সুরক্ষিত রাখি প্রকৃতি ও মানুষের বন্ধন

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান - History & Social Science - | NCTB BOOK
6

সৃষ্টির শুরু থেকেই মানব সভ্যতা ও প্রকৃতির বন্ধন অবিচ্ছেদ্য। প্রাচীনকাল থেকেই আমরা বসবাস থেকে শুরু করে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে চলেছি; কখনো সরাসরি আবার কখনো বা তার পরিবর্তিত রূপে। প্রতিদিনের প্রয়োজনে প্রকৃতিকে ব্যবহার করে চলেছি অবিরাম। আমরা আমাদের বেঁচে থাকার সকল উপাদানই পাই প্রকৃতি থেকে। কিন্তু প্রকৃতির উপাদানের এই অবিরাম ব্যবহার কী কোনো বদল ঘটাচ্ছে আমাদের চারপাশের পরিবেশের? তাই যদি হয়, তাহলে তা কী আমাদের জন্য কোন ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে? এই বিপদ এড়াবার জন্য আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার বন্ধ করে দিতেও পারছি না, বন্ধ করে দিয়ে বাঁচার উপায় নেই। যে সম্পদ ব্যবহারে প্রকৃতির ক্ষতি নেই সেগুলো ব্যবহারের উপায় আমরা খুঁজে বের করতে পারি। এই উপায় খুঁজে বের করার কাজ সহজ নয় মোটেই। এর জন্য আমাদের প্রকৃতিকে আমরা আরও নিবিড়ভাবে দেখব, জানতে হবে প্রকৃতি ও মানুষের মিথস্ক্রিয়া।

আমরা আমাদের নিচের কাজগুলো করে প্রকৃতিকে ভালোভাবে দেখার ও বোঝার চেষ্টা করব। জেনে নেবো প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্কের সাতকাহন।

  • প্রথমে আমরা যে ছবিগুলো দেখছি, সেগুলো সম্পর্কে নিচের ছকে কিছু বাক্য লিখব। বাক্যগুলো হবে এটি কী? কোথায় বা কীভাবে আছে? কীভাবে আমাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত? এবং এটি হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে আমরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি?
  • উপরের কাজটি করে প্রকৃতির সকল কিছুর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক যে কতটা নিবিড় তার কিছুটা বুঝতে পারা গেল। এবার আমরা শিক্ষকের সহায়তায় আমাদের আশেপাশে উদ্ভিদ ও পাণীর সন্নিবেশ আছে এমন একটি জায়গা সরাসরি গিয়ে দেখে আসবো। এই পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে আমরা নিচের ছকটি পূরণ করব।

পর্যবেক্ষণকৃত প্রতিবেশের সঙ্গে মানুষের কার্যাবলির প্রভাব

স্থানের ছবি ও নামমানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আছেসমস্যা চিহ্নিতকরণসংরক্ষণে করণীয়

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

   
  • পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা আমাদের প্রাপ্ত ফলাফল আমাদের বন্ধুদের ও শিক্ষকের সঙ্গে বিনিময় করব।

 বিভিন্ন প্রকার বায়োম সম্পর্কে অনুসন্ধান ও মডেল তৈরি

  • আমরা আমাদের পূর্ববর্তী কাজগুলোর মাধ্যমে আমাদের আশপাশের প্রতিবেশ দেখেছি। এসব প্রতিবেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কিছুটা জেনেছি। পৃথিবীজুড়েই রয়েছে এরকম অনেক ধরনের প্রতিবেশ। যেসব স্থানের জলবায়ু, উদ্ভিদ ও প্রাণীও আলাদা রকমের, বাংলায় এসব স্থানকে বলে জীবাঞ্চল, ইংরেজিতে বলে বায়োম (Biome)। এসব জীবাঞ্চলগুলোর জলবায়ু কেমন, কেমন ভাবে সেখানে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিন্যাস ঘটেছে এবং সেসব স্থানের ভারসাম্য যদি নষ্ট হয়ে যায় বা যেভাবে আছে সেভাবে আর না থাকে, তাহলে আমাদের জীবনে তার কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয় তোমাদের জানতে হবে। এসব জানা হলে আমরা প্রকৃতি ধ্বংস না করে প্রকৃতি ব্যবহারের কথা ভাবতে পারব। এসব বিষয় অনুসন্ধান করে আমরা বের করব জীবাঞ্চলগুলোর সঙ্গে মানুষ ও প্রকৃতির মিথস্ক্রিয়া।
  • এ কাজটি করার জন্য আমরা প্রথমে পৃথিবীর একটি মানচিত্র দেখব, পরে আমরা মানচিত্রে প্রদর্শিত স্থানগুলো গ্লোব বা পৃথিবীর মানচিত্রের সাহায্যে খুঁজে বের করে আমাদের বইয়ে দেওয়া ছকে সেগুলো লিখব।
মানচিত্রে প্রদর্শিত স্থানের নামপৃথিবীর মানচিত্রে অবস্থান
  
  
  
  
  
  
  
  
  
  
  • এবার আমরা এসব বায়োম সম্পর্কে আরেকটু ভালোভাবে জেনে নেব। যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানার গভীরে যেতে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। সেজন্য আমরা দলে ভাগ হয়ে প্রতিটি দল একটি করে বায়োম নিয়ে অনুসন্ধান করব। এই অনুসন্ধান কাজটি আমরা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির ধাপ মেনে করবো। অনুসন্ধানের জন্য আমরা প্রথমে একটি প্রশ্নমালা তৈরি করব। প্রশ্নমালাটি আমরা নিচের মতো করে তৈরি করতে পারি, আবার এর সাহায্য নিয়ে অন্যরকম ভাবেও করতে পারি।

 

বায়োম নিয়ে অনুসন্ধান 

১. বায়োমটি কোথায় কোথায় আছে? 

২. সেখানে কোন ধরনের জলবায়ু বিদ্যমান? 

৩. কী কী ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর সন্নিবেশ দেখা যায়? 

৪. উক্ত বায়োমটি পৃথিবীর জন্য কী কী সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে? ৬. 

৫. উক্ত বায়োমটির জলবায়ু ও অন্যান্য সমাবেশের পরিবর্তন হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে? 

৬. 

৭. 

৮.

  • এই অনুসন্ধান কাজের জন্য আমাদের যে যে তথ্য লাগবে, তা আমরা আমাদের বইয়ের শেষে যে অনুসন্ধানী পাঠ অংশ থেকে নিতে পারি অথবা ইন্টারনেটের সাহায্যও নিতে পারি।
  • অনুসন্ধানের কাজ শেষ হলে আমরা আমাদের নিজ নিজ দলের অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বায়োমের মডেল আকারে উপস্থাপন করব এবং প্রতিটি প্রতিবেদন লেখার নিয়ম মেনে একটি প্রতিবেদন লিখে শিক্ষকের কাছে জমা দেবো।

বায়োম মডেল

বৈশ্বিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের (বনভূমি) পরিবর্তন এবং এর ফলে সৃষ্ট ঝুঁকী অনুসন্ধান

আমরা তো দেখলাম, আমরা আমাদের চারপাশের পরিবেশের ওপর কতটা নির্ভরশীল, আর এই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে বনভূমি। আমাদের বাঁচতে হলে যেমন প্রকৃতিকে প্রয়োজন, তেমনি প্রকৃতির টিকে থাকার জন্য দরকার বনভূমি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীতেই বনভূমির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য আকারে কমে যাচ্ছে। এবারে আমরা জানবো, বনভূমি কোথায় কোথায় কমে যাচ্ছে কিংবা তার বর্তমান অবস্থা কী। এর জন্য প্রথমে আমাদের জানতে হবে পৃথিবীর কোথায় কোথায় বনভূমি রয়েছে এবং সেসব কী নামে পরিচিত। আমরা পরবর্তী কয়েকটি কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন বনভূমি কোথায় অবস্থিত এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেসব বনভূমির কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে তা অনুসন্ধান করে বের করি।

  • প্রথমে আমরা পৃথিবীর মানচিত্র বা একটি গ্লোবের সাহায্যে পৃথিবীর বিখ্যাত বনভূমিগুলো কোনো কোনো দেশে আছে এবং তারা কোন মহাদেশের অন্তর্গত তা খুঁজে বের করব; তারপরে নিচের ছকটি পূরণ করব।
বনভূমির নামমহাদেশ ও দেশের নাম
  
  
  
  
  
  
  
  
  
  • এই পৃথিবীর অনেকগুলো বনভূমির কথা আমরা জানলাম, দেখলাম সেগুলোর নামের বৈচিত্র্য। এখন আমরা জানব এই বনভূমিগুলো কী অবস্থায় আছে। এ জন্য আমরা পৃথিবীর মানচিত্রের সাহায্যে বনভূমিগুলোর ২০০০ সাল এবং ২০২০ সালের অবস্থার পরিবর্তনের তুলনা করব।

বাংলাদেশের বনভূমি:

  • এবার আমরা চোখ রাখব আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির বনাঞ্চলের দিকে। অনুসন্ধান করে বের করব বনজ সম্পদের বর্তমান অবস্থা: খুঁজে বের করব বাংলাদেশের প্রকৃতিকে বাঁচানোর উপায়। তাহলেই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে বাঁচানোর কথা আমরা ভাবতে পারব। এভাবে সারা পৃথিবীর মানুষ নিজ নিজ মাতৃভূমির দিকে ফিরে তাকালে সারা পৃথিবীর প্রকৃতি ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষা পাবে।

অনুশীলনী

প্রথমে আমরা বাংলাদেশের মানচিত্রের সাহায্যে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান বন আচ্ছাদিত এলাকার অবস্থান দেখবো এবং তারপর বাংলাদেশের একটি খালি মানচিত্রে বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে বনভূমিগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করব। ২৪
  •  এবারে আমরা যেসব বনভূমির নাম ও অবস্থান জানলাম, সময়ের সঙ্গে সেসবের পরিবর্তনের ধরন দেখব।
  • উপরে বাংলাদেশের বনভূমির দিন দিন কমে যাওয়া দেখলাম। এর ফল যে ভালো নয়, তা তো তোমরা জানোই। কিন্তু এর ফলে ঠিক কোনো কোনো ধরনের বিপদে আমরা পড়তে পারি তা জানতে হলে বা বিপদের মাত্রা নির্ধারণ করতে হলে আমাদের আরও গভীরভাবে জানতে হবে। আর এর জন্য এবার আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করব।
  • আমরা এই অনুসন্ধানের কাজটি দলীয়ভাবে করব। আর এর বিষয় হবে- 

ক. বাংলাদেশের বনভূমির কী কী পরিবর্তন হয়েছে? 

খ. পরিবর্তনের কারণগুলো কী কী? 

গ. পরিবর্তনের ফলাফল কী হতে পারে? 

ঘ. প্রকৃতির টেকসই সংরক্ষণে কী কী ভূমিকা নেওয়া যেতে পারেন?

  •  এই অনুসন্ধান কাজের তথ্য আমরা পাব অনুসন্ধানী পাঠ অংশে বা ইন্টারনেটের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে।
  • অনুসন্ধানের কাজ করার সময় আমরা নিচের ছকে প্রদত্ত সূচকগুলো মনে রেখে করব।
  • অনুসন্ধান পরবর্তী ফলাফল পোস্টারের মাধ্যমে অথবা নাটক আকারে উপস্থাপন করব।
বনভূমির নাম ও অবস্থানবর্তমানে কী কী পরিবর্তন হয়েছেপরিবর্তনের কারণসমূহএসব পরিবর্তন আমাদের জীবনে কোন কোন প্রভাব ফেলতে পারে/ ফলাফলটেকসই উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

    

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আমাদের করণীয়

আমরা আমাদের পূর্ববর্তী কাজের মাধ্যমে এটা বুঝতে পারলাম যে মানুষ দিন দিন প্রকৃতির একটা ছোটো অংশ হয়েও অবিরত প্রকৃতিকে ধ্বংস করে চলছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। এর ফল যে কতটা মারাত্মক তা ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়। এখন আমরা পরবর্তী কাজগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী ও বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নিতে পারি।

