পাঠ : ১
ছবি আঁকার নিয়ম
ষষ্ঠ শ্রেণিতে আমরা ছবি আঁকার সাধারণ নিয়মগুলো সম্পর্কে জেনেছি। আমরা জেনেছি যে, ছবি আঁকতে হলে বস্তু বা বিষয়ের আকৃতি, গড়ন, অনুপাত ইত্যাদি খেয়াল করে প্রথমে ড্রইং করে নিতে হয়। পৃথিবীর যাবতীয় বস্তুকেই তিনটি আকৃতিতে ফেলা যায়। সেগুলো হচ্ছে বৃত্ত, ত্রিভুজ এবং চতুর্ভূজ। কোনটি কোন প্রাকৃতিতে পড়বে তা ভালোভাবে বুঝে নিয়ে আকৃতি ঠিক করতে হয়। এ অধ্যারে আমরা ড্রইং করার পদ্ধতি জাকার-আকৃতি, অনুপাত ও পরিপ্রেক্ষিত এর ভূমিকা সম্পর্কে জানব। সেই সাথে ছবিতে কম্পোজিশন ও আলোহারার গুরুত্ব ও এর সঠিক প্রয়োগ বিষয়ে জানব।কোনো কতু বা বিষয়ের ছবিকে শুধু রেখা দিয়ে কাপড়ে বা ক্যানভাসে আঁকাকে দুইং বলে। এই দুইং পেনসিলে, কলমে, কাঠ কয়লায় বা তুলি দিয়ে করা হয়। বাস্তবে কোনো বস্তুর, জীবপুর ও গাছপালার গায়ে কোনো লেখা নেই। যে রেখা আমরা পাকি-দুকর জন্য তা হলো- মনে কর একটি কলসি। কলসিটি গোল-এর একটা আছে। কলসি বেশ খানিকটা জায়গা দখল করে অবস্থান করে। আমরা এই কলসিকে কাগজের সমতলভূমিতে করেকটি রেখা দিয়ে ফুটিয়ে তুলি। এই রেখা হলে আমাদের দৃষ্টির সীমারেখা। কলমটি সামনের দিকে অনেকখানি দেখার পর আর আমরা দেখি না। দৃষ্টি যেখানে আটকে যায় সেখানেই রেখাকে অনুমান করে নিই। এভাবে পাহাড়, নদীনালা, গাছপালা, জীবন, সালানকোঠা সবকিছুই আমরা এমনভাবে দেখতে অত্যন্ত বা আমাদের চোখ এভাবেই দেখতে বাধ্য করে। দৃষ্টি যেখানে আটকে যায় সেখানে কাল্পনিক রেখা দিয়ে কাগজের সমতলভূমিতে সবকিছুই ফুটিয়ে তুলি। ছবিকে পারও নিখুঁত ও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যা আলোছায়াকে ঠিকভাবে এঁকে।
রং, পালোয়া বা শুধু রেখা দিয়ে কাপলের সমতল ভূমিতে ছবি আঁকা হলেও বিষরগুলোর ওজন, পতন ও আ বুঝতে কষ্ট হয় না। অর্থাৎ কলসি যে গোল, এর ওজন আছে এবং খানিকটা জায়গা দখল করে থাকে, এসব সমতল কাপজে দেখা দিয়ে জা হলেও বুঝতে কষ্ট হ না। তাই নিখুঁত ছবি ফুটিয়ে তোলার জন্য ছবি আঁকার কয়েকটি অপরিহার্য বিষয় ও নিয়ম সম্পর্কে সচেতন হতে হয়। সেগুলো হলো-
আমাদের চারপাশে বেসব জিনিস রয়েছে- পাছপালা, জীববিদই নিজ আকার ও আকৃতি রয়েছে। কোনোটা গোলাকার, কোনোটা লম্বাটে, কোনোটা চারকোণা বা তিনকোণা ইত্যাদি। একটু ভালো করে করে দেখবে প্রশ্ন সব জিনিসই উপরে উি আকৃতির মধ্যে পড়ে। যেমন- ফুল, ফল, গাছ এসব গোলাকার। , বাড়ি, নৌকা ইত্যাদি চতুর্ভুজ ও ত্রিভুজের আকারে ফেলা যায়। পাখি প্রায় সবই ডিম্বাকৃতি (গোলাকারের ভিন্নরূপ।
ছবিতে 'অনুপাত ঠিকমতো ফুটিয়ে তুলতে না পারলে২। অনুপাত । ছবি আঁকার বিষয়ে অনুপাত' একটি অতি জরুরি বিষয়। অনুপাত ছাড়া ছবি নিখুঁত হয় না। যেমন- একটি কলস শরীরের তুলনায় কলসের মুখ ও ঘাড়ের একটা নির্দিষ্ট মাপ আছে। শরীরের তুলনায় মুখ ও ঘাড় কতটুকু ছোট-বড় হবে তা ভালোভাবে দেখে ঠিক করে নিতে হবে। একজন মানুষের শরীরের তুলনায় তার হাত, পা, চোখ, কান ইত্যাদি কী মাপের হবে তা সুনির্দিষ্ট করে আঁকতে হবে। আবার একটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবিতে অনেক গাছপালা, জীবজন্তু ও জিনিসপত্র থাকে। তাদের প্রত্যেকেরই একটি নিজস্ব বিশেষ আকৃতি ও মাপ রয়েছে। তুলনামুলকভাবে কোনটি বড় হবে, কোনটি ছোট হবে তা ভালোভাবে লক্ষ করে ছবিতে সাজাতে হবে।
পাঠ : ২
পরিপ্রেক্ষিত : বাস্তবধর্মী ছবি আঁকার জন্য পরিপ্রেক্ষিত প্রয়োজন। পরিপ্রেক্ষিত ঠিকমতো ছবিতে উপস্থাপন করতে না পারলে বা ফুটিয়ে তুলতে না পারলে সে ছবি সত্যিকারের বাস্তব ছবি হয়ে ওঠে না। আমাদের চোখ, সে চোখে দেখা, দেখার নানারকম ভঙ্গি, এ সবের উপরই পরিপ্রেক্ষিত নির্ভর করে। যেমন- একটি কাচের গ্লাস মেঝেতে রেখে তুমি তা কলস বা গোলাকার কোনো বস্তু ড্রইং করার সহজ নিয়ম দেখছ। তুমি একটি নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে থেকে কাচের গ্লাসটি ধীরে ধীরে কয়েকটি পর্যায়ে উপরের দিকে তুলে ভালো করে দেখ। যখন যেমন- দেখছ, প্রত্যেকটি পর্যায়ের অবস্থানের হুবহু ছবি আঁক। এক পর্যায়ে গ্রামের উপরিভাগে তোমার চোখের সমান্তরালে অবস্থান করে ছবি আঁক। এবার প্লাসের সবগুলো অবস্থানের ছবি মিলিয়ে লেখ। তোমার দেখার ভঙ্গির জন্য একই গ্লাসের কত রকম রূপ হয়েছে।
একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে তোমার পড়ার টেবিলে একটি বই রেখে ভালোভাবে দেখ— বইয়ের অবস্থান কীভাবে রয়েছে। এবার দেখে দেখে বইটির ছবি আঁক। একই বইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন অবস্থানে রেখে আঁক। এবার সবগুলো ছবি মিশিয়ে দেখ একই বইয়ের কত রকম রূপ হয়।
আগের বইটির সমান আকারে আরও দুটো বই সামনে-পেছনে করে সাজিয়ে একই নির্দিষ্ট স্থান থেকে ভালোভাবেলক্ষ কর। সামনের বই বড় বড় মনে হবে, পরেরটি মনে হবে আরও ছোট আরও দূরে যে বই সেটি মনে হবে আরও ছোট। অর্থাৎ যতই দূরে যাচ্ছে ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। এই একই মাপের বই অথচ এটা কেন হচ্ছে। কারণ আমরা এভাবেই দেখতে অভ্যস্ত। চোখ আমাদেরকে এভাবেই দেখতে বাধ্য করে।
তোমার ঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাও। খেলার মাঠ, বাজার, গাছপালা, রাস্তা, মানুষ এমনি অনেক কিছুই
একসঙ্গে চোখে পড়বে। অথচ জানালার মাপ কত? বড়জোড় চারফুট লম্বা ও তিনফুট চওড়া।
রেললাইন ভালো করে লক্ষ করে দেখ। কাঠের স্লিপারের উপর দিয়ে লোহার দুটো লাইন দূর-দূরান্ত পর্যন্ত চলে গিয়েছে। লাইন দুটো পাশাপাশি সমান ত্বে রেখে কসানো হয়েছে। কোথাও এক ইঞ্চি এদিক-সেদিক হওয়ার উপায় নেই। পার সামান্যতম ব্যতিক্রম হলে ট্রেন চলবেই না। এমনি এক রেললাইনে দাঁড়িয়ে তুমি সামনের দিকে তাকাও।রেললাইন সোজা পথে যেখানে অনেক দূর চলে গিয়েছে সেরকম জায়গা দেখে দাঁড়াবে। যেখানে রেললাইন বাঁকে ঘুরেছে- সেখানে নয়। লেখবে পাশাপাশি লোহার সাইন দুটো ধীরে ধীরে এক বিন্দুতে গিয়ে শেষ হয়েছে। রেললাইনের পাশে যে টেলিগ্রাফের তারের থামগুলো পরপর রয়েছে সেগুলোও একই সমান্তরাল রেখায় একই বিন্দুতে এসে মিশে যাবে। মাথার উপরে আকাশ ও মাঠ-ঘাট, গাছপালা সবই দেখবে তোমার চোখের সমান্তরাল রেখায় আগের সেই বিন্দুতে এসে মিশে যাচ্ছে। অর্থাৎ তোমার দেখার সীমানা এই বিন্দুতে শেষ হয়েছে যে বিন্দু তোমার চোখের সমান্তরাল রেখায়। এই বিন্দুকে ইংরেজিতে বলে 'ভ্যানিশিং পয়েন্ট। চোখের সমান্তরাল রেখাকে বলে 'হরাইজন লাইন'। বাংলায় বলা যায় "দিগন্ত রেখা'। দিগন্ত রেখা খোলা মাঠে ব বড় নদী ও সাগর তীরে দাঁড়ালে আরও পরিষ্কার বুঝবে।পরিপ্রেক্ষিত শুধু আকার আকৃতির ছোট-বড়, সামনে-পিছনে ৩ দূরত্ব বুঝাবার জন্য যেমন প্রয়োজন তেমনি র আলোছায়ার ক্ষেরেও আবশ্যক। ছবিতে সামনের দিকে রং যত উজ্জ্বল ও প্রখর হবে। যতই দূরে যাবে রং ধীরে ধীরে স্নান হয়ে যাবে। যেমন, সামনের গাছের পাতা যত সবুজ হবে, রোগ ও জালোছায়ার প্রকাশ যতখানি প্রখর হবে, একশো গজ দূরে একই ধরনের গহ আকারে যেমন যেটি হয়ে যাবে তেমনি সবুজ রং অনেক হালকা ও নীলের আভা মেশানো হবে। আলোছায়া ও রোলের প্রখরতাও অনেক কমে আসবে। রং কতটুকু স্নান হবে যা হালকা হবে তা সঠিকভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তোলাই হলো পরিপ্রেক্ষিত। ছবিতে পরিপ্রেক্ষিত ঠিক বলেই দুই গাছের দূরত্ব যে একশ গজ তা সহজেই ফুটে উঠবে। পরিপ্রেক্ষিত ঠিকমতো প্রকাশ করতে না পারলে ছবি প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
কম্পোজিশন
কম্পোজিশন ইংরেজি শব্দ। বাংলা অর্থ- রচনা। মন কর গরু নিয়ে রচনা লেখা হবে। গরুর সাক্ষম শরিয় যাতে সঠিকভাবে প্রকাশ পায়, সেভাবে ভাষা দিয়ে তুমি রচনা তৈরি করলে। ছবির ক্ষেত্রেও 'রচনা' বা কম্পোজিশন অনেকটাই ভাই। মনে কর, এই পর ছবি আঁকতে গিয়ে কম্পোজিশন তোমার কাগজের থাকার অনুযায়ী পন্থ কত বড় করবে-পরুকে কাগজের ঠিক মাঝখানে রাখবে না ডান পাশে বা বাম পাশে উপরের দিকে বা নিচের দিকে অর্থাৎ কত বড়করে থাকলে ও কাগজের কতটুকু জায়গা নিয়ে পঙ্গুর ছবিটা সাজালে ছবি দেখতে সুন্দর হবে- তা ঠিকমতো করাই হলো ছবি কম্পোজিশন। ছবির কম্পোজিশন ঠিক করার সময় ছবির বিষয়ে যেসব মানুষ, জীবজন্তু বা অন্যান্য জিনিস থাকে তার আকার-আকৃতি, রং, আলোছায়া এসব মনে