এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে পারফরমেন্স টেস্ট এবং স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনার সম্পর্কে জানব ।
১. সর্বপ্রথম নির্মাতা কর্তৃক স্থাপন নির্দেশনা অনুসরণ করে স্থাপন করতে হবে ।
২. সঠিক বাতাস সঞ্চালনের উপযোগী স্থানে স্থাপন ৷
৩. সহজ সার্ভিসিং এর ব্যবস্থা ।
৪. যেন বাইরে পড়ে না যায় বা খুলে নিতে না পারে ৷
৫. যেন বাইরে থেকে ভেতরে ফেলে দিতে না পারে ।
৬. স্থাপন জনিত কারণের জন্য অধিক শব্দ না হয় ৷
৭. যেন পথচারীদের অসুবিধা না হয় ।
৮. যেন প্রতিবেশীদের অসুবিধা না হয় ।
উত্তম স্থান (Space/Place) নির্বাচন
১। কম্পন ও শব্দ পরিহার করার জন্য নির্বাচিত হবে যেন ইউনিট যথাযথ দৃঢ়ভাবে বসানো হয়েছে ।
২। সূর্যের আলো যেন সরাসরি না পড়ে।
৩। ইনডোর ইউনিট স্থাপনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আউটডোর এর কোনো বাধা না থাকে। লক্ষ্য রাখতে হবে বাতাস যেন রুমে সমান ভাবে বন্টন হয়।
৪ । ইনডোর ইউনিট এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যেন সহজে পানি ড্রেনেজ করা যায় এবং সহজে ইনডোর এবং আউটডোর ইউনিট কপার পাইপ সংযোগ করা যায়।
৫ । ইনডোর ইউনিট এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যেন শিশু বা বাচ্চাদের হাতের নাগালের বাইরে থাকে।
৬। ইনডোর ইউনিট যে দেয়ালের স্থাপন হবে সে দেয়ালে যেন মজবুত হয় এবং ঝাঁকুনি মুক্ত হয়।
৭। ইনডোর ইউনিট মেঝে থেকে 8 থেকে 10 ফিট বা 250 থেকে 300 সেন্টিমিটার উচ্চতায় স্থাপন করা উচিত। এবং স্থাপনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এসি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে ।
৮। ইনডোর ইউনিট স্থাপনে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন টিভি বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ থেকে 3 থেকে 4 ফুট দূরত্ব ইনডোর ইউনিট থাকে ।
৯ । ইনডোর ইউনিট এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যেন এসির ফিল্টার সহজে পরিষ্কার করা যায়।
১০। ইনডোর ইউনিট স্থাপনের সময় ঐ ইনডোর ইউনিট ওয়াল বা দেয়াল থেকে কমপক্ষে 15 সেন্টিমিটার বা 6 ইঞ্চি এবং সিলিং থেকে কমপক্ষে 15 সেন্টিমিটার বা 6 ইঞ্চি প্রায় জায়গায় রেখে বসাতে হবে।
১১ । ইনডোর ইউনিট স্থাপনের সময় ঐ ইনডোর ইউনিট ড্রাইভার ডাইমেনশন বা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা পরিমাপ করে বসাতে হবে, যেন ইনডোর লেভেল ঠিক থাকে।
১। বেজপ্লেট সমান্তরাল স্থানে ওয়াটার লেভেল ধরে স্থাপন করতে হবে।
২। বেজপ্লেট টি সামান্য ড্রেন পাইপের দিকে ঢালু রাখতে হবে ।
৩। স্ক্রু দিয়ে বেজপ্লেট টি দেয়ালে সংযুক্ত করতে হবে।
৪। বেজপ্লেট স্ক্রু এমন ভাবে স্থাপন করতে হবে যেন প্রত্যেক স্ক্রু সমানভাবে লোড নিতে পারে ।
ইনডোর ইউনিট স্থাপন দেয়াল বা সিলিং এ বেশি হয়। দেয়ালে স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মাউন্টিং ফিটিংস নির্মাতা কর্তৃক সরবরাহ করা হয়। স্থায়ীভাবে রয়েল প্লেট বা বোল্ট সংগ্রহ করা লাগে। ইউনিটের গঠনের ওপর স্থাপনের মালামাল নির্ভর করে। ক্যাসেট টাইপ ইনডোর ইউনিট সম্পূর্ণরূপে সিলিং এ বসে। ছাদে ঝুলিয়ে রাখার সিলিং এর সাথে মিলিয়ে বসাতে হয়।
১। আউটডোর ইউনিট স্থাপনে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এসি থেকে নির্গত শব্দ গরম বাতাস যেন প্রতিবেশীর কোনো ক্ষতি না করে।
২। এসি আউটডোর ইউনিট স্থাপন করে এমন জায়গায় স্থান নির্বাচন করতে হবে যেন পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন বা গরম বাতাস বাহির হতে পারে।
৩। এসি আউটডোর ইউনিট এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যেন এয়ার ইনলেট এবং আউটডোর এর বাতাস বাধাঁ প্রাপ্ত না হয়।
