সাইদ, খোকন ও মামুন সমঝোতার ভিত্তিতে 'X' Builders নামে একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গঠন করলো যার লক্ষ্য রসুলপুর গ্রামে একটি কার্লভাট নির্মাণ করা। পরবর্তিতে মহেশখালীতে একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেল। এজন্য তাদের অধিক মূলধনের প্রয়োজন। তাই তারা সুমনকে এই শর্তে ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায়, সে শুধু ব্যবসায় ৫,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবে কিন্তু পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
ব্যবসায় পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য হলো অংশীদারি সংগঠন। একমালিকানা ব্যবসায়ে একক মালিকের পুঁজি ও সামর্থের সীমাবদ্ধতার কারণে এক পর্যায়ে বড় ধরনের সংগঠনের প্রয়োজন অনুভূত হয়। ফলশ্রুতিতে একাধিক ব্যক্তির মালিকানা ও তত্ত্বাবধানে সৃষ্টি হয় অংশীদারি সংগঠন। এ ব্যবসায়ে ন্যূনতম ২ জন এবং সর্বাধিক ২০ জন সদস্য থাকে। তবে ব্যাংকিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ১০ জন সদস্য থাকে। ১৯৩২ সালের ভারতীয় অংশীদারি আইন অনুযায়ী, “সকল ব্যক্তির দ্বারা বা সকলের পক্ষে একজন দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়ের মুনাফা নিজেদের মধ্যে বণ্টনের নিমিত্তে কতিপয় ব্যক্তিবর্গের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কই হলো অংশীদারি ব্যবসায়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনটি প্রচলিত রয়েছে।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা জানতে পারব—
সূত্র: ক্যামব্রিয়ান পাবলিকেশন্স