কারনাউ জাতের কবুতর
কারনাউয়ের ৫টি উপজাত রয়েছে। যথা- লাল, সাদা, হলুদ, কালো ও ডান । তবে এদের মধ্যে লাল ও সাদা কারনাউ স্কোয়াব উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এ দুটির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো।
ক. লাল কারনাউ :
১. উৎপত্তিঃ বেলজিয়ামের দক্ষিণাঞ্চল ও ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে।
২. অত্যন্ত পরিশ্রমী পাখি ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। এরা কিং কবুতর থেকে কিছুটা ছোট আকৃতির।
৩. এরা সোজা হয়ে দাঁড়ায়। এদের দেহ মজবুত, পালক দেহে শক্তভাবে লেগে থাকে ।
৪. পায়ের নালায় কোনো পালক নেই।
৫. স্কোয়াবের গায়ের চামড়ার রঙ সাদা।
৬. ড্রেসড স্কোয়াব গোলগাল হয়ে থাকে।
৭. প্রাপ্তবয়স্ক কবুতরের ওজন প্রায় ৭০০ গ্রাম হয়ে থাকে।
৮. এদের দেহ লাল; তবে তার উপর কিছু সাদা রঙের ছোপ রয়েছে।
খ. সাদা কারনাউ :
১. সাদা কারনাউয়ের উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্রে।
২. এরা অল্প সময়ে বেশি উৎপাদন দেয়ার জন্য বিখ্যাত।
৩. আমেরিকায় এরা খুব ভালো উপজাতের স্কোয়ার উৎপাদনকারী কবুতর।
৪. এদের স্কোয়াবের চামড়ার রঙ কিছুটা গোলাপি।
৫. ক্ষোরারের ওজন প্রায় ৪৫০ গ্রাম হয়ে থাকে।
৬. এদেরকে স্পেসড ক্রেল ও বেলিজিয়াম লাল কারনাট থেকে উৎপন্ন করা হয়েছে।
কিং জাতের কবুতর :
ক. সাদা কিংঃ
১. ক্ষোয়াব উৎপাদনে এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় উপজাত।
২. সাদা রান্ট, সাদা মালটেস, সাদা ডুচেস ও সাদা হোমার থেকে এ জাতের কবুতর তৈরি করা হয়েছে।
৩. এদের দেহ মজবুত, পা পরিষ্কার, পায়ের নালায় কোনো পালক নেই ।
৪. পুরো দেহ সাদা পালকে শক্ত পোক্তভাবে মোড়ানো।
৫. লেজ খাড়া, দেহ মাংসল।
৬. প্রতিটি স্কোয়ারের ওজন প্রায় ০.৫ কেজি হলে বাজারজাত করা হয়।
৭. জবাই করার পর অর্থাৎ ড্রেসড স্কোয়াবগুলো তেমন একটা গোলগাল হয় না, বরং কিছুটা কোনাকৃতির হয়।
৮. প্রাপ্তবয়স্ক কবুতরের ওজন প্রায় ৭৩৫ গ্রাম হয়ে থাকে।
খ. সিলভার কিং :
১. স্কোয়াব উৎপাদনে এ উপজাতটি এক সময় বেশ জনপ্রিয় ।
২. বর্তমানে এদের জনপ্রিয়তা সাদা কিং থেকে অনেক কম।
৩. এ উপজাতের কবুতর রাষ্ট্র, মালটেস, হোমার ও মনডেইন থেকে তৈরি করা হয়েছে।
৪. এদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য অনেকটা সাদা কিংয়ের মতোই।
৫. আকার-আকৃতিতে ক্ষোরাব উৎপাদনকারী কবুতরের মধ্যে এরাই সবচেয়ে বড় হয় ।
৬. এদের স্কোয়াবের ওজনও সাদা কিংয়ের থেকে কিছুটা বেশি হয়।
৭. এরা সাদা কিংয়ের থেকেও বেশি পোষ মানে।
রান্ট জাতের কবুতর:
কবুতরের জাতের মধ্যে রান্ট জাতের কবুতর ফল সবচেরে বড় কবুতর। অন্য যে কোনো জাতের উৎপাদিত স্কোয়ারের চেরে এ জাতের উৎপাদিত কোৱাব বড় হয়। কিন্তু বছরে অন্যান্য জাতের চেরে কম সংখ্যক ক্ষোৱাব উৎপাদন করে।
শারীরিক বৈশিষ্ট্য
১. কবুতরেরা দেহ খুব এ ষ্ঠি হয়।
২. কবুতরের বুক মাটির সমান্তরালের চেরে উপরের দিকে থাড়া।
উপযোগিতা
এ জাতের কবুতর ক্ষোৱাব উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়। বছরে ফোৱাৰ কৰ উৎপাদন করলেও উৎপাদিত ক্ষোরাব আকারে হয়।
জায়েন্ট হোমার জাতের কবুতর
বাণিজ্যিকভাবে স্কোয়াৰ উৎপাদনকারীগণের নিকট এই জাতের কবুতর খুবই জনপ্রিয় ।
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. ঘার হোমার কবুতরের প্রজান দক্ষতা অনেক বেশি।
২. শরীর কিছুটা লম্বাকৃতি হয় ।
৩. কিং কবুতরের মত শরীর বেশি আটোসাঁটো হয় না।
৪. শরীর প্রশন্ত এবং বুক গভীর হয়।
উপযোগিতা: অন্যান্য জাতের চেয়ে এ জাতের কবুতর বছরে অনেক বেশি স্কোয়ার উৎপাদন করে থাকে ।
ফ্রেন্স মনডেইন জাতের কবুতর:
বর্তমানে ফ্রেন্স মনডেইন স্কোয়াব উৎপাদনকারী কবুতর হিসেবে নতুনভাবে পরিচিত লাভ করেছে এবং জনপ্রিয় হয়েছে। এ জাতের কবুতরের অনেকগুলো উপজাত রয়েছে। উপজাতগুলোর মধ্যে রঙ্গীন উপজাতটি অধিক জনপ্রিয়।
শারীরিক বৈশিষ্ট্য।
১. এ জাতের কবুতরের দেহ খাট হয়।
২. শরীর খুব গভীর হয় ।
৩. বুক প্রশন্ত।
উপযোগিতা: এ জাতের কবুতর স্কোয়ার উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়।
সুইচ মনডেইন জাতের কবুতর
এ জাত আমেরিকায় উন্নতি লাভ করছে। সাদা কিং কবুতরের উপজাতের সাথে এ জাতের কবুতরের চেহারার মিল রয়েছে।
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. এ জাতের কবুতন্ত্রের দেহ কিছুটা লম্বা এবং হালকা পাতলা ।
২. এটি বড় আকারের স্কোয়াব উৎপাদনের জন্য অধিক জনপ্রিয় ।
উপযোগিতা: ছোয়াব উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়
গোলা জাতের কবুতর :
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতে এদের উৎপত্তিস্থল ।
বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. এ জাতের কবুতরের রং নীল, হালকা ও গাঢ় ধূসর রঙের হয়ে থাকে।
২. চোখের রং এবং পায়ের রং কিছুটা লালচে বর্ণের হয়।
উপযোগিতা : এ জাত স্কোয়ার উৎপাদনের জন্য খুবই জনপ্রিয়।
আরও দেখুন...