তানযীমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসায় প্রতিদিন শরীরচর্চার ও খেলাধুলার জন্য দুইটি পিরিয়ড বরাদ্দ থাকে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় অবস্থানকালীন সময়ে পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করে । দৈনন্দিন কার্যক্রম মেনে চলার জন্য তাদেরকে একটি তালিকা দেওয়া হয়। এছাড়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান করে থাকে। এতে দেখা যায় ওরা যে কোনো পরিবেশে যে কোনো স্থানে সহজে সবার সাথে মিশতে পারে ।
প্রাচীনকালে শারীরিক শিক্ষা বলতে শরীর সম্বন্ধীয় শিক্ষাকে বোঝানো হতো। আধুনিককালে এ ধারণা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। শরীর সম্বন্ধীয় শিক্ষা বা শারীরিক কসরতকে শারীরিক শিক্ষা নয় শরীরচর্চা বলে। শারীরিক শিক্ষা শুধু শরীর নিয়েই আলোচনা করে না, এর সাথে মানসিক বিকাশ ও সামাজিক গুণাবলি কীভাবে অর্জিত হয় সে ব্যাপারেও সহায়তা করে। শরীর ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না, কাজে মন বসে না, তাই দেহ ও মনের সম্পর্ক অতি ঘনিষ্ঠ। 'সুস্থ দেহে সুন্দর মন' প্রাচীন এই প্রবাদটি সর্বযুগে সর্বকালে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে শারীরিক উন্নয়ন, মানসিক বিকাশ ও সামাজিক গুণাবলি অর্জনই হলো শারীরিক শিক্ষা। শারীরিক শিক্ষা কর্মসূচি নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সুস্থ জীবন লাভ করা যায়। একজন শিক্ষার্থী শারীরিক শিক্ষা লাভ করে সুস্থ দেহে সুন্দর মনের অধিকারী হয়ে সমাজে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
এ অধ্যায় শেষে আমরা-