পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের পরিসর বা বিষয়বস্তু

নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - পৌরনীতি ও নাগরিকতা | | NCTB BOOK
4

পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের পরিসর ব্যাপক ও বিস্তৃত। নিম্নে আমরা এর পরিসর বা বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব-

১. নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য : রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা যেমন রাষ্ট্রপ্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মৌলিক অধিকার ভোগ করি, তেমনি আমাদেরকেও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, আইন মান্য করা, সঠিক সময়ে কর প্রদান করা, সন্তানদের শিক্ষিত করা, রাষ্ট্রের সেবা করা, সততার সাথে ভোটদান ইত্যাদি । নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য ‘পৌরনীতি ও নাগরিকতা'র বিষয়বস্তু। তাছাড়া সুনাগরিকতার বৈশিষ্ট্য, সুনাগরিকতা অর্জনের প্রতিবন্ধকতা এবং তা দূর করার উপায় ‘পৌরনীতি ও নাগরিকতা’ বিষয়ে আলোচনা করা হয় ।

২. সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান : নাগরিক জীবনকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। যেমন- পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, নির্বাচন, রাজনৈতিক দল ইত্যাদি । এদের উৎপত্তি, প্রকৃতি ও কার্যাবলি পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে আলোচনা করা হয় । তাছাড়া সামাজিক মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য, সংবিধান, জনমত প্রভৃতি পৌরনীতি ও নাগরিকতার আলোচ্য বিষয় ।

৩. নাগরিকতার স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় : আমরা যেখানে বাস করি, সেখানে আমাদেরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান । যেমন- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি । ঠিক তেমনি নাগরিককে কেন্দ্র করে জাতীয় পর্যায়ে আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। এসব স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গঠন, কার্যাবলি, অবদান এবং নাগরিকের সাথে এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক নিয়ে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে আলোচনা করা হয় ।

৪. নাগরিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ : পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি নাগরিকদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে। যেমন- অতীতে নাগরিকতা কীভাবে নির্ণয় করা হতো, নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য কেমন ছিল, বর্তমানের নাগরিকের মর্যাদা কিরূপ- এসবের উপর ভিত্তি করে ‘পৌরনীতি ও নাগরিকতা' বিষয়টি ভবিষ্যৎ নাগরিক জীবনের দিকনির্দেশনা প্রদান করে ।

Promotion