নিজের মত দেই এবং অন্যের মত শুনি
তোমাদের পাঠ্যবইয়ে নানা রকমের পাঠ আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে এমন দুটি পাঠ সম্পর্কে তোমার অভিমত দিতে হবে। অভিমত দেওয়ার আগে নিচের ছকে ভালো লাগার কারণগুলো লেখো।
পাঠের শিরোনাম | ভালো লাগার কারণ |
---|---|
১. ২. ৩. | |
১. ২. ৩. |
ভালো লাগার কারণগুলো লেখা হয়ে গেলে সেই অনুযায়ী সবার সামনে দাঁড়িয়ে তোমার অভিমত দাও। এই অভিমতের সঙ্গে কেউ একমত হতে পারে, আবার কেউ ভিন্ন মত প্রকাশ করতে পারে। সবার ভালো লাগার কারণ ও যুক্তি একরকমের হয় না। অভিমতের মধ্যে বিবরণ, উদাহরণ ও যুক্তি থাকে। অন্যদিকে, কারো মত খণ্ডন করার জন্য যুক্তি দিয়ে কথা বলতে হয়। অন্যের মতের ইতিবাচক অংশকে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকা দরকার। যুক্তিযুক্ত যে কোনো মত গ্রহণ করা যায় ।
পক্ষ নিয়ে যুক্তি দিই
জাবের আলি একজন কৃষক। কৃষিকাজ করেই জাবের আলি পুরো জীবনটা কাটিয়েছেন। তাঁর দুই ছেলে। বড়ো ছেলে গ্রামে বাবার সাথে কৃষিকাজ করে। আর ছোটো ছেলে শহরে চাকরি করে। এ বছর ধান ভালোই হয়েছে। বড়ো ছেলে এতে ভীষণ খুশি। কিন্তু ছোটো ছেলে জানাল, মুরগির খামারে লাভ অনেক বেশি। সে তাদের চাষের জমিতে একটি মাছ ও হাঁস-মুরগির খামার করতে চাইল। বড়ো ছেলের মতে, ধানের আবাদ বেশি সুবিধাজনক। কারণ, এই ধান তাদের সারা বছরের খোরাকি জোগায়। তাছাড়া ধান বিক্রি করে তাদের সংসারও চলে। ছোটো ছেলের মতে, যদি খামার করা যায়, তবে সেখান থেকে প্রচুর নগদ টাকা পাওয়া যাবে। সারাবছরের সংসার চালানোর মতো খরচও পাওয়া যাবে। বড়ো ভাই জানাল মুরগির খামার করা হলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। তাছাড়া মুরগির নানা রকম রোগবালাই আছে। ছোটো ভাই জানাল, ধান চাষ করে সংসারের বড়ো ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। তাছাড়া ধান গাছেরও তো নানা রকম অসুখ আছে।
আগের পৃষ্ঠার দুই পক্ষের মধ্যে কোন পক্ষের যুক্তি তোমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে। তুমি এদের মধ্যে কোনো একটি পক্ষ অবলম্বন করো। সেই পক্ষের সমর্থনে তোমার যুক্তি দাও। অন্য পক্ষের যুক্তিও তোমাকে খণ্ডন করতে হবে।
ক্রম | পক্ষের যুক্তি | অন্য পক্ষের যুক্তি খণ্ডন |
---|---|---|
১ | ||
২ | ||
৩ |
যুক্তি প্রদান ও যুক্তি খণ্ডন করার সময়ে নিচের কথাগুলো মনে রাখবে:
১. নিজের কথা ও যুক্তি কাগজে টুকে রাখতে হয়;
২. নিজের পক্ষের যুক্তিগুলো একে একে তুলে ধরতে হয়;
৩. নিজের যুক্তির পক্ষে উদাহরণ ও ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়;
৪. নিজের কথা সংক্ষেপে গুছিয়ে বলতে হয়;
৫. অন্যের কথা ও যুক্তি মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয়;
৬. অন্যের বক্তব্যের দুর্বল অংশ খুঁজে বের করতে হয়;
৭. বিনয়ের সঙ্গে অন্যের যুক্তি খণ্ডন করতে হয়;
৮. অন্যের কথার মাঝখানে কথা বলা যায় না।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার জন্য শিক্ষক তোমাদের জোড় সংখ্যক দলে ভাগ করবেন। এরপর প্রতি জোড়া দলের জন্য একটি করে বিতর্কের বিষয় ঠিক করে দেবেন। বিষয়টির পক্ষে এক দল বলবে এবং বিপক্ষে অন্য দল বলবে। প্রতি দলে একজন দলনেতা থাকবে। কথা বলার সময়ে প্রমিত ভাষার ব্যবহার করতে হবে। যুক্তি, পালটা যুক্তি ও ভাষা ব্যবহারে পারদর্শিতার ভিত্তিতে শিক্ষক বিজয়ী দল ঘোষণা করবেন।
আরও দেখুন...