মি. মবিন একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে প্রশাসনিক কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অধস্তন তিনটি বিভাগের ওপর ছেড়ে দেন। পাশাপাশি তাদের কিছু দায়িত্বও অর্পণ করেন। তিনি বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবস্থাপকীয় কৌশল বাস্তবায়নে তাদের সমর্থন আদায় করেন।
মি. মবিনের দায়িত্ব ও ক্ষমতা অর্পণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার কোন নীতি পরিলক্ষিত হয়?
“নীতি-নৈতিকতা মেনে চলা উচিত'- এ আপ্তবাক্য সকল সমাজেই প্রচলিত । তাই নিঃসন্দেহে নীতি এমন ইতিবাচক বিষয় যা মেনে চললে এর দ্বারা সংশ্লিষ্ট সবাই উপকৃত হতে পারে । নীতি হলো কাজের সাধারণ নির্দেশিকা । প্রতিটা ক্ষেত্রে কিভাবে করলে কাজটা সুন্দরভাবে সম্পাদন করা যাবে দীর্ঘদিনে এ ধরনের প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে কিছু উপায়-পদ্ধতি বেরিয়ে এসেছে যাকে নীতি হিসেবে দেখা হয়ে থাকে । ব্যবস্থাপনার নীতিগুলো কী হতে পারে অনেকেই এ নিয়ে দীর্ঘদিনে প্রতিষ্ঠিত সত্যগুলো তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন । হেনরি ফেওল প্রদত্ত ১৪টি মূলনীতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ । একজন আদর্শ ব্যবস্থাপকের কী কী গুণ থাকা উচিত তাও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। আগামী দিনে যারা যোগ্য ব্যবস্থাপক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে চায় নিঃসন্দেহে এ সকল জ্ঞান তাদের যোগ্য ব্যবস্থাপক হতে সহায়তা করবে ।
১. ব্যবস্থাপনা নীতির ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে ।
২. ব্যবস্থাপনার নীতি বা আদর্শসমূহ বর্ণনা করতে পারবে ।
৩. এফ. ডব্লিউ, টেলর ও হেনরি ফেয়লের অবদান ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৪. আদর্শ ব্যবস্থাপকের দক্ষতা ও গুণাবলি বর্ণনা করতে পারবে ।
৫. আদর্শ ব্যবস্থাপকের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে পারবে।
৬. ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারবে ।
৭. সংগঠন, ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারবে।
৮. বাংলাদেশে ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে ।