iOS কী এবং এর ইতিহাস

Mobile App Development - আইওএস ডেভেলপমেন্ট (iOS) - iOS এর পরিচিতি
567

iOS অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের তৈরি একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা প্রধানত আইফোন, আইপ্যাড এবং আইপড টাচ ডিভাইসের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি শক্তিশালী, ইউজার-ফ্রেন্ডলি এবং সিকিউর প্ল্যাটফর্ম, যা অ্যাপল ডিভাইসগুলোর জন্য নির্দিষ্টভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

iOS এর ইতিহাস:

iOS এর ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের মধ্য দিয়ে গেছে। নিচে এর প্রধান ইতিহাস এবং বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হলো:

উন্মোচন (২০০৭):

  • iOS প্রথমবারের মতো ২০০৭ সালে অ্যাপলের সিইও স্টিভ জবস ঘোষণা করেন। এটি প্রথমে "iPhone OS" নামে পরিচিত ছিল। মূলত আইফোন ১ম মডেলের সাথে এটি লঞ্চ করা হয়। এটি সেই সময়ে একটি বিপ্লবী অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এতে মাল্টি-টাচ ইন্টারফেস, ভার্চুয়াল কীবোর্ড এবং অ্যাপ স্টোরের মতো সুবিধা ছিল।

iPhone OS 1 (২০০৭):

  • প্রথম সংস্করণটি কেবলমাত্র আইফোনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল এবং এতে মূল অ্যাপ্লিকেশনগুলির (যেমন ফোন, মেইল, সাফারি, এবং মিউজিক) একটি সীমিত সেট ছিল।

iPhone OS 2 (২০০৮):

  • ২০০৮ সালে অ্যাপল অ্যাপ স্টোর চালু করে। এটি ডেভেলপারদের জন্য অ্যাপ তৈরি এবং বিতরণের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে থার্ড-পার্টি ডেভেলপাররা iOS অ্যাপ তৈরি করার সুযোগ পান, যা iOS ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

iPhone OS 3 (২০০৯):

  • এতে কপি এবং পেস্ট ফিচার, স্পটলাইট সার্চ এবং পুশ নোটিফিকেশন চালু করা হয়, যা ইউজার এক্সপেরিয়েন্স আরও উন্নত করে। এছাড়া, iPad-এর জন্য সাপোর্ট যুক্ত করা হয়।

iOS 4 (২০১০):

  • এই সংস্করণে "iPhone OS" নাম পরিবর্তন করে "iOS" রাখা হয়। iOS 4 মাল্টিটাস্কিং সুবিধা, হোমস্ক্রিনে ওয়ালপেপার সেট করার ক্ষমতা, এবং ফোল্ডার ব্যবহারের মতো নতুন ফিচার নিয়ে আসে।

iOS 5 (২০১১):

  • iOS 5-এ নোটিফিকেশন সেন্টার, আইমেসেজ, এবং আইক্লাউড সাপোর্ট যুক্ত করা হয়। এছাড়া, অ্যাপলের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট "Siri" এর প্রথম সংস্করণ এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

iOS 6 থেকে iOS 10 (২০১২-২০১৬):

  • এই সময়ের মধ্যে অ্যাপল একের পর এক নতুন ফিচার নিয়ে আসে, যেমন:
    • iOS 6: ম্যাপ অ্যাপ এবং ফেসবুক ইন্টিগ্রেশন।
    • iOS 7: সম্পূর্ণ ডিজাইন রিডিজাইন (ফ্ল্যাট ডিজাইন)।
    • iOS 8: হেলথ অ্যাপ, হোমকিট এবং আরও অনেক ডেভেলপার API।
    • iOS 9: পারফরম্যান্স উন্নতি এবং মাল্টিটাস্কিং ফিচার।
    • iOS 10: উন্নত মেসেজিং অ্যাপ এবং হোম অ্যাপ।

iOS 11 (২০১৭):

  • iPad-এর জন্য নতুন মাল্টিটাস্কিং ফিচার, নতুন ফাইল অ্যাপ এবং নতুন কাস্টমাইজেশন অপশন নিয়ে আসে। এছাড়া, ARKit-এর মাধ্যমে iOS প্ল্যাটফর্মে Augmented Reality (AR) যুক্ত করা হয়।

iOS 12 থেকে বর্তমান (২০১৮-বর্তমান):

  • iOS 12: পারফরম্যান্স উন্নতি এবং স্ক্রিন টাইম ফিচার যুক্ত করা হয়।
  • iOS 13: ডার্ক মোড এবং নতুন প্রাইভেসি সেটিংস।
  • iOS 14: হোমস্ক্রিন উইজেটস এবং অ্যাপ লাইব্রেরি।
  • iOS 15 এবং পরবর্তীতে: ভিডিও কলিং (ফেসটাইম), নোটিফিকেশন ব্যবস্থা, এবং মেসেজিংয়ে উল্লেখযোগ্য আপডেট।

iOS এর ইতিহাসে প্রতিটি আপডেট এবং সংস্করণই নতুন ফিচার এবং উন্নত ইউজার এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করেছে, যা iOS কে এক অন্যতম জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে গড়ে তুলেছে।

iOS এর বৈশিষ্ট্য:

  • ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস
  • উন্নত সিকিউরিটি ফিচার
  • অ্যাপ স্টোরের বিশাল অ্যাপ ইকোসিস্টেম
  • মাল্টি-টাচ সাপোর্ট এবং ইন্টুইটিভ জেসচার
  • Apple-এর ইকোসিস্টেমের সাথে গভীর ইন্টিগ্রেশন (যেমন, iCloud, Apple Pay, AirDrop)
Content added || updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...