hsc

মাছের কৌটাজাতকরণ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK
3

মাছের কৌটাজাতকরণের ধাপসমূহ

১. কাঁচামাল প্রস্তুতি

  • মাছ সংগ্রহ: তাজা মাছ নির্বাচন করা হয়, যা উচ্চমান বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।
  • পরিষ্কারকরণ: মাছের আঁশ, নাড়িভুঁড়ি, এবং মাথা অপসারণ করে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া হয়।
  • কাটা এবং শ্রেণীবিন্যাস: নির্দিষ্ট আকারে মাছ কাটা হয় এবং মান অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করা হয়।

২. ব্লাঞ্চিং বা প্রি-কুকিং

  • ব্লাঞ্চিং: মাছের মাংস নরম করা, জীবাণুমুক্ত করা এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্লাঞ্চিং করা হয়। এটি গরম পানি বা বাষ্প দিয়ে করা হয়।
  • ঠান্ডা করা: ব্লাঞ্চিংয়ের পর মাছ দ্রুত ঠান্ডা পানিতে রাখা হয়।

৩. কৌটায় ভরা

  • কৌটাসামগ্রী প্রস্তুতি: স্টেরিলাইজড কৌটা বা টিন ব্যবহার করা হয়।
  • মাছ ভরা: কৌটায় নির্দিষ্ট পরিমাণে মাছ ভরা হয়।
  • লিকুইড ফিলিং: মাছের সাথে সাধারণত তেল, লবণ পানি, বা টমেটো সস যোগ করা হয়।

৪. এয়ার সিলিং

  • কৌটাগুলিকে সম্পূর্ণভাবে সিল করে বায়ু মুক্ত করা হয়। এয়ার সিলিং জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করে।

৫. তাপ প্রক্রিয়াকরণ (স্টেরিলাইজেশন)

  • অটোক্লেভিং: ১১৫-১২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এটি কৌটার অভ্যন্তরে থাকা সকল জীবাণু ধ্বংস করে।

৬. ঠান্ডা করা

  • প্রক্রিয়ার পর কৌটা দ্রুত ঠান্ডা করা হয়। এতে পুষ্টি এবং গুণগত মান বজায় থাকে।

৭. লেবেলিং এবং সংরক্ষণ

  • লেবেলিং: কৌটায় প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং উপাদান উল্লেখ করা হয়।
  • সংরক্ষণ: কৌটা শুকনো এবং শীতল স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।

মাছের কৌটাজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ

  • মান নিয়ন্ত্রণের জন্য HACCP বা ISO মান অনুসরণ করা হয়।
  • তাপমাত্রা এবং প্রক্রিয়ার সময় সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এভাবে মাছের কৌটাজাতকরণ পদ্ধতি সম্পন্ন করে দীর্ঘমেয়াদে পুষ্টি ও স্বাদ অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব।

Content added By
Promotion