনৈতিক অধিকার
নৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
নৈতিক অধিকার
আইনগত অধিকার
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
চলাফেরার অধিকার
অবকাশ লাভের অধিকার
নির্বাচনের অধিকার
কর্মের অধিকার
নির্বাচনের অধিকার
আবেদন করার অধিকার
সরকারি চাকরি লাভের অধিকার
মতামত প্রকাশের অধিকার
নির্বাচনের অধিকার
আবেদন করার অধিকার
ধর্মীয় অধিকার
সরকারি চাকরি লাভের অধিকার
আবেদন করার অধিকার
পরিবার গঠন করার অধিকার
সরকারি চাকরি লাভের অধিকার
নির্বাচনের অধিকার
নির্বাচিত হওয়ার অধিকার
অবকাশ লাভের অধিকার
চাকরি লাভের অধিকার
মতামত প্রকাশের অধিকার
ধনসম্পদ অর্জন করা
ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব জীবনের উন্নয়ন
ব্যক্তির সর্বজনীন কল্যাণ সাধন
সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি
ইচ্ছামত কাজ করার ক্ষমতা
স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা
যথেচ্ছা করার ক্ষমতা
যেকোনো মতামত প্রকাশ করার ক্ষমতা
দুর্বলের সাহায্য লাভের
সকলের ক্ষমতা লাভের
পরিবার গঠনের
মতামত প্রকাশের
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
আইনগত অধিকার
নৈতিক অধিকার
অর্থনৈতিক অধিকার
নৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
নৈতিক অধিকার
আইনগত অধিকার
সামাজিক অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
চলাফেরার অধিকার
অবকাশ লাভের অধিকার
নির্বাচনের অধিকার
কর্মের অধিকার
নির্বাচনের অধিকার
আবেদন করার অধিকার
সরকারি চাকরি লাভের অধিকার
মতামত প্রকাশের অধিকার
নির্বাচনের অধিকার
আবেদন করার অধিকার
ধর্মীয় অধিকার
সরকারি চাকরি লাভের অধিকার
আবেদন করার অধিকার
পরিবার গঠন করার অধিকার
সরকারি চাকরি লাভের অধিকার
নির্বাচনের অধিকার
নির্বাচিত হওয়ার অধিকার
অবকাশ লাভের অধিকার
চাকরি লাভের অধিকার
মতামত প্রকাশের অধিকার
নৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার
আইনগত অধিকার
ব্যক্তিগত অধিকার
জীবনধারণের অধিকার
চলাফেরার অধিকার
নির্বাচন করার অধিকার
সম্পত্তির অধিকার
ভোট দেবার অধিকার
মত প্রকাশের অধিকার
জীবনধারণের অধিকার
চলাফেরা করার অধিকার
কর্মের অধিকার
ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার
অবকাশ লাভের অধিকার
আবেদন করার অধিকার
পরিবার গঠনের অধিকার
নির্বাচনে ভোটাধিকার
যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার অধিকার
মতামত প্রকাশের অধিকার
চুক্তি করার অধিকার
কর্মের অধিকার
অবকাশ লাভের অধিকার
শ্রমিক সংঘ গঠনের অধিকার
রাজনৈতিক অধিকার
অর্থনৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার
নৈতিক অধিকার
সঠিকভাবে তথ্য উপস্থাপন করার অধিকার
তথ্য বিভ্রাটি করার অধিকার
তথ্য গোপন করার অধিকার
কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার
ধনসম্পত্তি অর্জনে
জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায়
নাগরিক অধিকারে
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে
নাগরিকের কর্তব্যের
সামাজিক নৈতিকতার
রাষ্ট্রের অধিকারের
রাষ্ট্রের কর্তব্যের
আইন মান্য করা
আইন তৈরি করা
রাষ্ট্রকে রক্ষা করা
সেনাবাহিনীতে যোগদান করা
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা
রাজনীতি করা
কর প্রদান করা
সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করা
রাজনীতি করা
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা
সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করা
কর প্রদান করা
নির্বাচনে ভোটাধিকার
মত প্রকাশের
পরিবার গঠনের
সততার সাথে ভোটদান
সমাজ ও গোত্রের জন্য
দেশ ও প্রদেশের জন্য
রাষ্ট্র ও কল্যাণের জন্য
রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য
নাগরিকের সাধারণ অধিকার
রাষ্ট্রের অলিখিত দলিল
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ
রাষ্ট্রের লিখিত দলিল
অবৈধ ধনসম্পত্তির মালিক হওয়া
রাষ্ট্রীয় মূলনীতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন
সৎপথে উপার্জন করা
গরিবদের হক আদায় করা
কর্তব্যের দাবি দ্বারা
দায়িত্ব দ্বারা
মানবিক গুণাবলি দ্বারা
সামাজিক কর্তব্য দ্বারা
অনুচ্ছেদটি পড়ে 1 ও 2 নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

