বাংলাদেশ এমন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য যেখানে অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ উক্ত সংস্থার সদস্য। সমগ্র বিশ্বে ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠান কাজ করে। বাংলাদেশ এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ এক্ষেত্রে যে ভূমিকা রাখতে পারে তা হলো-
i. স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা
ii. কোটা সুবিধা দিতে ধনী দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা
iii. ধনী দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে বনে গাছ বড় হয়, সেবা যত্নের তেমন প্রয়োজন হয় না। সাগরে মাছ পাওয়া যায়, খাদ্য-খানা দেয়া ও যত্ন আবশ্যক হয় না। কিন্তু যখন বনায়ন করা হয়, মাছ চাষ করা হয় তখন অনেক সেবা- যত্নের প্রয়োজন পড়ে । ফরেস্ট অফিসার লাগে, ফিশারি অফিসার লাগে এবং আরও কত কিছুর প্রয়োজন পড়ে- যার সহযোগিতা ব্যতিত এ কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যায় না। তাই আজকের দিনে কার্যকর সহায়ক সেবা ছাড়া কোনো জিনিসই সঠিকভাবে গড়ে তোলা, লালন-পালন ও পরিচালনা করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি আরও বেশি প্রযোজ্য। একটা দেশে ব্যবসায় কতটা স্বচ্ছন্দ্বের সাথে গড়ে উঠবে, পরিচালিত হবে-তার সাথে এই সহায়ক সেবা সম্পর্কযুক্ত। ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের আগামী দিনে ব্যবসায় গড়তে ও ব্যবসায় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে এই সহায়ক সেবাগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ এবং কী, কোথায়, কিভাবে ও কতটা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জ্ঞান লাভ অপরিহার্য ।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা (শিখন ফল)
১. সহায়ক সেবার ধারণা ও প্রকারভেদ ব্যাখ্যা করতে পারবে
২. বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ব্যাখ্যা করতে পারবে
৩. বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ব্যাখ্যাকরতে পারবে
৪. এসএমই ফাউন্ডেশন (SME) থেকে প্রাপ্ত সহায়তাব্যাখ্যা করতে পারবে
৫. বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ব্যাখ্যা করতেপারবে
৬. শিল্প ও বণিক সমিতি এবং বিজিএমইএ থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ব্যাখ্যা করতে পারবে
৭. রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ব্যাখ্যা করতে পারবে
৮. ব্যবসায় সহায়তা দানকারী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা ও কার্যক্রম বিশ্লেষণ করতে পারবে