SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - হিসাববিজ্ঞান - দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি | NCTB BOOK

হিসাববিজ্ঞানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, বিজ্ঞানসম্মত, পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতিই হচ্ছে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে অর্থ বা আর্থিক মূল্যে পরিমাপযোগ্য প্রতিটি লেনদেনকে দ্বৈত স্বত্বায় প্রকাশ করা হয় ফলে একটি হিসাব খাতকে প্রাপ্ত সুবিধার জন্য ডেবিট এবং অপর হিসাব খাতকে প্রদত্ত সুবিধার জন্য ক্রেডিট করা হয়। দু'তরফা দাখিলা পদ্ধতির মূলনীতি বা বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ :

১। দ্বৈত সত্তা : প্রতিটি লেনদেনে কমপক্ষে দুটি হিসাব থাকে। ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করার পূর্বে প্রতিটি লেনদেনে জড়িত হিসাবখাতসমূহ বের করে তাদের প্রত্যেকটি কোন শ্রেণির হিসাব তা নিরূপণ করতে হয়। তারপর দুতরফা দাখিলা অনুযায়ী প্রতিটি হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করতে হয়।

২। দাতা ও গ্রহীতা : প্রতিটি লেনদেনে সুবিধা গ্রহণকারী গ্রহীতা ও সুবিধা প্রদানকারী দাতা হিসেবে কাজ করে।
৩। ডেবিট ও ক্রেডিট করা : সুবিধা গ্রহণকারী হিসাবকে ডেবিট ও সুবিধা প্রদানকারী হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।
৪। সমান অঙ্কের আদান-প্রদান : প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট ও ক্রেডিট টাকার পরিমাণ সমান হবে
৫। সামগ্রিক ফলাফল : যেহেতু প্রতিটি লেনদেন ডেবিট-ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে সমপরিমাণ টাকার অঙ্ক দ্বারা লিপিবদ্ধ করা হয়, সেহেতু সামগ্রিক ফলাফল নির্ণয় সহজ হয়। মোট লেনদেনের ডেবিট দিকের যোগফল ক্রেডিট দিকের যোগফলের সমান হয়।

Content added By