জনাব হাফিজের মানিকগঞ্জে একটি দিয়াশলাই কারখানা আছে । তিনি তাঁর কারখানার আয়ের উপর প্রতি বছর সরকার নির্ধারিত কর পরিশোধ করেন ।
 

নৈতিক অধিকার
আইনগত অধিকার
নৈতিক কর্তব্য
আইনগত কর্তব্য
রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষা
নাগরিকের সামাজিক অধিকার রক্ষা
নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

জনাব হাফিজের মানিকগঞ্জে একটি দিয়াশলাই কারখানা আছে। তিনি তাঁর কারখানার আয়ের ওপর প্রতি বছর সরকার নির্ধারিত কর পরিশোধ করেন।

নৈতিক অধিকার
আইনগত অধিকার
নৈতিক কর্তব্য
আইনগত কর্তব্য
রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষা
নাগরিকের সামাজিক অধিকার রক্ষা
নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

জনাব 'X' একজন আমেরিকা প্রবাসী। তিনি সেখানে একজন আমেরিকান মহিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে। 

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

মি. সাংহুয়া চীনের একজন খ্যাতনামা প্রকৌশলী। তিনি ঢাকা- বুড়িগঙ্গা সেতু নির্মাণের প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পরিবারসহ প্রায় পঁচিশ বছর আগে বাংলাদেশে এসে বসবাস করছেন। তিনি এদেশে জমি ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করেছেন। নিয়মনীতি অনুসরণপূর্বক এখন তারা পরিবারের সকলে বাংলাদেশের নাগরিক। 

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

মি. সাংহুয়া চীনের একজন খ্যাতনামা প্রকৌশলী। তিনি ঢাকা- বুড়িগঙ্গা সেতু নির্মাণের প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পরিবারসহ প্রায় পঁচিশ বছর আগে বাংলাদেশে এসে বসবাস করছেন। তিনি এদেশে জমি ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করেছেন। নিয়মনীতি অনুসরণপূর্বক এখন তারা পরিবারের সকলে বাংলাদেশের নাগরিক। 

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

বাংলাদেশের নাগরিক ইসহাক সাহেব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি জাহাজের নাবিক। তিনি সমীক এই জাহাজে বসবাসকালে তার কন্যা রীনার জন্ম হয়। ইসহাক সাহেব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাগরিকতা লাভের জন্য আবেদন করলে সপরিবারে নাগরিকত্ব লাভ করেন। 

সপরিবারে বসবাস
সরকারি চাকরি করা
সন্তানের জন্ম দেওয়া
নাগরিকতার জন্য আবেদন করা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

জনাব আজিজ সাহেব একজন সরকারি কর্মকর্তা। বিভিন্ন উপায়ে ঘুষ গ্রহণের অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি তা গ্রহণ করেন না ৷ দ্রব্যমূল্যের ঊরগতির কারণে তাকে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করতে হয়।

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

আমেরিকার নাগরিক মি. আইজ্যাক তার স্ত্রীকে নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগে ভারতে গমন করেন। ভারতে আসার পর তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

জনাব আব্দুল মোতালেব ডিভি লটারি পেয়ে আমেরিকা গমন করেন এবং সে দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন। বাংলাদেশে ফিরে এসে লাবণী নামক মেয়েকে বিয়ে করে সেখানে নিয়ে যান। সে দেশে তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। সন্তানের নাম রাখা হয় সাকিল। সাকিলও এখন আমেরিকার নাগরিক ।

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

মি. রহিম কাজের কারণে একসময় প্রবাসে পাড়ি জমান। তিনি প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ আমেরিকায় অবস্থান করেন এবং পরবর্তীতে এক আমেরিকান মহিলাকে বিবাহ করে স্থায়িভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি মাঝে মাঝে বাবা-মাকে দেখতে দেশে আসেন। 

জন্মসূত্রে
অনুমোদন সূত্রে
জন্মস্থান সূত্রে
জন্মনীতি সূত্রে
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

আনাস সাহেব তার একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীসহ ২ বছর পূর্বে চাকরি নিয়ে আমেরিকায় যায়। সেখানে সে বসবাস করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের আইনকানুন মেনে চলে এবং রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত কতিপয় অধিকার ভোগ করে ।

তিনি আমেরিকার নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন
তিনি সেখানকার সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন
তার সন্তান হবে আমেরিকার নাগরিক
তিনি স্বাধীনভাবে নিজ ধর্ম পালন করতে পারবেন
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

রবিন বাংলাদেশের নাগরিক। সে জীবিকার তাগিদে সরকারি ভিসা নিয়ে লিবিয়ায় যায়। লিবিয়ায় রাজনৈতিক সংকটের সময় সে দেশে ফিরে আসার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্য কামনা করে ।

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

রহিমা স্কুলে যাওয়ার পথে অন্য গ্রামের ছেলেরা তাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করে। তার পরিবার উক্ত বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে, প্রশাসন ঐ সমস্ত ছেলেদেরকে শাস্তি প্রদান করে।

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

শরীফ সাহেব একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি একজন সচেতন নাগরিকও। তিনি সময়মতো আয়কর পরিশোধ করেন। রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য তিনি নানারকম সেবামূলক কাজও করে থাকেন। নির্বাচনের সময় তিনি সৎ ও যোগ্যপ্রার্থী বেছে নিয়ে ভোট প্রদান করেন।

ভালো মানুষ
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা
সুনাগরিকতা
আদর্শ মানুষ
রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য
জনকল্যাণের জন্য
টাকার বৈধতা দানের জন্য
জননেতা হওয়ার জন্য
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

আরমিন রাউজানে জন্মগ্রহণ করে সেখানেই জায়গা কিনে স্থায়ী ও স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করেন। তার ক্রয়কৃত জায়গায় একটি কারখানা স্থাপন করে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং তিনি সরকারের নির্ধারিত করও পরিশোধ করেন। এলাকায় তাকে সবাই সজ্জন লোক হিসেবে শ্রদ্ধা করে।

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

টকর চীন থেকে বাংলাদেশে সেতু নির্মাণের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পরিবারসহ প্রায় ত্রিশ বছর আগে এসে বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসরত রয়েছে। সে এদেশে জমি ক্রয় করে বাড়ী তৈরি করেছেন। টকর সাহেবের ছেলে টনি ২০ বছর আগে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তারা উভয়ে এখন বাংলাদেশের নাগরিক।

জন্মসূত্রে
অনুমোদনসূত্রে
বৈবাহিকসূত্রে
জন্মস্থান নীতি সূত্রে
জন্মসূত্রে
অনুমোদনসূত্রে
বৈবাহিকসূত্রে
সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর

মিলন ও পিলিপ দুই বন্ধু একই বিষয়ে একই বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে । মিলন বাংলাদেশি আর পিলিপ নেপালি। মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা নির্বাচিত হয়েছে কিন্তু পিলিপ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রনেতা হতে পারেনি।

রাজনৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার
অর্থনৈতিক অধিকার
নৈতিক অধিকার

নাগরিক ও নাগরিকতা

আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণার উদ্ভব হয়। প্রাচীন গ্রিসে তখন নগরকেন্দ্রিক ছোট ছোট রাষ্ট্র ছিল, সেগুলোকে নগর-রাষ্ট্র বলা হতো। এসব নগর-রাষ্ট্রে যারা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত তারা নাগরিক হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের ভোটাধিকার ছিল। তবে নগর-রাষ্ট্রে নারী, বিদেশি ও গৃহভৃত্য-এরা নাগরিক ছিল না। সময়ের পরিক্রমায় নাগরিকত্বের ধারণায় অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে নাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে কোনো পার্থক্য করা হয় না।
আমরা বাংলাদেশের নাগরিক । কারণ, আমরা এদেশে জন্মগ্রহণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি, রাষ্ট্রপ্রদত্ত সকল প্রকার অধিকার (সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক) ভোগ করছি এবং রাষ্ট্রের প্রতি বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করছি। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে, রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভোগ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করে, তাকে ঐ রাষ্ট্রের নাগরিক বলে ।
নাগরিক ও নাগরিকতাকে কেউ কেউ একই অর্থে ব্যবহার করেন। আসলে এদের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ রয়েছে। নাগরিক হলো ব্যক্তির পরিচয় । যেমন- আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক । আর রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ব্যক্তি যে মর্যাদা ও সম্মান পেয়ে থাকে তাকে নাগরিকতা বলে ।