৪। আউটডোর ইউনিট স্থাপনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে দেয়াল আউটডোরে লোড নিতে পারে কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৫। আউটডোর ইউনিট স্থাপনের সময় স্থান নির্বাচন করতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সরাসরি সূর্যের আলো এবং ঝড়ের বাতাস আউটডোর ইউনিটে না লাগে ।
৬। আউটডোর ইউনিট স্থাপনের সময় ঐ আউটডোর ইউনিট এবং ডাইমেনশন বা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা পরিমাপ করে বাসাতে হবে এবং আউটডোর ইউনিট লেভেল ঠিক রাখতে হবে এছাড়া মেইনট্যান্সের সুব্যবস্থা রাখতে হবে।
৭। এসি ইনডোর এবং আউটডোর ইউনিট এর দূরত্ব উচ্চতা 10 মিটার বা 33 ফুট এবং সমান্তরাল অবস্থানে 15 মিটার বা 50 ফুট পর্যপ্ত সর্বোচ্চ দেওয়া যাবে।
৮। এসি আউটডোর ইউনিট এমন জায়গায় স্থাপন করতে হবে যেন শিশু বা দুষ্টুলোকের নাগালের বাহিরে থাকে ।
৯। লক্ষ্য রাখতে হবে যেখানে মানুষ বা লোক চলাফেরা করে এমন স্থানে যেন এসি ইন্সটলেশন করা না হয় ।
এসি স্থাপনের পর কী কী পরীক্ষা করতে হবে-
১। এসি ঠিক মত বসানো বা ফিটিং হয়েছে কিনা দেখতে হবে।
২। এসির গ্যাস লিকেজ পরীক্ষা করতে হবে।
৩। সঠিক ভাবে ইন্সুলেশন করা আছে কিনা দেখতে হবে ।
৪। সঠিক ভাবে ড্রেনেজ বা পানির লাইন ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে।
৫। এসি নেমপ্লেট নির্দেশিত ভোল্টেজ অনুযায়ী সাল্লাই ভোল্টেজ ঠিক আছে কিনা ।
৬। ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং এবং পাইপিং ঠিক ভাবে হয়েছে কিনা দেখতে হবে।
৭। আর্থিং লাইন সঠিক নিয়মে আছে কিনা দেখতে হবে।
৮। নির্দেশিত পাওয়ার কট ব্যবহার হয়েছে কিনা দেখতে হবে।
৯। বাতাস সাকশন এবং ডিসচার্জে কোনবাধা প্রাপ্ত আছে কিনা দেখতে হবে।
১০। অতিরিক্ত পাইপের দূরত্বের জন্য অতিরিক্ত গ্যাস চার্জ হয়েছে কিনা ।
১। এসি ঠিক মত বসানো না হলে পড়ে যেতে পারে এবং শব্দ হতে পারে ।
২। লিক থাকার কারণে ঠান্ডা কম হতে পারে ।
৩। ইন্সুলেশন সঠিক না হলে বা টেপিং না হলে পানি পড়তে পারে ।
৪। ফিটিং সঠিক ভাবে না হলে পানি রুমের ভেতর পড়তে পারে ।
৫। এসিতে ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা হতে পারে অথবা এসি ইউনিটটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।
৬। সঠিকভাবে না হলে সার্কিট পিসিবি ড্যামেজ বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৭। সঠিক নিয়মে না হলে ইলেকট্রিক্যাল লিকেজ বা ওভার কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে।
৮। পাওয়ার কর্ড সঠিক না হলে ইলেকট্রিক সমস্যা বা পিসিবি বোর্ড এ সমস্যা হতে পারে।
৯। বাতাস বাধা প্রাপ্ত হলে ঠান্ডা কম হবে ও হাই প্রেসারের সৃষ্টি হবে।
১০। অতিরিক্ত পাইপের জন্য গ্যাস চার্জ না হলে লো প্রেসার সৃষ্টি হবে ফলে ঠাণ্ডা হবে না। এসি বারবার বন্ধ হয়ে যাবে।
এসি চালানোর আগে অবশ্যই নিম্নের বিষয় সমূহ পরীক্ষা করতে হবে-
১। পুর্ণাঙ্গ ভাবে এসি ফিটিং না করে মেইন পাওয়ার দেয়া যাবেনা।
২। ইলেকট্রিক কানেকশন অবশ্যই সঠিক নিয়মে করতে হবে।
৩। এসি ইনডোর এবং আউটডোর সাকশন ও ডিসচার্জ ফ্লায়ারনাট খোলা বা টিলা আছে কিনা অবশ্যই দেখতে হবে।
৪। এসি ইনডোর ও আউটডোরের কোন ধূলিকণা বা ময়লা আছে কিনা দেখতে হবে। ময়লা বা ধূলিকণা থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে।
১। পাওয়ার সুইচ অন করতে হবে।
২। রিমোর্ট অন/অফ বাটন চাপ দিয়ে এসি অন করতে হবে।
৩। রিমোটের মোড বাটন অন করে কুলিং মোডে দিতে হবে। যদি হিটিং এর প্রয়োজন হয় তাহলে হিটিং মোডে নিতে হবে।
এসির পাইপিং সিস্টেম সাধারণত পেছনের দিকে একটু ঢালু রাখতে হয় যেন অতি সহজেই কনডেন্সড ওয়াটার ড্রেইন লাইন দিয়ে বাইরে সহজেই ড্রেনেজ হতে পারে। ইউ ট্যান্সসহ ড্রেন লাইন তৈরি করতে হবে। বৈদ্যুতিক সংযোগ দ্বয়ে এয়ার কন্ডিশনার চালু করে কারেন্ট পরিমাপ করতে হবে। যা চিত্রে দেখানো হয়েছে-
আরও দেখুন...