কোন দেশটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়?
বাংলা ভাষা ও তার ব্যাকরণ সমৃদ্ধ ও সুসংগঠিত। বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত, এবং এটি মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। বাংলা ভাষার সঠিক ও প্রাঞ্জল ব্যবহারের জন্য ব্যাকরণের সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. ধ্বনি বৈচিত্র্য: বাংলা ভাষায় ৭টি স্বরধ্বনি ও ৩৯টি ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে, যা এর উচ্চারণ এবং শব্দ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ২. লিপি: বাংলা লিপি ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত, যা অত্যন্ত নান্দনিক এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যযুক্ত। ৩. বাক্যগঠন: বাংলা বাক্যের গঠন সাধারণত 'কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া' কাঠামো অনুসরণ করে। অর্থাৎ, বাক্যের প্রথমে কর্তা, তারপর কর্ম এবং শেষে ক্রিয়া বসে। ৪. সাহিত্য ও শব্দের বৈচিত্র্য: বাংলা ভাষার বিশাল সাহিত্যসম্ভার রয়েছে, এবং তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি শব্দের বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো সাহিত্যিকরা এই ভাষার প্রসার ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ব্যাকরণ বাংলা ভাষার গঠন, শব্দের প্রয়োগ, এবং বাক্যের সঠিক ব্যবহারের নিয়মাবলি নির্ধারণ করে। বাংলা ব্যাকরণের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো:
ধ্বনি হলো ভাষার ক্ষুদ্রতম একক। বাংলা ভাষায় ধ্বনি দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত: স্বরধ্বনি এবং ব্যঞ্জনধ্বনি।
শব্দ হলো অর্থবহ ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি। শব্দের প্রকারভেদ:
বাক্য হলো এক বা একাধিক শব্দের সমষ্টি যা পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে। বাংলা বাক্যের ধরন:
ক্রিয়া বাক্যের কাজ বা অবস্থাকে নির্দেশ করে। বাংলা ভাষায় ক্রিয়া তিনটি কাল অনুসারে পরিবর্তিত হয়:
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ চর্চা করার মাধ্যমে লিখনশৈলী ও বক্তব্য প্রকাশে স্বচ্ছতা এবং শুদ্ধতা বৃদ্ধি পায়। ভাষার এই নিয়মগুলো চর্চা করে বাংলা ভাষাকে আরও সুন্দর ও সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।