নাগরিকতা অর্জনের পদ্ধতি

নাগরিকতা অর্জনের দুটি পদ্ধতি রয়েছে । যেমন- ক) জন্মসূত্র ও খ) অনুমোদন সূত্র ।
ক. জন্মসূত্রে নাগরিকতা অর্জনের পদ্ধতি : জন্মগ্রহণই যখন নাগরিকতা অর্জনের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় তখন তাকে জন্মসূত্রে নাগরিক বলা হয়। জন্মসূত্রে নাগরিকতা অর্জনের ক্ষেত্রে দুটি নীতি অনুসরণ করা হয় । যথা- ১ । জন্মনীতি ও ২ । জন্মস্থান নীতি ।
১. জন্মনীতি : এ নীতি অনুযায়ী পিতা-মাতার নাগরিকতা দ্বারা সন্তানের নাগরিকতা নির্ধারিত হয় । এ ক্ষেত্রে শিশু যে দেশে বা যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, পিতা-মাতার নাগরিকতা দ্বারা সন্তানের নাগরিকতা নির্ধারিত হয়। যেমন- বাংলাদেশের কোনো এক দম্পতি যুক্তরাজ্যে গিয়ে একটি সন্তান জন্ম দান করলেন । এ নীতি অনুসারে ঐ সন্তান বাংলাদেশের নাগরিকতা লাভ করবে। কারণ তার পিতা-মাতা বাংলাদেশের নাগরিক ।
২. জন্মস্থান নীতি : এ নীতি অনুযায়ী পিতা-মাতা যে দেশেরই নাগরিক হোক না কেন, সন্তান যে রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করবে সে ঐ রাষ্ট্রের নাগরিকতা লাভ করবে। যেমন-কোনো বাংলাদেশি পিতা-মাতার সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে, সেই সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকতা লাভ করবে। এ ক্ষেত্রে নাগরিকতা নির্ধারণে রাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ নীতি অনুযায়ী কোনো মা-বাবার সন্তান অন্য দেশের জাহাজ বা দূতাবাসে জন্মগ্রহণ করলেও জাহাজ বা দূতাবাস যে দেশের সে ঐ দেশের নাগরিক হবে । এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, জন্মসূত্রে নাগরিকতা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জন্মনীতি অনুসরণ করে । বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। অন্যদিকে, আমেরিকা, কানাডাসহ অল্প কয়েকটি দেশ জন্মস্থান নীতির মাধ্যমে নাগরিকতা নির্ধারণ করে ।
অনুমোদন সূত্রে নাগরিকতা অর্জনের পদ্ধতি : কতগুলো শর্ত পালনের মাধ্যমে এক রাষ্ট্রের নাগরিক অন্য রাষ্ট্রের নাগরিকতা অর্জন করলে তাকে অনুমোদন সূত্রে নাগরিক বলা হয় । সাধারণত অনুমোদন সূত্রে নাগরিকতা অর্জনের ক্ষেত্রে যেসব শর্ত পালন করতে হয় সেগুলো হলো- ১) সেই রাষ্ট্রের নাগরিককে বিয়ে করা, ২) সরকারি চাকরি করা, ৩) সততার পরিচয় দেওয়া, ৪) সে দেশের ভাষা জানা, ৫) সম্পত্তি ক্রয় করা, ৬) দীর্ঘদিন বসবাস করা, ৭) সেনাবাহিনীতে যোগদান করা । রাষ্ট্রভেদে এসব শর্ত ভিন্ন হতে পারে ।
কোনো ব্যক্তি যদি এসব শর্তের এক বা একাধিক শর্ত পূরণ করে, তবে তাকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদন ঐ রাষ্ট্রের সরকার কর্তৃক গৃহীত হলে সে অনুমোদন সূত্রে নাগরিকে পরিণত হয় । বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রে অনুমোদন সূত্রে নাগরিকত্ব লাভের মাধ্যমে বসবাস করছে । তাছাড়া মানবিক কারণেও নাগরিকতা দেওয়া হয় । যেমন- কোনো ব্যক্তি যদি কোনো রাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়, তবে সেই রাষ্ট্র তার আবেদনের ভিত্তিতে তাকে নাগরিকত্ব দিতে পারে ।

