বাংলাদেশে কয়টি শেয়ার বাজার আছে ?

Created: 2 years ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

আধুনিক ব্যবসায়ের জগতে মূলধনকে জীবনীশক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। অর্থ ছাড়া যেকোনো ব্যবসায়ই অচল যেমন রক্ত ছাড়া মানুষের শরীর। আমাদের চারপাশে যেসব ব্যবসায় সংগঠন আমরা দেখি সেগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ের উপাদান সবগুলো একসাথে নাও থাকতে পারে। কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানে একটি মূল উপাদান অবশ্যই আছে আর তা হলো অর্থ। ব্যবসায়ের প্রাথমিক ব্যয় নির্বাহ, উৎপাদন কার্য অব্যাহত রাখা, পণ্য বিতরণ ও শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ প্রভৃতি সকল কাজে অর্থের প্রয়োজন। এজন্যই ব্যবসায়ের সফলতা অনেকাংশেই অর্থসংস্থানের উপর নির্ভর করে। অর্থ সংস্থান মূলত প্রতিষ্ঠানের অর্থের প্রয়োজন নির্ধারণ, উৎস অনুসন্ধান, ব্যবহার নিরূপণ, ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সংরক্ষণ, সামগ্রিক অর্থ সংরক্ষণ ও সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কযুক্ত।

কোম্পানি ব্যবসায়ে অর্থসংস্থানের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের উৎস সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো-

স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের উৎস (Sources of Short Term Business Finance)

অর্থবাজার হতে শিল্প তথা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বল্পমেয়াদি মূলধন বা পুঁজি সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত এক বছরের জন্য স্বল্প মেয়াদি অর্থের সংস্থান করা হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংক, দেশীয় ঋণদাতা গোষ্ঠী, ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিবৃন্দ, বিল বাজার, সমবায় ব্যাংক, ভূমিবন্ধকি ব্যাংক প্রভৃতি নিয়ে স্বল্প মেয়াদি ঋণের উৎস অর্থবাজার গঠিত হয়।

১. মালিকের তহবিল (Owner's Fund):

ব্যবসায়ে স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে মালিকের তহবিলকে প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মালিক প্রথমত তার নিজের সঞ্চিত অর্থ ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন। মালিকের তহবিল হতে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ব্যবসায়ের চলতি মূলধনের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে এ উৎস হতে সংগৃহীত অর্থ অপর্যাপ্ত হলে অন্যান্য উৎস হতে অর্থায়নের চেষ্টা করা হয় ।

২. ব্যবসায় ঋণ (Trade Credit) : ব্যবসায় ঋণ এমন এক ধরনের ঋণ যা ধারে ক্রয়-বিক্রয়ের ফলে সৃষ্টি হয়। এ ধরনের ঋণের আওতায় পণ্য সামগ্রীর বিক্রেতা পণ্য বিক্রয়ের একটি নির্দিষ্ট সময় পর ক্রেতার কাছ হতে মূল্য গ্রহণ করে থাকে। ফলে ক্রেতার নিকট এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূল্য পরিশোধ না করার সুবিধা ঋণ হিসেবে বিবেচিত, যাকে ব্যবসায় ঋণ বলা হয়। অর্থাৎ, ব্যবসায় ঋণ এমন এক ধরনের ঋণকে বুঝায় যা একজন ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ফলে পণ্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে পেয়ে থাকে। বর্তমানে উন্নয়নশীল ব্যবসায় জগতে এরূপ ঋণের ব্যবহার ব্যবসায়ের অর্থসংস্থানকে খুবই সহজ করেছে ।

৩. বাণিজ্যিক ব্যাংক (Commercial Bank): বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবসায়ী বলা হয়। ব্যাংকগুলোর প্রধান কাজ হলো বিভিন্ন ব্যবসায়-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় স্বল্প মেয়াদি ঋণ দেয়া। সুতরাং যে কোনো ব্যবসায়ীর অর্থের প্রয়োজন হলেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ হতে স্বল্পমেয়াদে অর্থ সংগ্রহ করা যায়। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে ধার, নগদ ঋণ ও জমাতিরিক্ত ঋণ হিসেবে অর্থ দিয়ে থাকে ।

৪. আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু বান্ধব (Relatives & Friends): প্রত্যেক মানুষেরই এমন কিছু আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধব থাকে, যারা বিভিন্ন বিপদ-আপদ ও প্রয়োজনের সময় এগিয়ে আসে। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, ব্যবসায়ে অর্থায়নে নিজস্ব তহবিল হতে সংগৃহীত অর্থ অপর্যাপ্ত হলে নিকটতম আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের শরণাপন্ন হয় এবং তাদের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে অর্থ নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করা হয়। আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণের ইতিবাচক দিক হচ্ছে কোনো ধরনের জামানত এবং সুদ বা মুনাফা না দিয়েই খুবই সহজ শর্তে ও সহজ প্রক্রিয়ায় ঋণ গ্রহণ করা যায় ।

৫. দেশীয় ব্যাংকার (Indigenous Banks): প্রাচীনকাল হতেই ব্যবসায়ের অর্থসংস্থানে দেশীয় ব্যাংকার মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। দেশীয় ব্যাংকার বলতে অর্থ ব্যবসায়ে লিপ্ত বিভিন্ন ব্যক্তি বা মহাজন শ্রেণীকে বুঝায়। দেশীয় ব্যাংকার চড়া সুদে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ঋণ প্রদান করে। গ্রামাঞ্চলে দেশীয় ব্যাংকারদের উপস্থিতি অধিক লক্ষণীয়।

৬. ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি (Management Agent): ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি বলতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যারা চুক্তির আওতায় কোনো কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। এরূপ ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি ব্যবসায়ের স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের অন্যতম উৎস। ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত স্বচ্ছল থাকায় খুব সহজেই তারা অর্থের সংস্থান করতে সক্ষম হয়। তাছাড়া বাজারে যথেষ্ট সুনাম থাকায় সহজেই কোম্পানির শেয়ার ঋণপত্র বিক্রি করতে পারে এবং নিজেদের জিম্মায় ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

৭. সমবায় ব্যাংক ও সমবায় ঋণদান সমিতি (Co-operative Banks & Co-operative Credit Society): সমবায় ব্যাংকগুলো বিভিন্ন শিল্প, ব্যবসায় ও বাণিজ্যে ঋণ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে ছোটখাটো বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের চলতি মূলধনের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। অন্যদিকে সমবায় ঋণদান সমিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হলো সহজ শর্তে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ঋণ দান করা। অবশ্য এরূপ প্রতিষ্ঠান প্রধানত সদস্যদের ঋণদানের ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে ।

৮. অগ্রিম অর্থ (Advance Money): যেসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য সম্পর্কে বাজারে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তাদের স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। কেননা, তাদের পণ্য পাওয়ার জন্যে ক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা, পাইকার, দালাল বা ফড়িয়াগণ অনেক সময় পণ্য উৎপাদন বা সংগ্রহের আগেই অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করে থাকে। আবার, কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বিভিন্ন শিল্প মালিকদের কাছ থেকে কাঁচামালের অগ্রিম মূল্য পেয়ে থাকে ।

৯. সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান (Government and Semi - Govt. Organizations): সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মসূচি রয়েছে দেশের ব্যবসায় ও শিল্প খাতের উন্নয়নে । কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহদাকার ব্যবসায়ের চলতি মূলধনের চাহিদা নিরসনে স্বল্প মেয়াদি অর্থ সরবরাহ করে থাকে।

১০. ভূমি বন্ধকি ব্যাংক (Land Mortgage Banks): ভূমি বন্ধকি ব্যাংকের কাজ হলো ভূমি বা জমি বন্ধক রেখে ঋণ প্রদান করা। বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ তাদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সম্পত্তি বন্ধক রেখে ভূমি বন্ধকি ব্যাংক হতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করে থাকে ।

১১. শিল্প ব্যাংক (Industrial Bank): শিল্প ব্যাংক একটি বিশেষায়িত ব্যাংক। এরূপ ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো দেশের শিল্পখাতের উন্নয়নে ঋণ ও পরামর্শ প্রদান করা। শিল্প ব্যাংক মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পাশাপাশি শিল্পের চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণের জন্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ মঞ্জুর করে থাকে ।

১২. ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি (Micro Credit Program): আমাদের দেশের ব্যবসায় ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ করে স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা (NGO) যেমন–ব্রাক, আশা, প্রশিকা প্রভৃতি গ্রামীণ জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির আওতায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমেয়াদি অর্থের যোগান দিচ্ছে। বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচিও ব্যবসায়ের স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানে কার্যকর ভূমিকা রাখছে ।

১৩. বিল বাট্টাকরণ (Discounting Bills): ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাপ্য বিল বাট্টাকরণের মাধ্যমেও স্বল্পমেয়াদি অর্থের সংস্থান করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রাপ্য বিল কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে বিলের লিখিত মূল্যের (Face Value) চেয়ে কম অর্থের সংস্থান করতে পারে। জরুরি প্রয়োজনে এরূপ বিল বাট্টাকরণের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থান করা হয় ।

১৪. সম্পত্তি বিক্রয় (Sale of Assets): অনেক সময় ব্যবসায় কিছু কিছু সম্পত্তি থাকে যা ব্যবসায়ে কাজে লাগে না বা অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয়। এরূপ সম্পত্তি বিক্রয় করেও ব্যবসায়ের স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় ৷ 

পরিশেষে বলা যায় যে, সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানই স্বল্প মেয়াদি বিভিন্ন ধরনের অর্থসংস্থানের উপর নির্ভরশীল। স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের উৎস হচ্ছে প্রধানত উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যয়। কর্মীদের পারিশ্রমিক অফিস রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, প্রভৃতি খাতে ব্যয় করা হয়।

ব্যবসায় অর্থসংস্থানের দীর্ঘমেয়াদি উৎস (Sources of Long Term Business Finance):

দীর্ঘ কালীন সময়ের জন্য অর্থাৎ ৫ বা ১০ বছরের অধিক সময়ের জন্য ব্যবসায়ে যে অর্থসংস্থান করা হয় তাকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান বলে । বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের প্রয়োজন হয় ।

দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের উৎসসমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলো—

১. শেয়ার বিক্রয় (Sale of share): কোম্পানি জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রয় করে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান করতে পারে। সাধারণত: কোম্পানি বিলোপসাধনের আগে শেয়ারের অর্থ ফেরত দিতে হয় না । বিভিন্ন প্রকার শেয়ারের মাধ্যমে এ ধরনের অর্থসংস্থানের কাজ হয় ।

২. ঋণপত্র বিক্রয় (Sale of debenture): কোম্পানি জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রয় করার পাশাপাশি ঋণপত্র বিক্রয়ের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান করতে পারে ।
৩. সঞ্চিতি তহবিল (Reserve fund ): কোম্পানির মুনাফার যে অংশ বণ্টন না করে রেখে দেয়া হয় তাকে সঞ্চিতি তহবিল বলে। এই অবণ্টিত মুনাফা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চিতি তহবিল গঠন করা হয় যা ব্যবসায়ের দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের উৎস বলে বিবেচিত হয়। যেমন- সাধারণ সঞ্চিতি তহবিল, লভ্যাংশ সমতাকরণ তহবিল ।

৪. অবলেখক (Underwriter): যে সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নতুন কোম্পানির শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ের ঝুঁকি গ্রহণ করে তাদেরকে অবলেখক বলে। কোম্পানির শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় করা সম্ভব না হলে অবলেখকরাই চুক্তি অনুযায়ী অবশিষ্ট শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয় করে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে ।

৫. শেয়ার বাজার (Share market): যে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়মিত ও অনুমোদিত ভাবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়-বিক্রয় করা হয় তাকে শেয়ার বাজার বলা হয়। শেয়ার বাজারে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান করা যায়।

৬. শিল্পব্যাংক (Industrial bank): শিল্পব্যাংক ও শিল্প ঋণ সংস্থা বৃহদায়তন শিল্প স্থাপন ও উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের কাজ করে থাকে ।

৭. বন্ধকি ব্যাংক (Mortage bank): সাধারণত: বাণিজ্যিক ব্যাংক উপযুক্ত জামানত পেলে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের জন্য ঋণ সরবরাহ করে থাকে। অনেক সময় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে ।

৮. বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান (Investment organisation): বিভিন্ন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংক, বীমা, লিজিং ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করে ।
৯. বীমা প্রতিষ্ঠান (Insurance company): ব্যবসায়ের অনিশ্চয়তা দূর করে ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে বীমা প্রতিষ্ঠান । এরা এদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যবসায়ের দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান করে থাকে ।

পরিশেষে বলা যায় যে, যেকোনো ব্যবসায় পরিচালনার জন্য প্রচুর পরিমাণ মূলধন বা তহবিলের প্রয়োজন হয়। এ প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদিও হয়। উপরিউক্ত উৎসগুলোর মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থান করা যায় ।

Content added By
Promotion