ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সিমেট্রিক ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম সম্বন্ধে আলোচনা ।
ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট সমূহের পারফরমেন্স (Performance of Electric Components)
উক্ত সার্কিটের সংযোগে প্রধান ভূমিকায় আছে টাইমার, তাই মোটা লাইন দিয়ে সার্কিট দেখানো হয়েছে। এটা সরাসরি ফেজ থেকে টাইমার মোটর কয়েল হয়ে নিউট্রালে যায়। টাইমারের দু'টি আউট গোয়িং পয়েন্ট ৩ ও ৪। ৩ নং এ সংযুক্ত থাকে ডি-ফ্রষ্টিং হিটার এবং এর সিরিজে থাকে থারমার কুলিং ওভার লোড। কুলিং ওভার লোড কম তাপমাত্রায় কাজ করে। ডিফ্রষ্টিং হিটার চালু থাকলে ইভাপরেটর ফ্যান সহ সম্পূর্ণ সিষ্টেম বন্ধ থাকে। ৪ নং পয়েন্টের সংযোগ পুরো সিস্টেম পরিচালনা করে। এখানে থার্মোস্ট্যাট সুইচ, হাই প্রেশার সুইচ, লো প্রেশার সুইচ ও কন্টাক কয়েল সিরিজে সংযুক্ত থাকে। হাই প্রেশার সুইচ, লো প্রেশার সুইচ সেফটি ডিভাইস হিসেবে কাজ করে এবং থার্মোস্ট্যাট সুইচ সিষ্টেম অপারেটর হিসেবে কাজ করে। ম্যাগনেটিক কন্ট্রাকটর কম্প্রেসর পরিচালনায় সুইচ হিসেবে কাজ করে।
ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট সমূহের তালিকা
টাইমার
টাইমার একটি মটর, এটা সবসময় চলতে থাকে ১, ২, ৩, ৪ নং কানেকশন পয়েন্ট আছে। এখানে ৩ নং ডিফ্রষ্ট হিটারের সাথে সংযুক্ত আর ৪ নং কম্প্রেসর। কম্প্রেসরের সাথে সংযুক্ত থার্মোস্ট্যাট, লো প্রেশার, সুইচ হাইপ্রেসার সুইচ, ম্যাগনেটিং কন্ডাক্টরের কয়েল থাকে।
টাইমার স্পেসিফিকেসন-
ডি-ফ্রস্ট হিটার
এটা টাইমারের ৩ নং পয়েন্টে সংযুক্ত থাকে। এটি মূলত ইলেকট্রিক হিটার । ইভাপরেটারে অতিরিক্ত বরফ জমলে ডি-ফ্রষ্টিং করানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। অতিরিক্ত বরফ বা ঠান্ডা নির্ধারণ করে কুলিং ওভারলোড প্রটেক্টর হিটারে সংযোগ দেয়।
ডিফ্রস্ট থার্মোস্ট্যাট
এর সাথে ইভাপোরেটর ফ্যান সিরিজের সংযুক্ত থাকে। ডি-ফ্রস্টিং এর সময় গরম বায়ু সর্বস্তরে যাতে না ছড়ায় এ জন্য ব্যবহৃত হয়।
কুলিং ওভারলোড
নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বা সেটিং টেম্পারেচারের কম তাপমাত্রায় ডি- ফ্রস্টিং সিষ্টেম চালু করে।
ইভাপোরেটর
ঠান্ডা তাপমাত্রা সর্বত্র পৌছানোর জন্য ইভাপরেটরে ফ্যান ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ইভাপোরেটরের নিকটে থাকে এক্সপানশন ভালভ, থার্মোস্ট্যাট, ডোর সুইচ, ও কেবিনেট ল্যাম্প।
কন্ডেনসার
কম্প্রেসারের তাপ ও চাপ যুক্ত রেফ্রিজারেন্ট থেকে তাপ অপসারণ করে কন্ডেন্সার। তাপ অপসারণ করার জন্য কন্ডেনসার ফ্যান ব্যবহৃত হয়। তবে বড় আকারের সিষ্টেমের জন্য কুলিং টাওয়ার ব্যবহার করা হয়।
থার্মোস্ট্যাট
বোতল কুলারের কাঙ্খিত তাপমাত্রা পাওয়ার জন্য থার্মোস্ট্যাটে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা সেট করা হয়।
পটেনশিয়াল রিলে
সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকসন মোটর চালুর জন্য পটেনশিয়াল রিলে প্রয়োজন হয়। সাধারণত পটেনশিয়াল চাপ বা বৈদ্যুতিক চাপে এটি কাজ করে। পটেনশিয়াল রিলেতে স্টার্টিং ও রানিং ক্যাপাসিটর সংযুক্ত করা যায়। গঠনের দিক থেকে এর সংযোগ পয়েন্ট ১,২,৫ নং হয়। ২ ও ৫ নং পয়েন্ট কয়েলের দু'টি মাথা ষ্টার্টিং ও কমনে সংযুক্ত হয় অর্থাৎ ২ নং পয়েন্ট স্টার্টিং কয়েলের মাথা, ৫ নং কমনের মাথায় যুক্ত হবে । ১ নং ষ্টার্টিং ও ২ নং রানিং ক্যাপাসিটর সংযুক্ত হয় এবং ক্যাপাসিটরের অপর দুই মাথা নিউট্রালে সংযুক্ত হয়। পটেনশিয়াল রিলে ক্রয় বা পরিবর্তনের (স্পেসিফিকেশনের) পিক আপ, ড্রপিং, এবং রেটিং ভোল্টেজ জানা দরকার ।
স্পেসিফিকেশন
এটা সাধারণত সাকশন লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে। লো প্রেসার সুইচে ডিফারেন্টয়িাল এ্যাডজাস্টমেন্ট ও রেঞ্জ এ্যাডজাস্টমেন্ট নামে দুইটি এ্যাডজাস্টমেন্ট নব থাকে ।
হাই প্রেসার সুইচ অপসারণ করতে না পারলে ডিসচার্জ প্রেসার বেশি হয় এটি কম্প্রেসরকে বন্ধ করে এবং দূর্ঘটনার হাত থেকে সিস্টেমকে রক্ষা করে। হাই প্রেসার সুইচ একবার বন্ধ হলে রিসেট করার দরকার হয়।
হাই প্রেসার সুইচের স্পেসিফিকেশন
এটি সাধারনত ডিসচার্জ লাইনে সংযুক্ত হয়।
রানিং ক্যাপাসিটর
এটা মটরকে চালাতে এবং কার্যকারি গতি ঠিক রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মান ১.৫ থেকে ৬০ (MFD) পর্যন্ত হ।
স্পেসিফিকেসন
স্টাটিং ক্যাপাসিটর
এটি মটরকে শুধুমাত্র চালাতে সাহায্য করে । মোটর স্টার্ট হয়ে কার্যকারি গতি পাবার পর ৱিলে বা সেন্টিফিউগ্যাল সুইচ দিয়ে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সাধারণত রেফ্রিজারেটরে ৪০ - ৭০ (MFD) এবং এয়ার কন্ডিশনারের জন্য ৮০-১০০ (MFD) হয়।
স্পেসিফিকেশন- ২০০ / ২৫০ MFD : 250 VAC + 550 HZ; TEMP -10"/85° C
আরও দেখুন...