দ্বৈত নাগরিকতা

একজন ব্যক্তির একই সঙ্গে দুটি রাষ্ট্রের নাগরিকতা অর্জনকে দ্বৈত নাগরিকতা বলে। সাধারণত একজন ব্যক্তি একটিমাত্র রাষ্ট্রের নাগরিকতা অর্জনের সুযোগ পায়। তবে জন্মসূত্রে নাগরিকতা অর্জনের দুটি নীতি থাকায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- বাংলাদেশ নাগরিকতা নির্ধারণে জন্মনীতি অনুসরণ করে, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জন্মনীতি ও জন্মস্থান উভয় নীতি অনুসরণ করে। কাজেই বাংলাদেশের পিতা-মাতার সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে সেই সন্তান জন্মস্থান নীতি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকতা লাভ করবে । আবার জন্মনীতি অনুযায়ী সে বাংলাদেশের নাগরিকতা অর্জন করবে। এক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকতার সৃষ্টি হবে। তবে পূর্ণবয়স্ক হলে তাকে যেকোনো একটি রাষ্ট্রের অর্থাৎ বাংলাদেশ কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে।

সুনাগরিক

রাষ্ট্রের সব নাগরিক সুনাগরিক নয় । আমাদের মধ্যে যে বুদ্ধিমান, যে সকল সমস্যা অতি সহজে সমাধান করে, যার বিবেক আছে সে ন্যায়-অন্যায়, সৎ-অসৎ বুঝতে পারে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকে, আর যে আত্মসংযমী সে বৃহত্তর স্বার্থে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে পারে । এসব গুণসম্পন্ন নাগরিকদের বলা হয় সুনাগরিক । উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সুনাগরিকের প্রধানত তিনটি গুণ রয়েছে । যথা- ১। বুদ্ধি, ২। বিবেক ও ৩। আত্মসংযম ।
১. বুদ্ধি : বুদ্ধি সুনাগরিকের অন্যতম গুণ । বুদ্ধিমান নাগরিক পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বহুমুখী সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে । সুনাগরিকের বুদ্ধির উপর নির্ভর করে আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সফলতা। তাই বুদ্ধিমান নাগরিক রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সম্পদ । প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত নাগরিকদের যথাযথ শিক্ষাদানের মাধ্যমে বুদ্ধিমান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ।
২. বিবেক : রাষ্ট্রের নাগরিকদের হতে হবে বিবেকবোধসম্পন্ন। এ গুণের মাধ্যমে নাগরিক ন্যায়-অন্যায়, সৎ-অসৎ, ভালো-মন্দ অনুধাবন করতে পারে। বিবেকবান নাগরিক একদিকে যেমন রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভোগ করে, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের প্রতি যথাযথভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে এবং ন্যায়ের পক্ষে থাকে । যেমন- বিবেকসম্পন্ন নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকে, আইন মান্য করে, যথাসময়ে কর প্রদান করে, নির্বাচনে যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিকে ভোট দেয় ।
৩. আত্মসংযম : সুনাগরিকের আত্মসংযম থাকা উচিত। এর অর্থ নিজেকে সকল প্রকার লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে রেখে সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা। অর্থাৎ সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করার নাম আত্মসংযম। আমাদের মধ্যে যিনি এ গুণের অধিকারী তিনি যেমন স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তেমনি অন্যের মতামত প্রকাশেও নিজেকে সংযত রাখেন। এ ছাড়া, প্রত্যেক নাগরিককে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে । এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয় ।

