SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ই-বিজনেস - ই-বিজনেস ও ই-কমার্স পরিচিতি এবং বিজনেস মডেল | NCTB BOOK

 

  পুরো পৃথিবী এখন ইন্টারনেট নির্ভর। ব্যবসায়ের ধরনেও বৈচিত্র্য এসেছে। আজ থেকে দু'তিন দশক পূর্বে মানুষ যা চিন্তাও করেনি তা এখন বাস্তব। ঘরে বসেই এখন বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়— এটিই বর্তমান বাস্তবতা। আর এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেটের কারণে। ব্যবসায় খাত নির্বাচন, ব্যবসায়ের সম্ভাবনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে এখন উচ্চ শিক্ষিতরাও ভাবছেন। কেননা এখন অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চান। অনেক বিশেষজ্ঞরাই মনে করছেন আগামী সময়টা হবে ই-বিজনেস-এর। সময় ও অর্থ বাঁচাতেও ই-বিজনেস-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ অধ্যায়ের আলোচনা শেষে আমরা ই- বিজনেস-এর সুবিধা-অসুবিধা, ই-বিজনেস ও ই-কমার্সের ধারণা ও পার্থক্য, ট্রেডিশনাল ব্যবসায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারব।

 ই-বিজনেস পরিচিতি (Introduction to E business )

ই-বিজনেস আমাদের পণ্য বা সেবা কেনা-বেচা সহজতর করে তুলেছে। আমাদেরকে এখন স্বশরীরে বাজারে উপস্থিত হতে হয় না। আমরা ঘরে বসেই পণ্যের কেনা-বেচা করতে পারি। ১৯৯৬ সালে ই-বিজনেস শব্দের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। International Business Machines Corporation (IBM)-এর মার্কেটিং এবং ইন্টারনেট দল প্রথম শব্দটি ব্যবহার করে।

(সূত্র: en.wikipedia.org/wiki/Electronic_business ) নতুন শতাব্দী, নবদিগন্তের সূচনা। বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় কার্যক্রমের ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। এরূপ পরিস্থিতিতে ই-বিজনেস আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিত শব্দ। ই-বিজনেসকে ইলেকট্রনিক বিজনেস (Electronic business) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিচে ই-বিজনেস-এর কতিপয় উপাদান তুলে ধরা হলো:

অনলাইন কমিউনিটিস বলতে কী বোঝায়?

অনলাইন কমিউনিটিস বা সম্প্রদায় হলো একাধিক ব্যক্তির সমষ্টি, যারা একই ধরনের আগ্রহ (Common interest) বা উদ্দেশ্য অর্জনে একে অপরের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করে। একে সামাজিক বা ভার্চুয়াল সম্প্রদায়ও বলা হয় । অনলাইন কমিউনিটিস একটি তথ্য ব্যবস্থা (Information system) হিসেবে কাজ করতে পারে যেখানে সদস্যরা পোস্ট করা, আলোচনায় মন্তব্য করা, পরামর্শ দেওয়া, সহযোগিতা করা, চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া প্রভৃতি কাজ করতে পারে। ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি হলো এ ধরনের ব্যবস্থা।

▪️ই-বিজনেস-এর সংজ্ঞা (Defination of E business )

  ই-বিজনেস (E-business) এর পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক বিজনেস (Electronic Business)। সাধারণ ভাষায়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যাবতীয় বিধি-বিধান অনুসরণ করে যে ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাকে ই-বিজনেস বলে। এ প্রক্রিয়ায় পণ্য ও সেবার কেনা-বেচা ছাড়াও ক্রেতা সেবা, ফান্ড প্রসেসিং প্রভৃতি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে।

ব্যাপক অর্থে, ই-বিজনেস হলো ইন্টারনেট, কম্পিউটার এবং ওয়েবভিত্তিক ব্যবসায় কার্যক্রম যার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় পণ্য ও সেবার বিনিময় হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পর দূরবর্তী জায়গায় অবস্থান করলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সব ধরনের ব্যবসায়িক কাজ করা যায় । 

জেনে রাখো : ই-বিজনেস সম্পর্কে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা

According to M. K. Pratt Ben Cole, “E-business (Electronic business) is the conduct of business process on the internet.”

According to Chaffey and Smith, “E-business is defined as the use of electronic network for business.”

  ই-বিজনেস বা অনলাইন বিজনেস মূলত এক ধরনের ব্যবসায় লেনদেন যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক দূরে থেকে, ক্রেতার সংস্পর্শে না এসেও পণ্যের বেচা-কেনা করা যায়।

উপরের আলোচনা থেকে ই-বিজনেস-এর যেসব বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠে সেগুলো নিম্নরূপ—

• এটা ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসায়,

• অনলাইন ব্যবসায় কার্যক্রমের নিয়ম-কানুন অনুসরণ,

• ক্রেতা-বিক্রেতার দূরত্ব,

• ক্রেতা-বিক্রেতার সরাসরি যোগাযোগ না করা।

Content added || updated By