স্বভাব ও বাসস্থান । এরা পৃথিবীর সকল পরিবেশে বাস করে। এদের বহু প্রজাতি ভাতলার বাস করে। জলচ কর্ডাটাদের মধ্যে বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে অথবা সমুদ্রে বাস করে। বহু প্রজাতি বৃক্ষবাসী, মরুবাসী, মেরুবাসী, গুহাবাসী ও খেচর। কর্ডাটা পর্বের বহু প্রাণী বহিঃপরজীবী হিসেবে অন্য প্রাণীর দেহে সংলগ্ন হয়ে জীবনযাপন করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• এই পর্বের প্রাণীর সারা জীবন অথবা স্তূপ অবস্থায় পৃষ্ঠীয়দেশ বরাবর নটোকর্ড অবস্থান করে। নটোকর্ড হলো একটি নরম, নমনীয়, দণ্ডাকার, দৃঢ় ও অখণ্ডায়িত অঙ্গ।
• পৃষ্ঠদেশে একক, ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে।
• সারা জীবন অথবা জীবন চক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফুলকা ছিদ্র থাকে।
উদাহরণ : মানুষ কুনোব্যাঙ্ক, রুই মাছ
কর্ডাটা পর্বকে তিনটি উপপর্বে ভাগ করা যায়। যথা-
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• প্রাথমিক অবস্থায় ফুলকারন্দ্র, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে।
• শুধুমাত্র লার্ভা দশায় এদের লেজে নটোকর্ড থাকে।
উদাহরণ : Ascidia
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• সারাজীবনই এদের দেহে নটোকর্ডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
• দেখতে মাছের মতো।
উদাহরণ : Branchiostoma
এই উপ-পর্বের প্রাণীরাই মেরুদণ্ডী প্রাণী হিসেবে পরিচিত। গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মেরুদন্ডী প্রাণীদের ৭টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
এই উপ-পর্বের প্রাণীরাই মেরুদণ্ডী প্রাণী হিসেবে পরিচিত। গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মেরুদন্ডী প্রাণীদের ৭টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• ঘাটে দেহ।
• মুখছিদ্র গোলাকার এবং চোয়াগবিহীন।
• এদের দেহে পাইল বা যুগ্ম পাখনা অনুপস্থিত।
• ফুলকাছিদ্রের সাহায্যে শ্বাস নেয়।
উদাহরন : হাঙ্গর, করাত মাছ, হাতুড়ি মাছ
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• এ পর্বের সকল প্রাণী সমুদ্রে বাস করে।
• ককাল তরুণাস্থিময়।
• দেহ প্ল্যাকয়েড আঁইশ দ্বারা আবৃত, মাথার দুই পাশে ৫-৭ ছোড়া ফুলকাচ্ছিদ্র থাকে।
• কানকো থাকে না।
উদাহরণ : হাঙ্গর, করাত মাছ, হাতুড়ি মাছ
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• অধিকাংশই স্বাদু পানির মাছ।
• সেই সাইক্রোয়েড, গ্যানয়েড বা টিনয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত।
• মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফুলকা থাকে। ফুলকাগুলো কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে। ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় ।
উদাহরণ: ইলিশ মাছ, সি-হর্স
কাজ : লইট্যা, রুচাঁদা, পোয়া, কোৱাশ, কৈ, শিং ও মাদুর মাছ সংগ্রহ করো। এগুলো কোন শ্রেণিভূক্ত মাছ? এদের| বৈশিষ্ট্যগুলো শনাক্ত করো। |
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে থাকে এবং মাছের মতো বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালার, পরিণত বয়সে ডালার বাস করে তারাই উভচর।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহত্বক আঁইশবিহীন।
• ত্বক নরম, পাতলা, ভেজা ও গ্রন্থিযুক্ত।
• শীতল রক্তের প্রাণী।
• পানিতে ডিম পাড়ে। জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায়।
উদাহরণ: সোনাব্যাঙ, কুনোব্যাঙ
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• বুকে ভর করে চলে।
• ত্বক শুষ্ক ও আঁইশযুক্ত।
• চার পায়েই পাঁচটি করে নখরযুক্ত পাপ আছে।
উদাহরণ : টিকটিকি, কুমির, সাপ
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ পালকে আবৃত
• দুটি ডানা, দুটি পা ও একটি চক্ষু আছে।
• ফুসফুলের সাথে বায়ুথলি থাকায় সহজে উড়তে পারে।
• উষ্ণ রক্তের প্রাণী।
• হাড় সক্ত, হাল্কা ও ফাঁপা।
উদাহরণ: কাক, দোয়েল, হাঁস
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
• দেহ লোমে আবৃত।
• স্তন্যপায়ী প্রাণীরা সন্তান প্রসব করে। তবে এর ব্যতিক্রম আছে, যেমন- প্লাটিপাস।
• উষ্ণ রক্তের প্রাণী।
• চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে।
• শিশুরা মাতৃদুগ্ধ পান করে বড় হয়।
• কৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
উদাহরণ : মানুষ, উট, বাঘ
কাজ : তোমরা পাঁচজনের একটি করে দল গঠন করো। এবার মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের চার্ট দেখে এদের বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করো ও লিপিবদ্ধ করো। এবার তোমরা শ্রেণিতে উপস্থাপন করো। সকল দলের লেখা বৈশিষ্ট্যের সাথে তোমাদের লেখা বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে নাও। |
আরও দেখুন...