নাগরিক অধিকার

অধিকার হলো সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত কতগুলো সুযোগ-সুবিধা, যা ভোগের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। অধিকার ব্যতীত মানুষ তার ব্যক্তিত্বকে উপলব্ধি করতে পারে না। অধিকারের মূল লক্ষ্য ব্যক্তির সর্বজনীন কল্যাণ সাধন । রাষ্ট্রের নাগরিকদের মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য অধিকার অপরিহার্য। আমরা অনেক সময় অধিকার বলতে ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো কিছু করার ক্ষমতাকে বুঝি। কিন্তু যেমন খুশি তেমন কাজ করা অধিকার হতে পারে না। অধিকার সকল নাগরিকের মঙ্গল ও উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদান করা হয়। অধিকারের নামে আমাদের এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়, যার ফলে অন্যের ক্ষতি হতে পারে ।

অধিকারের শ্রেণিবিভাগ

অধিকার প্রধানত দুই প্রকার। যথা- ১। নৈতিক অধিকার ও ২। আইনগত অধিকার ।

১. নৈতিক অধিকার : নৈতিক অধিকার মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে আসে । যেমন- দুর্বলের সাহায্য লাভের অধিকার নৈতিক অধিকার। এটি রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণয়ন করা হয় না যার ফলে এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। তাছাড়া এ অধিকার ভঙ্গকারীকে কোনো শাস্তি দেওয়া হয় না । নৈতিক অধিকার বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন রকম হতে পারে। আইনগত অধিকার : যেসব অধিকার রাষ্ট্রের আইন কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত, সেগুলোকে আইনগত অধিকার বলে। আইনগত অধিকারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ক. সামাজিক খ. রাজনৈতিক ও গ. অর্থনৈতিক অধিকার ।

ক. সামাজিক অধিকার : সমাজে সুখ-শান্তিতে বসবাস করার জন্য আমরা সামাজিক অধিকার ভোগ করি । যেমন- জীবন রক্ষার, স্বাধীনভাবে চলাফেরার ও মত প্রকাশের, পরিবার গঠনের, শিক্ষার, আইনের দৃষ্টিতে সমান সুযোগ লাভের, সম্পত্তি লাভের ও ধর্মচর্চার অধিকার ইত্যাদি ।
খ. রাজনৈতিক অধিকার : নির্বাচনে ভোটাধিকার, নির্বাচিত হওয়া এবং সকল প্রকার অভাব-অভিযোগ আবেদনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়াকে রাজনৈতিক অধিকার বলে। এসব অধিকার ভোগের বিনিময়ে নাগরিকরা রাষ্ট্র পরিচালনায় পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় ।
গ. অর্থনৈতিক অধিকার: জীবনধারণ করা এবং জীবনকে উন্নত ও এগিয়ে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকারকে অর্থনৈতিক অধিকার বলে । যেমন- যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার অধিকার, ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার, অবকাশ লাভের অধিকার, শ্রমিকসংঘ গঠনের অধিকার ।

তথ্য অধিকার আইন

জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন একটি যুগান্তকারী আইন। তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য জাতীয় সংসদে ৩০ মার্চ ২০০৯ তারিখে এ সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদন করে। এরপর ৫ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে তথ্য অধিকার আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে। জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই আইনটি সকল নাগরিকের জানা একান্ত প্রয়োজন ।
‘তথ্য’ হচ্ছে কোনো কর্তৃপক্ষের গঠন, কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড-সংক্রান্ত যেকোনো স্মারক, বই, নকশা, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগ বহি, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিও, ভিডিও, অঙ্কিত চিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যেকোনো ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যেকোনো তথ্যবহুল বস্তু বা এর প্রতিলিপি । তবে শর্ত থাকে যে দাপ্তরিক নোট শিট বা নোট শিটের প্রতিলিপি এর অন্তর্ভুক্ত হবে না ।
‘তথ্য অধিকার’ অর্থ কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে তথ্য প্রাপ্তির অধিকার । আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার থাকবে এবং কোনো নাগরিকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে। তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ যাবতীয় তথ্যের তালিকা এবং সূচি প্রস্তুত করে যাথাযথভাবে সংরক্ষণ করে রাখবে ।

