বাণিজ্যিক ব্যাংক সাধারণত নিম্নলিখিত উৎস থেকে তার তহবিল সংগ্রহ করে থাকে। এর কিছু বহিস্থ উৎস আর কিছু অভ্যন্তরীণ উৎস ।
১) পরিশোধিত মূলধন : ব্যাংকের প্রাথমিক ও প্রধান উৎস হচ্ছে পরিশোধিত মূলধন। অংশীদারি কারবারি প্রতিষ্ঠান হলে মালিকগণ নিজেরা মূলধন সরবরাহ করে এবং যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠান হলে শেয়ার ইস্যু করে মূলধন গঠন করা হয়।
২) সংরক্ষিত তহবিল : প্রতিবছর মুনাফার একটি অংশ শেয়ারহোল্ডার বা মালিকগণের মধ্যে বণ্টন না করে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখা হয় তাকে সংরক্ষিত তহবিল বলে। এই অর্থ ভবিষ্যতে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
৩) আমানত : বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহ্যিক উৎস হচ্ছে আমানত। ব্যাংক বিভিন্ন মেয়াদে (যথা চলতি, সঞ্চয়ী, স্থায়ী) আমানত গ্রহণ করে থাকে, যা আমানতকারীরা একত্রে তুলে নেয় না। ফলে ব্যাংক এ অর্থ ঋণ অথবা বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবসায়ে খাটিয়ে মুনাফা অর্জন করে থাকে ।
৪) ধার গ্রহণ : বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো হতে ঋণ নিতে পারে। আবার সিকিউরিটি বা ঋণপত্র বিক্রয় করেও মুদ্রা বাজার হতে তহবিল সংগ্রহ করে থাকে ।
আরও দেখুন...