সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারায় সূচনা লগ্নে ব্যবসায়ের পরিসর ছিল অল্প ও সংকীর্ণ, তাই এর সাংগঠনিক রূপ ছিল সহজ, ছোট। যেমন—একমালিকানা, অংশীদারি। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি হতে শুরু হয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব সংঘটিত হলে শিল্প ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। পূর্বেকার কায়িকশ্রমের স্থান দখল করে নেয় যন্ত্রপাতি এবং শুরু হয় বৃহদায়তন উৎপাদনের পালা । এমতাবস্থায় ব্যবসায় সংগঠনের প্রাথমিক রূপ তথা একমালিকানা ব্যবসায় এবং অংশীদারি ব্যবসায়ের পক্ষে এদের কতিপয় সীমাবদ্ধতার কারণে বৃহদায়তন পণ্যদ্রব্যাদির উৎপাদন ও বণ্টন কার্য পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলাতে যেয়ে অধিক মূলধন, সীমাবদ্ধ দায়, দক্ষ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা এবং চিরন্তন অস্তিত্বের সুবিধা নিয়ে যুগোপযোগী ব্যবসায় সংগঠন হিসেবে যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের উদ্ভব ঘটে।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা জানতে পারব—
সূত্র: ক্যামব্রিয়ান পাবলিকেশন্স