or
or
স্টার্চ।
α গ্লাইকোসাইড বন্দধনীর মাধ্যমে গঠিত হয় মনোস্যাকারাইড। মনোস্যাকারাইড হল একটি সরল কার্বোহাইড্রেট যা আরও ছোট কার্বোহাইড্রেটে বিভক্ত করা যায় না।
স্টার্চ হল একটি পলিমার যা মনোস্যাকারাইডের একটি দীর্ঘ চেইন দ্বারা গঠিত। স্টার্চের মনোস্যাকারাইড হল গ্লুকোজ।
গ্লুকোজ অণুর দুটি কার্বন পরমাণুর মধ্যে α গ্লাইকোসাইড বন্দধন গঠিত হয়। এই বন্দধনীর মাধ্যমে, দুটি গ্লুকোজের অণু একসাথে যুক্ত হয়ে একটি ডিস্যাকারাইড গঠন করে।
ডিস্যাকারাইডের দুটি গ্লুকোজের অণু আরও একসাথে যুক্ত হয়ে একটি মাল্টিস্যাকারাইড গঠন করে। স্টার্চ হল একটি মাল্টিস্যাকারাইড।
পলি পেপটাইড এবং সেলুলোজ উভয়ই প্রোটিন এবং পলিমার। পলি পেপটাইডগুলি অ্যামিনো অ্যাসিডের চেইন দ্বারা গঠিত, এবং সেলুলোজগুলি গ্লুকোজ মনোমার দ্বারা গঠিত।
পলি পেপটাইড এবং সেলুলোজ উভয়ই β গ্লাইকোসাইড বন্দধনীর মাধ্যমে গঠিত হয়।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হল স্টার্চ।
গ্লাইকোসাইড বন্ধন কী? এর প্রকারভেদ ও উদাহরণ দাও।
দুটি মনোস্যাকারাইড অনুর মধ্যে ঘনীভবন বিক্রিয়া ঘটলে দুটি –OH মুলক থেকে এক অনু পানি অপসারিত হয়ে একটি ডাইস্যাকারাইড উৎপন্ন করে। এই ডাই স্যাকারাইড গঠনের সময় দুটি মনোস্যাকারাইডের মধ্যে যে কার্বন-অক্সিজেন-কার্বন (C-O-C) বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে গ্লাইকোসাইড বন্ধন বলে।
ইহা দুই প্রকার : ১। আলফা গ্লাইকোসাইড বন্ধন : alfa-D গ্লুকোজে ঘটে থাকে এবং স্টার্চ গঠন করে।
২। বেটা () গ্লাইকোসাইড বন্ধন : beta-D গ্লুকোজে ঘটে থাকে এবং সেলুলোজ গঠন করে।
