স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের সার্কিট বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং রিমোট কন্ট্রোলিং সিস্টেম পরিচালনা করা হয়। নিম্নোক্ত ডিভাইস দিয়ে উক্ত সার্কিটটি গঠিত-
১. সার্কিট ব্রেকার
২. ইলেকট্রিক সার্কিট
৩. ফ্রিজিং সেন্সর
৪. টেম্পারেচার সেন্সর
৫. ডিসপ্লে,
৬. ট্রান্সফর্মার
৭. রেক্টিফায়ার
৮. ক্যাপাসিটর
৯. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর ইত্যাদি।
কার্যপ্রণালী
সার্কিট ব্রেকার অন করার পর ফেজ এবং নিউট্রাল ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরে যায় কিন্তু কন্ট্রাকটরে কয়েল এনারজাইস্ট না থাকায় সংযোগ কম্প্রেসর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে বা লাইন কন্টাক্টর অতিক্রম করতে পারে না । অপরদিকে চিত্রের ন্যায় সার্কিট ব্রেকার এর পর থেকে নিউট্রাল এবং ফেজ লাইন দু'টি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল প্যানেলে যায়। সেখান থেকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে ভোল্টেজ ২৪ ভোল্ট হয়ে রেক্টিফায়ারে যায় রেক্টিফায়ার এসি থেকে ডিসিতে পরিণত হয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো চালাতে থাকে। ইনডোর ইউনিট এর সুইং মোটর এবং ব্লোয়ার মোটরের এক প্রান্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের নিউট্রাল সংযোগ করা হয়।
সরবরাহ লাইন থেকে ফেজ বাসবারে ইলেকট্রিক ডিভাইস তথা সেন্সরের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত অর্থাৎ অন- অফ হয়ে সুইং মোটরের অপর প্রান্তে এবং ব্লোয়ারফ্যান মোটরের হাই, লো, মিডিয়াম পয়েন্টে সংযোগ দিয়ে ইনডোর ইউনিট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ।
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসটি যখন ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরের কয়েলে সংযোগ দেয় তখন কয়েল এনার্জাইস্ট হয়ে সংযোগ দেয়। ফলে কম্প্রেসরের কমন এবং কন্ডেনসার ফ্যান মোটরের কমন পয়েন্টে ওভার লোড প্রটেক্টর হয়ে সরবরাহ পায় এবং নিউট্রাল লাইনটি রীলের কম্প্রেসরের মাধ্যমে ফ্যান মোটরের রান এবং স্টার্টিং পয়েন্টে সরবরাহ দেয়া হয়- ফলে কম্প্রেসর এবং ফ্যান মোটর চলতে থাকে।
যদি কম্প্রেসরের কয়েল দুর্বল হয়ে যায় তবে পটেনশিয়াল রীলে দিয়ে স্টার্ট ক্যাপাসিটর সংযোগ করতে হবে। ইলেকট্রনিক সিস্টেমে সেন্সর গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরের মাধ্যমে কম্প্রেসরকে অন-অফ করে চাহিদামত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
আরও দেখুন...