ক্যারিয়ার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ - ক্যারিয়ার গাইডেন্স সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা | NCTB BOOK

ভোকেশনাল বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার মুল উদ্দেশ্য হলো স্বীয় জ্ঞান ও দক্ষতার যথাযথ প্রয়োগ করে কর্মজগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করা। এজন্য প্রয়োজন একজন শিক্ষার্থীকে তাঁর স্বীয় মেধা, ঝোঁক এবং সামর্থ সম্পর্কে সচেতন করা, স্বীয় জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কীভাবে কর্মজগতে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করবে সে সম্পর্কে সচেতন ও আগ্রহী করে তেলা, কর্মজগতের দক্ষতা ও চাহিদা সম্পর্কে সচেতন করা এবং নিজের ক্যারিয়ার কীভাবে গড়ে তুলবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান কর । এজন্য ক্যারিয়ার গাইডেন্স তথা ক্যারিয়ার শিক্ষার প্রধান এবং পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত দুটি উপাদান রয়েছে।

১। নিজকে জানা 

২। কর্মজগতকে জানা 

৩। বিকল্প পেশা ও জীবিকা সম্পর্কে জানা । (Understanding Career Alternative ) 

৪। ক্যারিয়ার গঠনের পরিকল্পনা জানা

অর্থাৎ ক্যারিয়ার শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষর্থী প্রথমত নিজের সামর্থ, ঝোঁক প্রবনতা, দূর্বলতা, সূযোগ-সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত হবে। অর্থাৎ সে নিজকে জানবে, নিজের লুকায়িত প্রতিভাকে উন্মোচনের চেষ্টা করবে, নিজের ভবিষৎ জীবনের সম্ভাবনাকে জানার চেষ্টা করবে। দ্বিতীয়ত একজন শিক্ষার্থী কর্মজগতকে জানবে, অর্থাৎ কর্মজগতের সাথে নিজকে পরিচিত করবে। কর্মজগতের যে সব নতুন নতুন দক্ষতার উদ্ভব হচ্ছে তা জানবে এবং নিজকে কর্মজগতের পরিবর্তনের সাথে হালনাগাদ করতে উদ্বুদ্ধ হবে। তৃতীয়ত কর্মজগতে যেসব নতুন নতুন পেশার উদ্ভব হচ্ছে সে সম্পর্কে অবহিত হবে এবং নিজের সম্ভাব্য পেশা সম্পর্কে আগাম সচেতনতা সৃষ্টি হবে। নিজের সম্ভাব্য ক্যারিয়ার গঠনের একটি স্বপ্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাগ্রত হবে। সামগ্রিকভাবে ক্যারিয়ার শিক্ষা নিজের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানা থেকে শুরু করে ভবিষৎ ক্যারিয়ার গঠনের কাজকে সম্পন্ন করতে শিক্ষার্থীকে সহায়তা করবে। সেজন্য ক্যারিয়ার শিক্ষাকে স্বপ্নের ক্যারিয়ার গঠনের প্রধান ও কার্যকর অবলম্বন হিসেবে গণ্য করা হয়

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion