অংশীদারি ব্যবসায় একটি প্রাচীন ধরনের সংগঠন। শুরুতে একক মালিকানার ভিত্তিতে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও এক পর্যায়ে এসে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক প্রয়োজনেই একাধিক ব্যক্তি সামর্থ্যের সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়ে। জন্ম নেয় অংশীদারি ব্যবসায় সংগঠনের। সহজ অর্থে একের অধিক ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে অংশীদারিত্ব বা শরিকানার ভিত্তিতে যে ব্যবসায় গঠন করে তাকে অংশদিারি ব্যবসায় বলে। ব্যাপক অর্থে কমপক্ষে দুজন এবং সর্বোচ্চ বিশজন (ব্যাংকিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশজন) ব্যক্তি মুনাফা অজন ও তা নিজেদের মধ্যে বণ্টনের নিমিত্তে চুক্তিবদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় যে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়ে থাকে । ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৪নং ধারায় বলা হয়েছে-“সকলের দ্বারা অথবা সকলের পক্ষে যেকোনো একজনের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়ের মুনাফা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করার উদ্দেশ্যে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে যে সম্পর্কের সৃষ্টি হয়, তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে।”