Academy

সৃজনশীল প্রশ্ন ১. রাফিন ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তার আব্বা সুঠাম দেহের অধিকারী। রাফিন লক্ষ করছে, তার আব্বার দেহে ক্ষত সৃষ্টি হলে শুকাতে দেরি হচ্ছে, চামড়া শুকিয়ে যাচ্ছে, সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এসব কারণে রাকিনের বাব্বা ডাক্তার শরণাপন্ন হন। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়মশৃঙ্খলা মেনেচলার উপদেশ দিলেন।

সিস্টোলিক রক্তচাপ বলতে কী বোঝায়?

Created: 1 year ago | Updated: 1 week ago
Updated: 1 week ago

সিস্টোলিক রক্তচাপ হল হৃদযন্ত্র সংকোচনের (সিস্টোল) সময় ধমনীগুলিতে সৃষ্ট সর্বোচ্চ চাপ। যখন হৃদপিণ্ড সংকুচিত হয়ে রক্তকে ধমনীগুলির মধ্য দিয়ে পাম্প করে, তখন ধমনীর দেয়ালে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়। রক্তচাপ পরিমাপের সময় এটি উপরের সংখ্যা হিসাবে প্রকাশিত হয় (যেমন, 120/80 mmHg হলে 120 হলো সিস্টোলিক রক্তচাপ)। এটি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ।

1 week ago

হৃদযন্ত্রের যত কথা

মানুষ ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণির প্রাণীদের দেহে যেসব তন্ত্র আছে, তার মধ্যে রক্ত সংবহনতন্ত্র উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই তন্ত্রের মাধ্যমে দেহের যাবতীয় বিপাকীয় কাজের রসদ সারা শরীরে পরিবাহিত হয়। রন্তু সংবহনতন্ত্র গঠিত হয়েছে রুন্তু, হৃৎপিণ্ড ও রক্তবাহিকা নিয়ে। হৃৎপিণ্ড হচ্ছে হৃৎপেশি দিয়ে তৈরি ত্রিকোণাকার ফাঁপা প্রকোষ্ঠযুক্ত পাম্পের মতো একটি অঙ্গ। এর সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে সারা দেহে রক্ত সরবরাহিত হয়। আকার, আকৃতি ও কাজের ভিত্তিতে রক্তবাহিকা তিন রকম— ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা। রক্তকে রক্তবাহিকার ভেতর দিয়ে সঞ্চালনের জন্য হৃৎপিণ্ড মানব ও অন্য সকল প্রাণীদেহে পাষ্পের মতো কাজ করে। ধমনি দিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বাহিত হয়। সাধারণত কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে শিরার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে। ধমনি ও শিরার সংযোগস্থল জালিকাকারে বিন্যস্ত হয়ে কৈশিক জালিকা গঠন করে। আমরা এ অধ্যায়ে সন্তু এবং রক্ত সঞ্চালনের যাবতীয় বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারব।

 

এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা :

  • রক্তের উপাদান এবং এদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তের গ্রুপের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তের স্থানান্তরের নীতি ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তে বিঘ্নতা/বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ এবং এর ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • শরীরে রক্ত সঞ্চালন কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • আদর্শ রক্তচাপ, হার্টবিট, হার্টরেট এবং পালসরেটের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারব।
  • রপ্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • শরীরে রক্ত সঞ্চালনে কোলেস্টেরলের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে পারব।
  • কোলেস্টেরলকে প্রত্যাশিত সীমায় রাখার প্রয়োজনীয়তা ও উপায় ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রয়ে সুগারের ভারসাম্যতার কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয় ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার উপায় বর্ণনা করতে পারব।

 

Promotion