Blockchain হলো একটি ডিস্ট্রিবিউটেড এবং বিকেন্দ্রীভূত ডেটাবেজ বা লেজার, যা তথ্য সংরক্ষণ, যাচাই, এবং শেয়ার করার একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি প্রদান করে। এটি একাধিক ব্লকের একটি ক্রমশৃঙ্খলা যা ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। প্রতিটি ব্লকে একাধিক ট্রানজ্যাকশনের তথ্য থাকে, এবং একবার কোনো ব্লক চেইনে যুক্ত হলে তা পরিবর্তন করা বা মুছে ফেলা প্রায় অসম্ভব।
Blockchain-এর কাজের প্রক্রিয়া অনেক ধাপে বিভক্ত, যা প্রতিটি ট্রানজ্যাকশন সুরক্ষিত ও স্বচ্ছভাবে সংরক্ষণ করতে এবং যাচাই করতে সাহায্য করে। নিচে Blockchain-এর কাজের ধরণ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
Blockchain একটি ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম, যেখানে একাধিক নোড বা পিয়ার একই কপি শেয়ার করে। প্রতিটি নোড একটি কম্পিউটার বা সার্ভার হিসেবে কাজ করে যা ব্লকচেইনের অংশ। ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার প্রযুক্তি নিশ্চিত করে যে প্রতিটি নোড একই ডেটা কপি রাখছে এবং কোনো পরিবর্তন হলে তা নোডগুলোর মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজড হয়।
Blockchain-এর প্রতিটি ইউনিটকে ব্লক বলা হয়, এবং প্রতিটি ব্লকে একাধিক ট্রানজ্যাকশন বা ডেটার এন্ট্রি থাকে। একটি ব্লকে সাধারণত নিচের তথ্য থাকে:
Blockchain সিস্টেমে যখন নতুন কোনো ট্রানজ্যাকশন ঘটে, তখন সেটি একটি নতুন ব্লকে অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু এই ব্লকটি Blockchain-এ যোগ করার আগে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই এবং নিশ্চিত করা হয়।
মাইনিং এবং কনসেনসাস প্রোটোকল:
কনসেনসাস মেকানিজম: Blockchain-এ সকল নোডের সম্মতির মাধ্যমে একটি ব্লক বৈধ হিসেবে গণ্য হয়। এই সম্মতির প্রক্রিয়াকে কনসেনসাস মেকানিজম বলা হয়। এটি নিশ্চিত করে যে ব্লকচেইনে কোনো পরিবর্তন বা মিথ্যা তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
Blockchain-এর প্রতিটি ব্লক একবার চেইনে যোগ হলে তা পরিবর্তন করা বা মুছে ফেলা সম্ভব নয়। কারণ প্রতিটি ব্লক আগের ব্লকের হ্যাশের ওপর নির্ভর করে এবং চেইনে কোনো একটি ব্লক পরিবর্তন করলে পরবর্তী সমস্ত ব্লকের হ্যাশ পরিবর্তিত হবে। এই স্থায়ী প্রকৃতি নিশ্চিত করে যে তথ্য সুরক্ষিত এবং অপরিবর্তনীয় থাকে।
Blockchain একটি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে, যেখানে প্রতিটি নোড সমান ভূমিকা পালন করে। ব্লকচেইনে কোনো সেন্ট্রাল অথরিটি নেই; বরং, সমস্ত নোড একসাথে মিলে ব্লক তৈরি, যাচাই, এবং তথ্য সংরক্ষণ করে।
Ethereum এবং অন্যান্য উন্নত ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ব্যবহার করা হয়। এটি হলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হওয়া চুক্তি, যেখানে কোডের মাধ্যমে চুক্তির শর্তাবলী সংরক্ষিত থাকে। স্মার্ট কন্ট্রাক্টগুলো Blockchain-এ রেকর্ড করা থাকে এবং নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়।
Blockchain সিস্টেমে তথ্য এনক্রিপ্টেড থাকে, এবং প্রতিটি ট্রানজ্যাকশন ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে সুরক্ষিত হয়। প্রতিটি ব্যবহারকারী তাদের ব্যক্তিগত কী ব্যবহার করে তাদের ট্রানজ্যাকশন স্বাক্ষর করে, যা সুরক্ষিত এবং ভেরিফায়েবল।
Blockchain একটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নিরাপদ প্রযুক্তি যা ডেটা স্টোরেজ, ট্রানজ্যাকশন ম্যানেজমেন্ট, এবং চুক্তি পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে শুরু করে স্মার্ট কন্ট্রাক্ট এবং এন্টারপ্রাইজ সলিউশনে, Blockchain বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এর ক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে।
আরও দেখুন...