বাংলাদেশের গণপরিষদ (Constituent Assembly) এবং সংবিধান স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবিধানিক কাঠামো নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের গণপরিষদ এবং সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। স্বাধীনতার পর দেশ পরিচালনার জন্য একটি সাংবিধানিক কাঠামো প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। এ লক্ষ্যে, ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ গণপরিষদ গঠন করা হয়। এই গণপরিষদ মূলত পূর্বের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল, যারা ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত হন।
গণপরিষদের প্রধান কাজ ছিল বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা। গণপরিষদে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংবিধান রচনা প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান অনুমোদিত হয় এবং এটি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এই সংবিধানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মূলনীতিসমূহের উল্লেখ করা হয়, যা হলো:
বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত সংবিধান, যার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
বাংলাদেশের গণপরিষদ ও সংবিধান দেশের স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে নতুন রাষ্ট্রের আইনি ভিত্তি স্থাপন করে, যা আজও দেশের শাসনব্যবস্থা এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
জনগনের পক্ষ থেকে সংবিধান রচনার গুরুদ্বায়িত্ব যে সাংবিধানিক কমিটির মাধ্যমে সম্পাদিত হয় তাকে গণপরিষদ বলে। এই গণপরিষদ ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত অস্থায়ী সংসদ হিসাবে কার্যকর ছিল। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর এবং ১৭ জানুয়ারি যথাক্রমে পাকিস্তান জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে নির্বাচিত ৪৬৯ জন সদস্যের মধ্যে ৪০৩ জন গণপরিষদ সদস্য তালিকায় স্থান পান।
সাল/ব্যক্তি | বিবরণ |
---|---|
১১ জানুয়ারি, ১৯৭২ | অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন বঙ্গবন্ধু । |
২৩ মার্চ, ১৯৭২ | গণপরিষদের আদেশ জারি করা হয়। |
রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী | গণপরিষদের আদেশ জারি করেন। |
১০ এপ্রিল, ১৯৭২ | গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। |
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ | প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। |
শাহ আব্দুল হামিদ | প্রথম অধিবেশনে স্পিকার ছিলেন। |
মোহাম্মদ উল্লাহ | প্রথম অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। |
১১ এপ্রিল, ১৯৭২ | সংবিধান রচনা কমিটি গঠন করা হয়। |
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২ | সংবিধান প্রণয়ন কমিটি প্রথম অধিবেশন সম্পন্ন করে। |
১২ অক্টোবর, ১৯৭২ | সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে উত্থাপন করা হয়। |
৪ নভেম্বর, ১৯৭২ | খসড়া সংবিধান গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়। সংবিধান দিবস ৪ নভেম্বর পালিত হয় । বাংলা ১৮ই কার্তিক, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ। |
১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২ | গণপরিষদের সদস্যগণ খসড়া সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। প্রথম স্বাক্ষর করেন শেখ মজিবুর রহমান। |
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ | সংবিধান কার্যকর ও গণপরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। |
সংবিধান প্রণয়ন কমিটি
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের সংবিধান রচনা কমিটির গঠন করা হয়। এই কমিটি ১৭ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে প্রথম অধিবেশন সম্পন্ন করে। কমিটিতে একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন রাজিয়া আক্তার বানু। একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
প্রথম ভাগ-প্রজাতন্ত্র
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
১ | প্রজাতন্ত্র |
২ | প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা |
২ক | রাষ্ট্রধর্ম |
৩ | রাষ্ট্রভাষা |
৪ | জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রতীক |
৪ক | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপন |
৫ | রাজধানী |
৬ | নাগরিকত্ব |
৭ | সংবিধানের প্রাধান্য |
৭ক | সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ |
৭খ | সংবিধানের মৌলিক বিষয়াবলী সংশোধন অযোগ্য। |
দ্বিতীয় ভাগ - রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
৮ | মূলনীতিসমূহ |
৯ | জাতীয়তাবাদ |
১০ | সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি |
১১ | গণতন্ত্র ও মানবাধিকার |
১২ | ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা |
১৩ | মালিকানার নীতি |
১৪ | কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি |
১৫ | মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা |
১৬ | গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব |
১৭ | অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা |
১৮ | অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা |
১৮ক | পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন |
১৯ | সুযোগের সমতা |
২০ | অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম |
২১ | নাগরিক ও সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য |
২২ | নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ |
২৩ | জাতীয় সংস্কৃতি |
২৩ক | উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি |
২৪ | জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন প্রভৃতি |
২৫ | আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন। |
তৃতীয় ভাগ- মৌলিক অধিকার
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
২৬ | মৌলিক অধিকারের অসামঞ্জস্য আইন বাতিল |
২৭ | আইনের দৃষ্টিতে সমতা |
২৮ | ধর্ম প্রভৃতি কারণে বৈষম্য |
২৯ | সরকারি নিয়োগলাভে সুযোগের সমতা |
৩০ | বিদেশি খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ |
৩১ | আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার |
৩২ | জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ |
৩৩ | গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ |
৩৪ | জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ |
৩৫ | বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষাকবচ |
৩৬ | চলাফেরার স্বাধীনতা |
৩৭ | সমাবেশের স্বাধীনতা |
৩৮ | সংগঠনের স্বাধীনতা |
৩৯ | চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্ স্বাধীনতা |
৪০ | পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা |
৪১ | ধর্মীয় স্বাধীনতা |
৪২ | সম্পত্তির অধিকার |
৪৩ | গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ |
৪৪ | মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ |
৪৫ | শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন |
৪৬ | দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা |
৪৭ | কতিপয় আইনের হেফাজত |
৪৭ক | সংবিধানের কিছু বিধান যেসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। |
চতুর্থ ভাগ - নির্বাহী বিভাগ
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
৪৮ | রাষ্ট্রপতি |
৪৯ | রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার |
৫০ | রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ |
৫১ | রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি |
৫২ | রাষ্ট্রপতির অভিশংসন |
৫৩ | অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ |
৫৪ | অনুপস্থিতি প্রভৃতির কালে রাষ্ট্রপতি-পদে স্পিকার |
৫৫ | মন্ত্রিসভা |
৫৬ | মন্ত্রিগণ |
৫৭ | প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ |
৫৮ | মন্ত্রীর পদের মেয়াদ |
৫৯ | স্থানীয় শাসন |
৬০ | স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা |
৬১ | সর্বাধিনায়ক |
৬২ | প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভৃতি |
৬৩ | যুদ্ধ |
৬৪ | অ্যাটর্নি জেনারেল |
পঞ্চম ভাগ- আইনসভা
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
৬৫ | সংসদ-প্রতিষ্ঠা |
৬৬ | সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা |
৬৭ | সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া |
৬৮ | সংসদ সদস্যদের পারিশ্রমিক |
৬৯ | শপথগ্রহণের পূর্বে আসনগ্রহণ বা ভোটদান করিলে সদস্যের অর্থদণ্ড |
৭০ | রাজনৈতিক দল হতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া |
৭১ | দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা |
৭২ | সংসদের অধিবেশন |
৭৩ | সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী |
৭৩ক | সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রিগণের অধিকার |
৭৪ | স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার |
৭৫ | কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি |
৭৬ | সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ |
৭৭ | ন্যায়পাল |
৭৮ | সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি |
৭৯ | সংসদ সচিবালয় (Secretariat of Parliament) |
৮০ | আইনপ্রণয়ন-পদ্ধতি |
৮১ | অর্থবিল |
৮২ | আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ |
৮৩ | সংসদের আইন ব্যতীত কর আরোপ নিষিদ্ধ |
৮৪ | সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাব |
৮৫ | সরকারি অর্থের নিয়ন্ত্রণ |
৮৬ | প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসেবে প্রদেয় অর্থ |
৮৭ | বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি |
৮৮ | সংযুক্ত তহবিলের উপর দায় |
৮৯ | বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি |
৯০ | নির্দিষ্টকরণ হিসাব |
৯১ | সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরী |
৯২ | হিসাব , ঋণ প্রভৃতির উপর ভোট |
৯৩ | অধ্যাদেশ প্রণয়ন-ক্ষমতা |
ষষ্ঠ ভাগ- বিচার বিভাগ
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
৯৪ | সুপ্রীম কোর্টের প্রতিষ্ঠা |
৯৫ | বিচারক নিয়োগ |
৯৬ | বিচারকদের পদের মেয়াদ |
৯৬(৩) | সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিল |
৯৬(৪) | সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের দায়িত্ব ও ক্ষমতা |
৯৭ | স্থায়ী প্রধান বিচারপতি |
৯৮ | সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারক |
৯৯ | অবসর গ্রহণের পর বিচারকগণের অক্ষমতা |
১০০ | সুপ্রীম কোর্টের আসন |
১০১ | হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার |
১০২ | হাইকোর্ট এর ক্ষমতা |
১০৩ | আপীল বিভাগের ক্ষমতা |
১০৪ | আপীল বিভাগের পরোয়ানা জারী ও প্রয়োগ |
১০৫ | আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা |
১০৬ | সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার |
১০৭ | সুপ্রিম কোর্টের বিধিপ্ৰণয়ন-ক্ষমতা |
১০৮ | “কোর্ট অব রেকর্ড" রূপে সুপ্রীম কোর্ট |
১০৯ | আদালতসমূহের উপর তত্ত্বাবধায়ন ও নিয়ন্ত্রণ |
১১০ | অধস্তন আদালত হইতে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর |
১১১ | সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক |
১১২ | সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা |
১১৩ | সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীগণ |
১১৪ | অধস্তন বা নিম্ন আদালতসমূহ প্রতিষ্ঠা |
১১৫ | অধস্তন আদালতে নিয়োগ |
১১৬ | অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা |
১১৬ক | বিচারবিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা |
১১৭ | প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালসমূহ |
সপ্তম ভাগ - নির্বাচন
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
১১৮ | নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা |
১১৯ | নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব |
১২০ | নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীগণ |
১২১ | প্রতি এলাকার জন্য একটিমাত্র ভোটার তালিকা |
১২২ | ভোটার হওয়ার যোগ্যতা |
১২৩ | নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময় |
১২৪ | নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা |
১২৫ | নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা |
১২৬ | নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তা |
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
১২৭ | মহা হিসাব-নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা |
১২৮ | মহা হিসাব-নিরীক্ষকের দায়িত্ব |
১২৯ | মহা হিসাব-নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ |
১৩০ | অস্থায়ী মহা হিসাব-নিরীক্ষক |
১৩১ | প্রজাতন্ত্রের হিসাব রক্ষার আকার ও পদ্ধতি |
১৩২ | সংসদে মহা হিসাব-নিরীক্ষকের রিপোর্ট উপস্থাপন |
নবম ভাগ - বাংলাদেশের কর্ম বিভাগ
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
১৩৩ | নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলী |
১৩৪ | কর্মের মেয়াদ |
১৩৫ | অসামরিক সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত প্রভৃতি |
১৩৬ | কর্মবিভাগ-পুনর্গঠন |
১৩৭ | কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠা |
১৩৮ | সদস্য নিয়োগ |
১৩৯ | পদের মেয়াদ |
১৪০ | কমিশনের দায়িত্ব |
১৪১ | বার্ষিক রিপোর্ট |
নবম ভাগ- জরুরী বিধানাবলী
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
১৪১(ক) | জরুরী অবস্থা ঘোষণা |
১৪১(খ) | জরুরী অবস্থার সময় কতিপয় অনুচ্ছেদের বিধান স্থগিতকরণ |
১৪১(গ) | জরুরি অবস্থায় মৌলিক অধিকার স্থগিতকরণ |
দশম ভাগ-সংবিধান সংশোধন
১৪২ | সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা |
একাদশ ভাগ- বিবিধ
অনুচ্ছেদ | বিষয় |
---|---|
১৪৩ | প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি |
১৪৪ | সম্পত্তি ও কারবার প্রভৃতি-প্রসঙ্গে নির্বাহী কর্তৃত্ব |
১৪৫ | চুক্তি ও দলিল |
১৪৫(ক) | আন্তর্জাতিক চুক্তি |
১৪৬ | বাংলাদেশের নামে মামলা |
১৪৭ | কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভৃতি |
১৪৮ | পদের শপথ |
১৪৯ | প্রচলিত আইনের হেফাজত |
১৫০ | ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী |
১৫১ | রহিতকরণ |
১৫২ | সংবিধানে ব্যবহৃত কয়েকটি শব্দের ব্যাখ্যা |
তফসিল শব্দের বাংলা অর্থ বিবরণ। কোনো বিষয়ে আলোচনার পর সে আলোচনাকে বোধগম্য করার জন্য অতিরিক্ত বিবরণের প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত আলোচনাকে তফসিল বলে। বাংলাদেশের সংবিধানে তফসিল ৭টি।
তফসিল
প্রথম তফসিল - অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন
দ্বিতীয় তফসিল - রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বর্তমানে বিলুপ্ত)
তৃতীয় তফসিল - শপথ ও ঘোষণা
চতুর্থ তফসিল - ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানবলী
পঞ্চম তফসিল - ১৯৭১ সালের ৭-ই মার্চের ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ।
ষষ্ঠ তফসিল - ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা।
সপ্তম তফসিল - ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
সংশোধনী | বিষয় |
---|---|
প্রথম সংশোধনী- ১৯৭৩ | যুদ্ধবন্দী এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করণ। |
দ্বিতীয় সংশোধনী- ১৯৭৩ | অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক গোলযোগে জরুরী অবস্থা ঘোষণার বিধান। |
তৃতীয় সংশোধনী— ১৯৭৪ | সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে বেরুবাড়ী হস্তান্তর। |
চতুর্থ সংশোধনী- ১৯৭৫ |
|
পঞ্চম সংশোধনী- ১৯৭৯ | ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক সরকারের সকল কাজের বৈধতা দান প্রসঙ্গে । |
ষষ্ঠ সংশোধনী- ১৯৮১ | উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিত করণ। |
সপ্তম সংশোধনী- ১৯৮৬ | ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত সামরিক সরকারের সকল আদেশের বৈধতা অনুমোদন প্রসঙ্গে । |
অষ্টম সংশোধনী- ১৯৮৮ |
|
নবম সংশোধনী- ১৯৮৯ |
|
দশম সংশোধনী- ১৯৯০ | সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০ টি আসনের মেয়াদ আরো ১০ বছরের জন্য বৃদ্ধিকরণ । |
একাদশ সংশোধনী- ১৯৯১ | অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ এর স্বপদে ফিরে যাওয়ার বিধান সম্বলিত। |
দ্বাদশ সংশোধনী- ১৯৯১ | রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় সরকার পুনঃপ্রবর্তন। |
ত্রয়োদশ সংশোধনী- ১৯৯৬ | অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালুকরণ। |
চতুর্দশ সংশোধনী ২০০৪ | সংসদে নারীদের জন্য ৪৫ টি সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি। প্রধান বিচারপতির অবসর বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছরে উন্নিত। |
পঞ্চদশ সংশোধনী- ২০১১ |
|
ষোড়শ সংশোধনী- ২০১৪ |
নোট: ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। |
সপ্তদশ সংশোধনী-২০১৮ | জাতীয় সংসদের ৫০টি নারী সংরক্ষিত আসন আরো ২৫ বছরের জন্য বহাল রাখা প্রসঙ্গে। |
সাংবিধানিক পদ
সাংবিধানিক সংস্থা
সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগপত্র পেশ
রাষ্ট্রপতি | স্পিকারের নিকট |
স্পিকার | রাষ্ট্রপতির নিকট |
সংসদ সদস্য | রাষ্ট্রপতি স্পিকার |
প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীবৃন্দ | স্পিকারে নিকট |
কে কাকে শপথ পাঠ করান