প্রাথমিক তথ্যের বৈশিষ্ট্য হলো-

i. সময় কম লাগে 

ii. জনবল বেশি লাগে

iii. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের দরকার হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

Created: 3 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

তথ্য সংগ্রহ, সংক্ষিপ্তকরণ ও উপস্থাপন

তথ্য সংগ্রহ, সংক্ষিপ্তকরণ এবং উপস্থাপন হলো গবেষণা বা বিশ্লেষণের মৌলিক ধাপ যা ডেটাকে সুসংগঠিত ও বোধগম্য করতে সহায়ক। এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা করলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়।


১. তথ্য সংগ্রহ (Data Collection)

তথ্য সংগ্রহ হলো সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ, কারণ সঠিক সিদ্ধান্ত বা বিশ্লেষণ করার জন্য সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য প্রয়োজন।

তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিসমূহ:

  • সাক্ষাৎকার পদ্ধতি (Interview Method): সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  • প্রশ্নাবলী পদ্ধতি (Questionnaire Method): লিখিত প্রশ্নমালার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  • পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি (Observation Method): সরাসরি কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  • দস্তাবেজ পদ্ধতি (Documentary Method): পূর্বে সংগৃহীত তথ্য বা নথি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

সুবিধা:

  • সঠিক তথ্য পাওয়া যায় যা পরবর্তী বিশ্লেষণের ভিত্তি গড়ে তোলে।
  • বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়, যা বিশ্বস্ত এবং বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।

অসুবিধা:

  • সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হতে পারে।
  • তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিতে পক্ষপাতিত্ব বা ভুল তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. তথ্য সংক্ষিপ্তকরণ (Data Reduction)

তথ্য সংগ্রহের পর, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রাপ্ত তথ্য বিশাল বা জটিল হতে পারে, যা বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তাই তথ্যকে সংক্ষেপিত বা পরিসংখ্যানিকভাবে উপস্থাপন করা হয়।

তথ্য সংক্ষিপ্তকরণের পদ্ধতিসমূহ:

  • গড় (Mean): এটি ডেটার গড় মান বা কেন্দ্রীয় মান বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • মাধ্যমিক মান (Median): একটি নির্দিষ্ট ডেটাসেটের মধ্যে মধ্যম মান নির্ধারণ করা হয়।
  • প্রতিধ্বনি বা মোড (Mode): এটি সেই মান নির্দেশ করে, যা ডেটাসেটে সবচেয়ে বেশি সময় উপস্থিত থাকে।
  • পরিসীমা (Range): ডেটার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মানের পার্থক্য।
  • স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন (Standard Deviation): ডেটার ছড়িয়ে পড়ার পরিমাণ বা বৈচিত্র্য পরিমাপ করে।

সুবিধা:

  • বিশাল ডেটাসেটকে সহজে পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণযোগ্য করা যায়।
  • সংক্ষিপ্তকৃত ডেটা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হয়।

অসুবিধা:

  • অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে যেতে পারে।
  • বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ডেটা হারানোর ঝুঁকি থাকে।

৩. তথ্য উপস্থাপন (Data Presentation)

তথ্য উপস্থাপন হলো তথ্যগুলোকে এমনভাবে সাজানো, যাতে তা সহজে বোঝা যায় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হয়। এটি গ্রাফ, চার্ট, টেবিল বা চিত্রের মাধ্যমে করা হয়।

তথ্য উপস্থাপনের পদ্ধতিসমূহ:

  • টেবিল (Table): তথ্যের একটি সুশৃঙ্খল উপস্থাপন। এখানে ডেটার শ্রেণি, সারণী এবং অন্যান্য বিবরণ প্রদর্শিত হয়।
  • গ্রাফ (Graph): বিভিন্ন ধরনের গ্রাফ যেমন রেখাচিত্র (Line Graph), বার চার্ট (Bar Chart), পাই চার্ট (Pie Chart) ব্যবহার করে তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
  • চিত্র (Diagram): তথ্যের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা, যেখানে চিত্রের মাধ্যমে ধারণা বা সম্পর্ক প্রদর্শিত হয়।
  • বক্স প্লট (Box Plot): পরিসংখ্যানের বিভিন্ন মানের বিশ্লেষণ এবং ছড়িয়ে পড়া দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

সুবিধা:

  • তথ্যের বিশ্লেষণ সহজ এবং দ্রুত করা যায়।
  • পাঠকদের জন্য তথ্য বোঝা সহজ হয় এবং তুলনা করা যায়।
  • গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা দর্শকদের আগ্রহ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।

অসুবিধা:

  • তথ্য উপস্থাপনার সময় বিভ্রান্তিকর চিত্র বা গ্রাফ হতে পারে যদি সেগুলি সঠিকভাবে তৈরি না হয়।
  • বড় বা জটিল ডেটাসেটে উপস্থাপন আরও কঠিন হতে পারে।
Content added By
Promotion