এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা হ্যাজার্ড ও রিক্ষ, বিভিন্ন প্রকারের হ্যাজার্ড ও রিঙ্ক, হ্যাজার্ড এবং রিক্ষ প্রতিরোধ, প্রাথমিক চিকিৎসা, আগুন এবং আগুন নেভানোর উপকরণ সম্পর্কে জানব ।
যে সব উৎস বা উপাদানের প্রভাবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, সেই সব উৎস বা উপাদানকে হ্যাজার্ড বা বিপদ বলে।
বিভিন্ন প্রকারের হ্যাজার্ডসমূহ (Types of Hazards )
ব্যক্তির বা ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক দুর্বলতার মাধ্যমে ক্ষতি, দুর্ঘটনা, আঘাত, দায় বা অন্য কোন নেতিবাচক ঘটনার সম্ভাব্যতা বা হুমকি ইত্যাদি হচ্ছে ঝুঁকি।
বিভিন্ন রকম ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত দূর্ঘটনাসমূহ
১) বৈদ্যুতিক ঝুঁকি
ক. পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়া বৈদ্যুতিক শকে আহত কাউকে স্পর্শ করা।
খ. দূর্বল তাপ নিরোধক ও ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা।
গ. খালি পায়ে বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করা।
২) যান্ত্রিক ঝুঁকি
সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতির ৩টি স্থানে যান্ত্রিক ত্রুটি বিদ্যমান যেমন-
ক. পরিচালনার ক্ষেত্রে।
খ. যান্ত্রিক শক্তি ট্রান্সমিশন কেন্দ্রে।
গ. যন্ত্রপাতির ঘূর্ণন এলাকার।
৩) অগ্নি ঝুঁকি
অগ্নি ঝুঁকি নিচে উল্লেখিত কারণে হতে পারে-
ক. কাঠ, কাগজ, কাপড় ও অন্যান্য সাধারণ উপকরণ নির্দিষ্ট স্থানে না রাখলে ।
খ. পেট্রোল, তেল, গ্রীজ ও দাহ্য পদার্থের সংরক্ষণ সঠিকভাবে না করলে।
গ. বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে ।
ঘ. ধূমপানের কারণেও অগ্নি ঝুঁকি হতে পারে।
কাজ করতে গেলে শুধু হ্যাজার্ড চিহ্নিত করলেই হবে না, তা প্রতিকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে হ্যাজার্ড স্থানকে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর নিচের ধাপগুলো ধারাবাহিক ভাবে বিবেচনা করে হ্যাজার্ডটি যে সেক্টরের মাধ্যমে প্রতিকার করা যায়, সেই সেক্টরকে জানাতে হবে।
হঠাৎ কোন দূর্ঘটনায় আহত বা অসুস্থ লোককে ডাক্তার অথবা হাসপাতালে নেয়ার আগে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিকভাবে যে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে । অর্থাৎ রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত রোগীর অবস্থার অবনতি যাতে না হয় সেই দিকে খেয়াল রেখে জীবিত বা সুস্থ রাখার প্রক্রিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে । অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসার সাহায্যে একজন রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য
ক. জীবন রক্ষা করা
খ. গুরুতর আঘাতের পর অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়া থেকে বিরত রাখা
গ. অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করা
প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স (First Aid Box )
যে বক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণগুলো রাখা থাকে তাকে First Aid Box বলে। এই বক্সে যে সব জিনিস পত্র থাকে তা হল- মলম, তুলা, ব্যান্ডেজ, ডেটল, স্যাভলন, ব্লেড, ছুরি, ওরস্যালাইন, সিজারস ইত্যাদি ।
আগুন: অক্সিজেন, ফুয়েল এবং তাপ এই তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে আগুন ধরে। এই তিনটি উপাদানের যে কোন একটি ছাড়া আগুন লাগতে পারে না ।
আগুনকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়-
১. “এ” ক্লাস ফায়ার (A-Class Fire )
২. “বি” ক্লাস ফায়ার (B-Class Fire )
৩. “সি” ক্লাস ফায়ার (C-Class Fire)
৪. “ডি” ক্লাস ফায়ার (D-Class Fire )
৫. “ই” ক্লাস ফায়ার (E-Class Fire )
ফায়ার এক্সটিংগুইশার একটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। এটি প্রধানত দুই প্রকার -
১. পোর্টেবল টাইপ ফায়ার এক্সটিংগুইশার,
২. ফিক্সড ইন্সটলেশন টাইপ ফায়ার এক্সটিংগুইশার ।
অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম (Fire Fighting Equipment)
আরও দেখুন...