১. নাটিকা টির মূল ভাব জেনে নিই।
সুকুমার রায়ের ‘অবাক জলপান' ছোট্ট একটি নাটিকা। এতে একটি গল্প বলা হয়েছে। তবে পথিক, ঝুড়িওয়ালা, বৃদ্ধ, খোকার মামা— এই চারজন লোকের কথোপকথন বা সংলাপের মধ্যদিয়ে গল্পটি বলা হয়েছে বলে এটি নাটিকা। ছোট্ট নাটককে নাটিকা বলে। ‘অবাক জলপান' নাটিকার কাহিনি হচ্ছে- ভীষণ তৃষ্ণার্ত একটি লোক তেষ্টায় নানান জনের কাছে গিয়ে জল চাইছে, কিন্তু কেউ তাকে জল দিচ্ছে না। বরং তার কথা বলার মধ্যে নানা রকম খুঁত ধরছে। শেষ পর্যন্ত বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে ফন্দি এঁটে এক বিজ্ঞানীর নিকট থেকে সে জল আদায় করল। এটি একটি হাসির গল্প ।
২. শব্দ গুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি।অর্থ বলি।
গেরস্ত বরকন্দাজ তেষ্টা খাটিয়া এক্সপেরিমেন্ট ক্ষমূর্তি
৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
গেরস্ত বরকন্দাজ এক্সপেরিমেন্ট তেষ্টায় রুক্ষমূর্তি খাটিয়ার
ক. …………………………বাড়ি, দুপুর রোদে দরজা এঁটেসব ঘুম দিচ্ছে।
খ. বরকে কি আপনি…………………………বলেন ?
গ. একটা লোক………………………জল জল করছে, তবু জল খেতে পায়না ৷
ঘ. পথিক ক্লান্ত হয়ে অবশেষে ……………….. ওপর বসে পড়ল।
ঙ. নোংরা জলের ভিতর কীআছে তা……………..করে বলা যাবে।
চ. ……………………লোকটিকে দেখলেই ভয় লাগে ৷
৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক. ‘বোবা জল' বলতে কী বোঝায়?
খ. ‘জলাতঙ্ক' কাকে বলে?
গ. জলের তেষ্টায় পথিকের মন ও শরীরের অবস্থা কী হয়েছিল? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মনে কর এই পথিকের সঙ্গে তুমি কথা বলছ। তোমাদের দু জনের কথোপকথন কেমন হতে পারে তা নিজের ভাষায় লেখ।
ঙ. পথিককে ঝুড়িওয়ালা কত রকম জলের কথা শুনিয়েছিল? নামগুলো লেখ। চ. তুমি তোমার সহপাঠীর সাথে আলোচনা করে ইচ্ছেমতো একটি নাটিকা লেখ।
৫. ঠিক উত্তরটিতে টিক(√)চিহ্ন দিই।
ক. অবাক জলপান কোন ধরনের রচনা?
১. নাটিকা ২. ছোটগল্প
৩. প্ৰবন্ধ 8. উপন্যাস
খ. পথিক ঝুড়িওয়ালার কাছে কী চেয়েছিল?
১. কাঁচা আম ২. জল
৩. জলপাই ৪. পাকা আম
গ. কুকুরে কামড়ালে মামা কোন রোগের কথা বলেছিল?
১. ডিপথেরিয়া ২. আমাশয়
৩. জলাতঙ্ক ৪. টাইফয়েড
ঘ. পথিক কয়জনের কাছে খাবার জল চেয়েছিল?
১. ৪ জন ২. ৩ জন
৩. ২ জন ৪. ৫ জন
ঙ. বৃদ্ধ পথিককে কয় ধরনের জলের কথা বলতে চেয়েছিল?
১. পঁচিশ ২. ত্রিশ
৩. দশ ৪. সাতাশ
চ. পথিক শেষ পর্যন্ত কার কাছ থেকে খাবার জল পেয়েছিল?
১. বালক ২. মামা
৩. ঝুড়িওয়ালা ৪. বৃদ্ধ
ছ. নাটিকাটিতে বিজ্ঞানীর চরিত্রে কাকে দেখানো হয়েছে ?
১. ঝুড়িওয়ালা ২.বৃদ্ধ
৩. বালক ৪. মামা
৫. কর্ম-অনুশীলন
শিক্ষকের সহায়তায় নাটিকাটি শ্রেণিতে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করি।
কবি-পরিচিতি
শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় ৩০শে অক্টোবর ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটদের জন্য হাসির গল্প ও কবিতা লিখেছেন। ‘আবোল-তাবোল', 'হ-য-ব-র-ল', 'পাগলা দাশু', ‘বহুরূপী’, ‘খাইখাই’, ‘অবাক জলপান' তাঁর অমর সৃষ্টি। তাঁর পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীও শিশুসাহিত্যিক ছিলেন, আর পুত্র সত্যজিৎ রায় বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক হয়েও শিশু- কিশোরদের জন্য প্রচুর লিখেছেন। ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯২৩ সালে সুকুমার রায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুন...