পর্যবেক্ষণ দ্বারা রোগ সনাক্তকরণ।

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK
  • চিংড়ির খোলস বা শিরোবক্ষ অঞ্চলের ক্যারাপেসে (Carapace) কালো রং দেখা দেয়। 
  • পদ উপাঙ্গ, ইউরোপড এবং ক্যারাপেসে কালো দাগের সৃষ্টি হয়। 
  •  বহিঃকংকাল হালকা সাদা বর্ণ ধারণ করে। 
  • চলন ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অলসভাবে চলাফেরা করে অথবা লাফ দিতে কিংবা দেহ বাঁকানো। 
  • দেখা যায় পুকুরের পাড়ের দিকে ভেসে থাকতে দেখা যায়। 
  •  চিংড়ির ফুলকা বাদামি বর্ণ ধারণ করে এবং রোগাক্রান্ত চিংড়ি এলোমেলো বা অনিয়মিতভাবে সাঁতার কাটতে থাকে। 
  • রোগাক্রান্ত দেহে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে কিছুটা বসে যায়, কিন্তু সুস্থ সবল চিংড়িতে এমন গর্ত হয় না । 
  •  খাদ্যনালী কেটে দেখলে কোনো খাদ্যকণা দেখা যায় না। 
  •  ফুলকা কমলা, হলদে, লাল, বাদামি কিংবা তামাটে রং ধারণ করে। 
  • ফুলকা স্বাভাবিক মনে হয় না, ফুলকা ছিড়ে যায়।
  •  যকৃত অগ্নাশয় প্রস্থিতে স্বাভাবিক রঙের পরিবর্তন ঘটে কিংবা হলুদ বর্ণ দেখা দেয়। 
  •  চক্ষু-ছাই ও ঘোলাটে বর্ণ ধারণ করে। 
  •  চিংড়ির খোলস ফ্যাকাসে ও শক্ত আকৃতির হয়ে যায়। 
  •  চিংড়ি স্বাভাবিকভাবে লেজ সংকুচিত ও সম্প্রসারিত করতে পারে না। 
  • রোগাক্রান্ত চিংড়ির চোখের বর্ণ সাদা হয়।
  • চিংড়ির মাংসপেশির সংযোগস্থলে কিংবা লেজের নিম্নাংশের মাংস পেশিতে কালো দাগ বা লম্বা কালো আঁচড় দেখা যায়। 
  • উদর এবং শিরোবক্ষে খোলসের সংযোগস্থলে বাদামি বর্ণের ফোটা দাগ বা ডোরা কাটা দাগ দেখা যায়
  •  চিংড়ির লেজ লাল বর্ণ ধারণ করে এবং চিংড়ির বহিঃত্বক হালকা লাল বর্ণ ধারণ করে
  • চলন পদ উপাঙ্গ দেহের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, এবং
  • লেজের অংশ বিশেষে ফোটা ফোটা দাগ দেখা যায় এবং কোনো কোনো অংশ স্ফীত হয়ে যায়।

পরিবেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে রোগ সনাক্তকরণ: পুকুরের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেও রোগাক্রান্ত বিষয়ে পূর্বাভাস করা যায়। হঠাৎ পুকুরের পানির রঙের পরিবর্তন ঘটলে বা পানির তাপমাত্রা ৩২° সে. এর উপরে আসলে গলদা চিংড়ির রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দিনের বেলায় পানির উপর দিয়ে চিংড়ি দ্রুত সাঁতার কাটলে বুঝতে হবে পুকুরে অক্সিজেনের অভাব ঘটেছে।

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion