মুন গার্মেন্টস এর শ্রমিকেরা তাদের নিজেদের কল্যাণার্থে কারখানা গেইটের সামনে একটি দোকান স্থাপন করে। এ দোকানের মালিক তারা এবং ক্রেতাও তারা তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি ব্যবসায়টি চালায়। প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োগ যাই হোক না কেন প্রত্যেকের অংশগ্রহণ থাকে সমান। তারা তাদের সংগঠন থেকে বিবিধ সহায়তা পেয়ে থাকে।
"সকল অংশীদারের সমান অংশগ্রহণ"-এতে সমবায়ের সাম্য নীতিটি প্রতিফলিত হয়েছে।
সমবায় আইন দ্বারা সৃষ্ট সংগঠন। আইনের আলোকে সমবায় সংগঠনের সদস্যদের শেয়ার মালিকানা, সামাজিক ও পারিবারিক মর্যাদা কমবেশি হলেও সংগঠন পরিচালনায় সকল সদস্য সমান অধিকার ও মর্যাদা ভোগ করে। 'এক মাথা এক ভোট' এ পদ্ধতির জন্যই সর্বস্তরে সাম্যতা নিশ্চিত করা যায়।
উদ্দীপকে মুন গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা নিজেদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি দিয়ে দোকানের ব্যবসায়টি চালায়। প্রতি 'তিনবছর অন্তর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োগ যাই হোক না কেন প্রত্যেকের অংশগ্রহণ থাকে সমান। আর এই সমান অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয় মূলত সমবায়ের সাম্য নীতির কারণে। কেননা সমবায় সমিতি হচ্ছে সাম্যের প্রতীক অর্থাৎ এখানে সকলের ভোটাধিকার মর্যাদা মত প্রকাশের সুযোগ সমান। তাই বলা যায়, "সকল অংশীদারের সমান অংশগ্রহণ"-এতে সমবায়ের সাম্য নীতিটি প্রতিফলিত হয়েছে।