যে-সব তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামুলক নয়

তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য জানার অধিকার থাকলেও কিছু কিছু তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয়। যেমন- ১। বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অখণ্ডতাও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হতে পারে, ২। পররাষ্ট্রনীতির কোনো বিষয়, যার দ্বারা বিদেশি রাষ্ট্রের অথবা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা বা আঞ্চলিক কোনো জোট বা সংগঠনের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়ন হতে পারে, ৩ । কোনো বিদেশি সরকারের নিকট হতে প্রাপ্ত কোনো গোপনীয় তথ্য, ৪। কোনো তৃতীয় পক্ষের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ৫ । কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা সংস্থাকে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, ৬। প্রচলিত আইনের প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বা অপরাধ বৃদ্ধি পেতে পারে, ৭ । জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বা বিচারাধীন মামলার সুষ্ঠু বিচারকার্য ব্যাহত হতে পারে, ৮। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হতে পারে, ৯ । কোনো ব্যক্তির জীবন বা শারীরিক নিরাপত্তা বিপদাপন্ন হতে পারে, ১০। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তার জন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক গোপনে প্রদত্ত কোনো তথ্য, ১১। আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয় এবং যা প্রকাশে আদালত বা ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অথবা যা প্রকাশ আদালত অবমাননার শামিল, ১২। তদন্তাধীন কোনো বিষয় যা প্রকাশে তদন্তকাজের বিঘ্ন ঘটতে পারে, ১৩। কোনো অপরাধের তদন্তপ্রক্রিয়া এবং যা অপরাধীর গ্রেফতার ও শাস্তিকে প্রভাবিত করতে পারে, ১৪। আইন অনুসারে কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, ১৫। কৌশলগত ও বাণিজ্যিক কারণে গোপন রাখা বাঞ্ছনীয় এরূপ কারিগরি বা বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ ফলাফল, ১৬। কোনো ক্রয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বা উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্রয় বা এর কার্যক্রম সংক্রান্ত, ১৭। জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিকারহানির কারণ হতে পারে, ১৮। কোনো ব্যক্তির আইন দ্বারা সংরক্ষিত গোপনীয় তথ্য, ১৯ । পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বা পরীক্ষায় প্রদত্ত নম্বর সম্পর্কিত আগাম তথ্য ইত্যাদি ।

তথ্য প্রাপ্তির প্রক্রিয়া

কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন তথ্য প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে বা ই-মেইলে অনুরোধ করতে পারবেন । উল্লিখিত অনুরোধে যেসব বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে, সেগুলো হলো- ১। অনুরোধকারীর নাম, ঠিকানা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফ্যাক্স নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা, ২। যে তথ্যের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে তার নির্ভুল এবং স্পষ্ট বর্ণনা, ৩। অনুরোধকৃত তথ্যের অবস্থান নির্ণয়ের সুবিধার্থে অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলি, ৪। কোন পদ্ধতিতে তথ্য পেতে আগ্রহী তার বর্ণনা অর্থাৎ পরিদর্শন করা, অনুলিপি নেওয়া, নোট নেওয়া বা অন্য কোনো অনুমোদিত পদ্ধতি ।

তথ্য প্রদান পদ্ধতি

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ থেকে অনধিক ২০ (বিশ) কার্যদিবসের মধ্যে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করবেন । অনুরোধকৃত তথ্যের সাথে একাধিক তথ্য প্রদান ইউনিট বা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকলে অনধিক ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করতে হবে । দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো কারণে তথ্য প্রদানে অপারগ হলে অপারগতার কারণ উল্লেখ করে আবেদন প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে তিনি অনুরোধকারীকে অবহিত করবেন ।

নাগরিকের কর্তব্য

রাষ্ট্রের নিকট নাগরিকের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপ রাষ্ট্রের প্রতিও নাগরিকের কর্তব্য রয়েছে । কর্তব্য পালন ব্যতীত অধিকার ভোগ করা প্রত্যাশিত নয়। বিভিন্ন অধিকার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্র নাগরিকদের নিজের প্রতি অনুগত ও দায়িত্বশীল করে তোলে। রাষ্ট্র প্রদত্ত অধিকারের মাধ্যমে নাগরিক জীবন বিকশিত হয় । এর বিনিময়ে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা, সততার সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, নিয়মিত কর প্রদান করা, আইন মান্য করা এবং রাষ্ট্রপ্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন নাগরিকদের কর্তব্য ।

কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ

অধিকার ভোগ করতে গিয়ে নাগরিকরা যেসব দায়িত্ব পালন করে, তাকে কর্তব্য বলে। নাগরিকের কর্তব্যকে দুভাগে ভাগ করা যায় । যথা-ক । নৈতিক কর্তব্য ও খ। আইনগত কর্তব্য ।
ক. নৈতিক কর্তব্য : নৈতিক কর্তব্য মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে আসে। যেমন- নিজে শিক্ষিত হওয়া এবং সন্তানদের শিক্ষিত করা, সততার সাথে ভোট দান, রাষ্ট্রের সেবা করা এবং বিশ্বমানবতার সাহায্যে এগিয়ে আসা। এসব কর্তব্য নাগরিকদের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে সৃষ্টি হওয়ায় এগুলোকে নৈতিক কর্তব্য বলে ।
খ. আইনগত কর্তব্য : রাষ্ট্রের আইন দ্বারা আরোপিত কর্তব্যকে আইনগত কর্তব্য বলে । রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, আইন মান্য ও কর প্রদান করা নাগরিকের আইনগত কর্তব্য। এসব কর্তব্য রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত । নাগরিকদের আইনগত কর্তব্য অবশ্যই পালন করতে হয়। এ কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে শাস্তি পেতে হয় । আইনগত কর্তব্য রাষ্ট্র ও নাগরিকের কল্যাণের জন্য অপরিহার্য। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
১. রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য : দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, সংবিধান, রাষ্ট্রীয় মূলনীতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন ইত্যাদির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পায়। অন্যভাবে বলা যায়, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, সংহতি ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য প্রয়োজনবোধে নিজের জীবন উৎসর্গ করার অর্থ হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ।
২. আইন মান্য করা : আমাদের জীবন, সম্পত্তি ও স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হচ্ছে আইন । আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য । আইনের অবর্তমানে সমাজ ও জীবন হয়ে উঠে অরাজকতাপূর্ণ । আইনবিহীন সমাজ, রাষ্ট্র ও নাগরিক জীবন কিছুই কল্পনা করা যায় না । নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে । সুতরাং নাগরিকদের আইন মান্য করা কর্তব্য। কর প্রদান করা : রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সরকারের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। এ জন্য সরকার নাগরিকদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আরোপ করে । কাজেই নিয়মিত ও যথাযথভাবে কর প্রদান করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য ।

অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক

অধিকার ও কর্তব্য শব্দ দুটি ভিন্ন হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। নিম্নে অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক বর্ণিত হলো-
প্রথমত, অধিকার ভোগ করলে কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- ভোটদান নাগরিকের অধিকার, ভোটাধিকার প্রয়োগ নাগরিকের কর্তব্য । একটি ভোগ করলে অন্যটি পালন করতে হয়। সুতরাং বলা যায়, অধিকার ভোগের মধ্যে কর্তব্য নিহিত থাকে ।
দ্বিতীয়ত, একজনের অধিকার বলতে অন্যজনের কর্তব্য নির্দেশ করে। যেমন- আমার পথ চলার অধিকার আছে- এর অর্থ আমি পথ চলব এবং অন্যজনকেও পথ চলতে দেব। আবার, আমি যখন পথ চলব অন্যজনও আমার পথ চলার সুযোগ করে দিবে। কাজেই অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ।
তৃতীয়ত, আমরা রাষ্ট্রপ্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করি। তার বিনিময়ে আমাদের কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা, আইন মান্য করা, কর প্রদান করা ইত্যাদি কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই আমরা রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভোগ করি ।
চতুর্থত, সমাজের সদস্য হিসেবে আমরা শিক্ষালাভের অধিকার ভোগ করি এবং সমাজের কল্যাণে আমাদের অর্জিত শিক্ষাকে প্রয়োগ করে সমাজের উন্নয়ন করি। শিক্ষালাভ আমাদের অধিকার, অর্জিত শিক্ষা প্রয়োগ করা কর্তব্য । সুতরাং বলা যায়, অধিকার ও কর্তব্য সমাজবোধ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ।
মূলত অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । একটিকে বাদ দিয়ে অপরটি ভোগ করা সম্ভব নয় । তাই বলা যায়, অধিকার কর্তব্যের মধ্যেই নিহিত ।

Promotion