জনাব হান্নান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি মাসে ৩০,০০০ টাকা বেতন পান এবং বছরে ২ বার ২০,০০০ টাকা করে বোনাস পান। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর পারিবারের নগদ তহবিল ১২,০০০ টাকা, বাড়িঘর ৫,৫০,০০০ টাকা, সরঞ্জাম ৬,০০০ টাকা এবং সহকর্মীর নিকট ঋণ ছিল ৪০,০০০ টকা । সারা বছরে তাঁর পরিবারের অন্যান্য লেনদেন ছিল নিম্নরূপ :
খাদ্যসামগ্রী ক্রয় ৭৮,০০০ টাকা, সহকর্মীর ঋণ পরিশোধ ৩০,০০০ টাকা, ঔষধ ও ডাক্তারের ফি ১৮,০০০ টাকা, বাড়ি মেরামত খরচ ৩১,০০০ টাকা, মোবাইল সেট ক্রয় ১৪,০০০ টাকা। বিদ্যুৎ ও টেলিফোন খরচ ৮,৬০০ টাকা ৷ কাপড়চোপড় ক্রয় ৭,৫০০, কৃষি ফসল বিক্রয় ৪৮,৫০০ টাকা, ফ্রিজ ক্রয় ৩৬,০০০ টাকা। লেখা পড়ার খরচ ৪২,০০০ টাকা, ডি.পি.এস এ জমা ৩৬,০০০ টাকা। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৩,৪০০ টাকা বকেয়া রয়েছে।
জীবনকে সুন্দর ও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও সঠিক হিসাবব্যবস্থার প্রয়োগ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক আয়-ব্যয়ের প্রয়োগের উপরই সুশৃঙ্খল জীবনব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে। তাই সামাজিক ও পারিবারিক জীবনযাপনে আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করা উচিত। পরিবারের আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ না করলে আয় বুঝে ব্যয় করা সম্ভব নয়। তাছাড়া আয়-ব্যয়ের কোনো পূর্বপরিকল্পনা তথা বাজেট প্রণয়ন করা না হলে সুষ্ঠুভাবে পরিবার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কাজেই প্রতিটি পরিবারেরই উচিত সঠিক পরিকল্পনা মাফিক পারিবারিক হিসাবব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করা এবং ব্যক্তি বা পরিবার স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য যদি কোনো আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প হাতে নিতে হয় তাহলে ঐ প্রকল্পের বাজেট তৈরি করা।
এই অধ্যায় শেষে আমরা-