সজলের বাবার মানসিকতা হলো, অতিরিক্ত বই পড়া সময়ের অপচয়। আমি এই মানসিকতার সাথে একমত নই। কারণ বই পড়া জ্ঞানার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ইতিহাস বা অন্যান্য বিষয়ের বই পড়া মানুষকে অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি নতুন নতুন ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। বই পড়া মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং সৃজনশীলতা বাড়ায়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। নয় মাস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের দেশ শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের, গৌরবের কাহিনি। বাঙালি জাতির এমন অনেক গৌরবের কাহিনি আছে। সেসব জানতে হলে ইতিহাস পড়তে হবে, চর্চা করতে হবে। ইতিহাস সত্য ঘটনা উপস্থাপন করে। ইতিহাস সম্পর্কে গভীর অনুসন্ধান করতে হলে ইতিহাসের উপাদান, প্রকারভেদ সম্পর্কে অবহিত হতে হবে।
এজন্য আগে আমাদের নামতে হবে ইতিহাস কী? জানতে হবে কত ধরনের ইতিহাস লেখা যার যা ইতিহাস কত ধরনের হয়। ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তাই বা কী? এই অধ্যায়ে এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং
এই অধ্যায় শেষে আমরা -
• ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা, স্বরূপ ও পরিসর ব্যাখ্যা করতে পারব;
• ইতিহাসের উপাদান ও প্রকার বর্ণনা করতে পারব;
• ইতিহাস পাঠের প্রজোজনীয়তা আলোচনা করতে পারব;
• ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহী হব ।