ট্রান্সফরমার হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যার সাহায্যে কোন ফ্রিকোয়েন্সীর পরিবর্তন না করেই এবং কোন রকম সংস্পর্শ ছাড়াই বৈদ্যুতিক শক্তিকে একটি এসি সার্কিট হতে অন্য একটা এসি সার্কিটে পাঠান যায় ।
ট্রান্সফরমারের প্রকারভেদ
গঠন অনুযায়ী ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যথা
• কোর টাইপ ট্রান্সফরমার • সেল টাইপ ট্রান্সফরমার
আবার কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে একে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-
• স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার • আই, এফ ট্রান্সফরমার
• স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার • পাওয়ার ট্রান্সফরমার
• ড্রাইভার ট্রান্সফরমার • ফ্লাইব্যাক ট্রান্সফরমার
• অটো ট্রান্সফরমার • ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার
• ইনপুট ট্রান্সফরমার • কারেন্ট ট্রান্সফরমার
• আউটপুট ট্রান্সফরমার
স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার
যে ট্রান্সফরমারের প্রাইমারীতে কম ভোল্টেজ প্রয়োগ করে সেকেন্ডারী হতে বেশী ভোল্টেজ পাওয়া যায় তাকে ট্রান্সফরমারকে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার বলে ।
স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার
যে ট্রান্সফরমারের প্রাইমারীতে বেশী ভোল্টেজ প্রয়োগ করে সেকেন্ডারী হতে কম ভোল্টেজ পাওয়া যায় তাকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার বলে
স্টেপ আপ ও স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য-
স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার | স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার |
---|---|
১. প্রাইমারী ভোল্টেজ কম, কারেন্ট বেশী। | ১. প্রাইমারী ভোল্টেজ বেশী, কারেন্ট কম। |
২. সেকেন্ডারী ভোল্টেজ বেশী, কারেন্ট কম। | ২. সেকেন্ডারী ডোস্টেজ কম, কারেন্ট বেশী। |
৩. প্রাইমারী Winding এর Turn সংখ্যা কম । সেকেন্ডারী Winding এর Turn সংখ্যা বেশী। | ৩. প্রাইমারী Winding এর Turn সংখ্যা বেশী সেকেন্ডারী Winding এর Turn সংখ্যা কম। |
৪. প্রাইমারী Winding এর তার মোটা। সেকেন্ডারী Winding এর তার চিকন। | ৪. প্রাইমারী Winding এর তার চিকন। সেকেন্ডারী Winding এর তার মোটা। |
৫. প্রাইমারী Winding এর Resistance কম। | ৫. প্রাইমারী Winding এর Resistance বেশী। |
আরও দেখুন...