সমযোজী বন্ধনের পোলারিটি: তড়িৎ ঋণাত্মকতার প্রভাব

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK
2

সমযোজী বন্ধনের পোলারিটি: তড়িৎ ঋণাত্মকতার প্রভাব


সমযোজী বন্ধনের পোলারিটি
সমযোজী বন্ধন তখন পোলার (polar) হয়, যখন বন্ধনে অংশগ্রহণকারী দুটি পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য থাকে। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনজোড়া তড়িৎঋণাত্মক পরমাণুর দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়, ফলে বন্ধনের এক প্রান্তে আংশিক ধনাত্মক (+δ) এবং অন্য প্রান্তে আংশিক ঋণাত্মক (-δ) আকার ধারণ করে।


তড়িৎ ঋণাত্মকতার প্রভাব
১. তড়িৎঋণাত্মকতার পার্থক্যের গুরুত্ব:

  • যদি তড়িৎঋণাত্মকতার পার্থক্য খুব কম হয়, তবে বন্ধনটি অপোলার (non-polar) হয়, যেমন H₂ বা Cl₂।
  • তড়িৎঋণাত্মকতার পার্থক্য বেশি হলে বন্ধন পোলার হয়, যেমন HCl-এ ক্লোরিন হাইড্রোজেনের তুলনায় বেশি তড়িৎঋণাত্মক।

২. ইলেকট্রন বিভাজন:

  • ইলেকট্রনজোড়া বেশি তড়িৎঋণাত্মক পরমাণুর দিকে সরে যায়।
  • উদাহরণ: H₂O অণুতে অক্সিজেন হাইড্রোজেনের তুলনায় বেশি তড়িৎঋণাত্মক হওয়ায় ইলেকট্রন অক্সিজেনের দিকে স্থানান্তরিত হয়, ফলে পানির অণু পোলার হয়।

বন্ধনের প্রকারভেদ
১. পোলার বন্ধন:
যেখানে তড়িৎঋণাত্মকতার পার্থক্য থাকে। উদাহরণ: HF, HCl।

২. অপোলার বন্ধন:
যেখানে তড়িৎঋণাত্মকতার পার্থক্য নেই বা খুব কম। উদাহরণ: O₂, N₂।


পোলারিটির গুরুত্ব
১. আণবিক গঠন ও প্রকৃতি নির্ধারণ:
পোলারিটি নির্ধারণ করে অণুর দ্রবণীয়তা এবং ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য।

২. আন্তঃআণবিক আকর্ষণ:
পোলার অণুর মধ্যে ডিপোল-ডিপোল আকর্ষণ সৃষ্টি হয়, যা তাদের সঞ্চালনশীলতা এবং গলনাঙ্ক প্রভাবিত করে।


Content added By
Promotion