  • প্রথমে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে যে ভূমিরূপের অভিধান তৈরি করেছিলাম, সেই কথা মনে করার চেষ্টা করি। কেউ ভুলে গিয়ে থাকলে পুরানো বই জোগাড় করে দেখে নিতে পারবে। এখন আমরা আমরা প্রতিটি েযষ্ঠ শ্রেণির মতো একটি অভিধান তৈরি করব। তবে সেটি হবে আমাদের দুর্যোগ অভিধান। কাজটি করার জন্য আমরা একটি ডায়েরি বানাব, পরে আমরা যে যে দুর্যোগ সম্পর্কে জেনেছি, তার প্রতিটির একটি করে ছবি এবং সেটি সম্পর্কে কয়েকটি লাইন লিখব।

দুর্যোগ অভিধান

  • আমাদের অভিধান বানানো হলে আমরা আমাদের বন্ধুদের সঙ্গেও তা বিনিময় করব।
  • এরপর আমরা দলে ভাগ হয়ে প্রকল্পভিত্তিক কাজের মাধ্যমে আমাদের এলাকায় কোন কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, এ সকল দুর্যোগের কারণে আমাদের কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং এটি প্রতিরোধ করতে টেকসই ব্যবস্থাপনা কী কী হতে পারে তা অনুসন্ধান করে বের করব। এই অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য আমরা আমাদের পরিবার বা এলাকায় মানুষদের কাছ থেকে নিতে পারব।
  • আমরা আমাদের ফলাফলগুলো নিয়ে একটি পত্রিকা তৈরি করব। আমাদের পত্রিকার শিরোনাম হবে আমাদের সংবাদপত্র: দুর্যোগ সংখ্যা। ২০২৪

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যকর ভূমিকা পালন

আমরা জানি আমরা বাঁচার জন্য প্রকৃতির ওপর কতটা নির্ভরশীল। অনেকগুলো কাজের মাধ্যমে আরও জানলাম প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক কতটা নিবিড়। কিন্তু আমরা কেবল প্রকৃতি থেকে নিচ্ছি, কিন্তু কিছুই ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছি না। আমরা যদি প্রকৃতিকে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার না করি, যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে একদিন প্রকৃতির আমাদেরকে দেওয়ার ক্ষমতা নিঃশেষ হবে যাবে। তাহলে আমরা প্রকৃতি ঠিক রেখে আমাদের

প্রয়োজন মেটানোর পরিকল্পনা করব। আর এর নাম হলো টেকসই উন্নয়ন। এই পদ্ধতির উন্নয়নের মাধ্যমেই আমরা আমাদের এই বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে পারব। তাহলে আমাদেরও উচিত আমাদের নিজস্ব পরিসরে টেকসই উন্নয়নের চর্চা করা, তাই না? এ কাজগুলো আমরা আমাদের সক্রিয় নাগরিক ক্লাব ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ক্লাবের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করব। কিন্তু আমরা এখনো ছোটো, তাই আমরা আমাদের এসব কাজে এলাকার মানুষের সহযোগিতা নেবো।

চলো, তাহলে আমরা কী কী কাজ করতে পারি, তার একটি তালিকা দলে বসে চূড়ান্ত করে ফেলি।

১. 

২. 

৩. 

8. 

৫.

এলাকায় সম্পদের টেকসই ব্যবহারমূলক কাজ:

১. বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে পচনশীল ও অপচনশীল এই দুই ধরনের বর্জ্য আলাদা করে সংগ্রহ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভায় অনুরোধ পত্র প্রেরণ ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ। 

২. এলাকায় পুকুর, খাল বা অন্যান্য পানির উৎস যা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তা পুনরায় ব্যবহার যোগ্য করে তোলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভায় অনুরোধপত্র প্রেরণ এবং বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ। 

৩. এলাকায় ও নিজের আবাসনে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে টেকসই ব্যবস্থাপনা গ্রহণ। 

8. নালা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এলাকাবাসীকে সচেতন করা। 

৫. সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।

সবশেষে এটা আমাদের মনে রাখতে হবে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে অনেক বড়ো চ্যালেঞ্জ। আর এই সকল চ্যালেঞ্জ তখনই মোকাবিলা করতে পারব যখন আমরা টেকসইভাবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। আর এই কাজে আমরা সফল হব তোমাদের মতো ভবিষ্যৎ নাগরিকদের মাধ্যমে, তোমরাই গড়ে তুলবে জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাত-সহিষ্ণু নিরাপদ সমৃদ্ধ বদ্বীপ।

Content added By
Promotion