শনাক্তকারী পরীক্ষায় উৎপন্নকৃত “রীনম্যানগ্রীণ” এর সবুজ বর্ন থেকে কোন ধাতুটি শনাক্ত করা যায়?

Created: 2 years ago | Updated: 2 years ago
Updated: 2 years ago

শিখা পরীক্ষাদ্বারা ধাতব আয়ন শনাক্তকরণ

শিখা পরীক্ষা হল একটি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো দ্রবণে কোন ধাতব আয়ন উপস্থিত আছে তা শনাক্ত করা যায়। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধাতুর যৌগকে জ্বালানির শিখায় রাখলে সেই ধাতুর নিজস্ব বর্ণের আলো নির্গত হয়। এই বর্ণের উপর ভিত্তি করে ধাতুটি শনাক্ত করা হয়।

শিখা পরীক্ষার পদ্ধতি:

  1. পরীক্ষানালিকা প্রস্তুতি: একটি পরিষ্কার পরীক্ষানালিকায় সামান্য পরিমাণ দ্রবণ নিন।
  2. প্লাটিনাম তার: একটি প্লাটিনাম তারকে পাকস্কল দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  3. দ্রবণে ডুবানো: পরিষ্কার প্লাটিনাম তারটিকে দ্রবণে ডুবিয়ে তুলে নিন।
  4. শিখায় ধরা: তারের ডগাটিকে বার্নারের নিঃস্বর্ণ শিখার অংশে ধরুন।
  5. বর্ণ পর্যবেক্ষণ: শিখার রং লক্ষ্য করুন। বিভিন্ন ধাতুর জন্য শিখার রং ভিন্ন হয়।

বিভিন্ন ধাতুর শিখার রং:

  • সোডিয়াম (Na): গাঢ় হলুদ
  • পটাশিয়াম (K): বেগুনি (বেঙ্গানি)
  • ক্যালসিয়াম (Ca): ইঁটের লাল
  • বেরিয়াম (Ba): হালকা সবুজ
  • স্ট্রন্শিয়াম (Sr): গাঢ় লাল
  • কপার (Cu): নীল-সবুজ

শিখা পরীক্ষার সতর্কতা:

  • প্লাটিনাম তার ব্যবহার করতে হবে। অন্য ধাতুর তার ব্যবহার করলে ভুল ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
  • শিখার নিঃস্বর্ণ অংশেই তার ধরতে হবে। অন্য অংশে ধরলে সঠিক রং দেখা যাবে না।
  • প্রতিটি পরীক্ষার আগে প্লাটিনাম তারকে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

শিখা পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা:

  • শিখা পরীক্ষা দ্বারা সব ধাতুকে শনাক্ত করা যায় না।
  • অনেক সময় দুটি বা ততোধিক ধাতুর শিখার রং একই রকম হতে পারে।
  • যদি দ্রবণে অনেক ধরনের ধাতু থাকে তাহলে শিখার রং মিশে গিয়ে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না।

শিখা পরীক্ষার ব্যবহার:

  • শিখা পরীক্ষা একটি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি হওয়ায় ল্যাবরেটরিতে ছাত্ররা অনুশীলনের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে।
  • ধাতব আয়ন শনাক্তকরণের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
  • মাটিতে বিভিন্ন ধাতুর উপস্থিতি শনাক্ত করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
Image of flame test for different metals
Content added By
Promotion