এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট-১ - হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ধারণা | NCTB BOOK

হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপনা হলো কর্মী ব্যবস্থাপনার উন্নত রূপ। কর্মী ব্যবস্থাপক ও হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপকের কাজের পরিধি, বিষয়বস্তু ও ধরনে বেশ পার্থক্য রয়েছে। নিচে এদের পার্থক্য বর্ণনা করা হলো-

 কর্মী ব্যবস্থাপকহিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপক
কর্মী সংগ্রহ, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ কাজের সাথে জড়িত নির্বাহীকে কর্মী ব্যবস্থাপক বলে।সঠিক কর্মী সংগ্রহ, তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দান, তাদেরকে সৃজনশীল জ্ঞানসমৃদ্ধ কর্মীতে রূপান্তর এবং প্রেষণা দানের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় নিয়োজিত নির্বাহীকে হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপক বলে।
এর কাজ মূলত লোকবল পরিচালনা করা।কর্মীদের জ্ঞান, দক্ষতা, সামর্থ্য, ঝোঁক, সৃজনশীলতা প্রভৃতি হলো এর কাজের বিষয়বস্তু ।
কর্মী ব্যবস্থাপক কর্মীদেরকে অর্থনৈতিক পণ্য হিসেবে গণ্য করেহিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপক কর্মীদেরকে পরিপূর্ণ । মানুষ হিসেবে গণ্য করে তাদের সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়।
কর্মীদেরকে ব্যবস্থাপক ব্যয়কেন্দ্রিক মনে করে। এজন্য তাদের সাথে ব্যয়  নিয়ন্ত্রণের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।এরূপ ব্যবস্থাপক কর্মীদেরকে মুনাফাকেন্দ্রিক হিসেবে বিবেচনা করে। এজন্য তাদের উন্নয়নে পুঁজি  বিনিয়োগ করে সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
কর্মী ব্যবস্থাপক কর্মীদেরকে উৎপাদনের একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন।এরা কর্মীদেরকে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করেন। তাদেরকে সামাজিক পুঁজি ও মানবমূলধন বলেও গণ্য করেন।
কর্মী ব্যবস্থাপকের কাজের আওতা  অনেক সীমিত।হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপকের কাজের আওতা অনেক বিস্তৃত।
কর্মীদের উন্নতিকল্পে মধ্যস্থতাকারী (Activity) হিসেবে কাজ করে।হিউম্যান রিসোর্সকে প্রতিশ্রুতিশীল করে গড়ে তোলা ও তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে।

তাই বলা যায়, হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপনা হলো কর্মী ব্যবস্থাপনার আধুনিক রূপ। তাই কর্মী ব্যবস্থাপকের চেয়ে হিউম্যান রিসোর্স ব্যবস্থাপকের কার্য পরিধি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি, আর্থিক সামর্থ্য ও কার্য পরিধির ভিন্নতার কারণে একেক প্রতিষ্ঠানে একেক ধরনের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

Content added By
Promotion