রেখে বিষরটি যাতে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় সেই ভাবে সাজাতে হবে এবং ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে ঠিক করে নিতে হবে। ভাই, যে বিষয়ে ছবি আঁকা হবে তার জন্য গত তিন রকম বা চার রকম কম্পোজিশন ছোট কাগজে এঁকে সবগুলো পাশাপাশি রেখে ঠিক করতে হয় কোনটি আঁকলে বেশি সুন্দর হবে। সবদিক বিকেনা করে যে কম্পোজিশনটি ভালো হবে বলে মনে হয় সেটিই বড় করে মূল ছবি আঁকতে হবে।ছবি জাঁকায় জাগোছায়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ছবিতে ভালোছায়াকে সঠিকভাবে রূপ দিতে না পারলে অর্থহীন হয়ে পড়ে। আকর্ষণীয় হয় না। আমরা আমি সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, পশ্চিম দিকে পশু যার। সুতরাং প্রাকৃতিক দৃশ্য আঁকার সময় লক্ষ রাখতে হবে সূর্যের অবস্থান আকাশে কোন জায়গায়। যে দৃশ্য আঁকা হবে তাতে রোদ কেমনভাবে পড়ছে। দৃশ্যে ान, জীব ও অন্যান্য জিনিসের উপর রোদের অকশান এবং তাদের যারা মাটিতে কীভাবে পড়েছে ভালোভাবে লক্ষ করতে হবে। ঘরের ভেতরে ও ছায়ায় বেসব বিষয়ের ছবি তাতেও আলোছায়া থাকে। কোনো স্থির জীবন, মানুষ বা ফুলদানিসহ কূল, এ ধরনের বিষয় ঘরে বসে আঁকা হয়। দরজা-জানালা বা অন্য কোনোভাবে ভালো এসে এদের উপর পড়বে। আলো কীভাবে এসে পড়ছে- তারপর ধীরে ধীরে হালকা থেকে গাঢ় হয়ে ছায়া পরে।আলোছায়ার যে তারতম্য ঘটে তা বিশদভাবে খেয়াল রেখে থাকতে হয়। ছবিতে আলোহায়াকে মোটামুটি তিনভাগে ভাগ করা যায়।
১। খুব বেশি আলো
২। মাঝামাঝি জানো ও ছায়া
৩। হালকা ছায়া ও গাঢ়
রঙের জন্য আলোছারাতেও তারতম্য ঘটে। একই ছবিতে পাশাপাশি বলি লাল, নীল, সালা ও কালো রঙের কিছু থাকে এবং তাতে যে আলো ও ছায়া পড়ে তা বিভিন্ন রং হওয়াতে তারতম্য ঘটে বা নানারকম আলোছায়া হয়। প্রতিটি রঙের আলোছায়ার এ তারতম্য ভালোভাবে লক্ষ করে সঠিকভাবে আঁকতে হয়। পূর্বের পৃষ্ঠার আলোছায়ার কিছু উদাহরণ দেওয়া আছে। ভালো করে লক্ষ করলে বিবরটি বুঝতে সহজ হবে।
রং ছবির প্রাণ বলতে বুঝার রং। যে বিবরে ছবি আঁকা হবে তার রং খুব ভালোভাবে লক্ষ করে তারপর আঁকতে হয়। লাল রং হলে লাল লাগিয়ে দিলেই হয় না। আলোছায়ার জন্য এবং পাপপাশের অন্যান্য রঙের পাতার নানান প্রতিফলনে রঙের অনেক পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন ও তারতম্য ভালোভাবে বুঝে নিয়ে লাল রং লাগতে হবে। আমরা কথায় কথায় বলি আমাদের প্রকৃতি বা গাছপালা সবুজ, উজ্জ্বল সবুজ, হলুদ আতাযুক্ত সবুজ, লাল, নীল মেশানো সবুজ, সবুজের মাঝে আছে আরও নানা রকম রং। সুতরাং গাছ এঁকে সবুজ লাগালেই ঠিক রং করা হলো না। যে ধরনের সবুজ সেই সবুজই লাগতে হবে। তা না হলে ছবি প্রণহীন মনে হবে। রঙের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ছবি আঁকার জন্য কোন কোন রং ব্যবহার করা যায় তার পরিচিতি আগেই দেওয়া হয়েছে। যে রং দিয়ে ছবি আঁকা হবে সে রঙের ব্যবহার নিয়ম কয়েকদিন অভ্যাস করে রঙ করে নিতে হয়। রঙের ব্যবহার যথাযথ না হলে ছবি নষ্ট হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে।
কাপড়, কাগজের ছবি এবং কাঠ ও ফেলনা জিনিসের ভাস্কর্য রং-তুলি নিয়ে ছবি না এঁকেও ছবি তৈরি করা যায়। যারা রং ও তুলি যোগাড় করতে পারছ না- সুঃখ করার কিছু নেই। এক রঙা কাপল-ফলুন, নীল, লাল, সবুজ প্রকৃতি রঙের কাগজ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। দেশি-বিদেশি পুরোনো পত্রপত্রিকা সহ করে রঙিন কাগজ ও পত্রপত্রিকার কাপ ফেটে ছিঁড়ে অন্য একটি কাগজে আঠা নিয়ে লাগিয়ে যার যার ইচ্ছেমতো ছবি সহজেই তৈরি করা যায়। যে কাগজে ছবি তৈরি করবে- সে কাগজটি একটু মোটা হলে ভালো হয়। এভাবে ছবি তৈরি করার জন্য একটা ছোট কাঁচি, ব্লেড, আঠা ও কিছুরঙিন কাগজ প্রয়োজন। তা হলেই বে কেউ ছবি তৈরি করতে পারবে। একইভাবে রঙিন টুকরো কাপড় দিয়েও ছবি তৈরি করা সম্ভব। টুকরো কাপড় যোগাড় করা মোটেই কঠিন নয়। দর্জির দোকানে গেলে প্রচুর কাপড় সব করতে পারবে।
ফেলনা জিনিস- কান, কাঠ, কাপড়, চীনামাটির হাঁড়িপাতিলের ভাঙা টুকরা ইত্যাদি দিয়ে অনেক রকমের ছবি ও ভাস্কর । এভাবে রং-বেরঙের কাপড় ছিঁড়ে ৩ কেটে কোলাজ ছবি করা হয়।
কাগজ কেটে ছবি কর বা টুকরো কাপড় দিয়েই ছবি বানাও যে ছবি বানাবে তা পেনসিলে হালকা রেখা দিয়ে মোটা কাগজটিতে ড্রইং করে নিলে ছবি তৈরি করতে সুবিধা হয়। কাটা কাপড় ও কাগন সঁাঁটা ছবিতে প্রয়োজনমতো রং দিয়ে এঁকেও ছবি করতে পার। অনেক বড় বড় শিল্পী কাগজ, কাপড় সেঁটে ও কিছু এঁকে এরকম ছবি তৈরি করেছেন। এ ধরনের ছবিকে বলা হয় 'কোলাজ' ছবি।
কাঠের টুকরা ছোট বড় নানা আকৃতির কাঠের টুকরা পাওয়া যেতে পারে। কাঠমিস্ত্রিরা যেখানে কাজ করে সেখানেই অনেক টুকরা কাঠ মিশে যাবে। এসব কাঠের টুকরা একটির সাথে আরেকটি জোড়া লাগিয়ে নানা রকমভাবে লাজিরে দেখ ছোট ভাস্কর্য তৈরি হয়ে যাবে। কখনো কখনো হাতি, ঘোড়া বা মানুষের আকৃতি দেয়া যায় এভাবে। ছবির উদাহরণগুলো দেখ।
টুকরা কাঠ জোড়া লাগিয়ে নানা রকম ছোটখাটো ভাস্কর্য তৈরি করা যায়।
গাছের ডাল । একটু ভালোভাবে লক্ষ করলে নানা আকৃতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। সেগুলোকে একটু কেটে হেঁটে নিজেই ছোট ভাস্কর্য তৈরি হয়ে গেল। এভাবে ছোটবড় মুড়ি পাকর খুঁজে এক-আধটু এঁকে এবং দু-চারটি জোড়া লাগিয়ে ভাস্কর্য করা যায়। লোহার ভারে কাপড় পেঁচিয়ে এবং একটু মোটা তার হাত দিয়ে বাঁকিয়ে অনেক রকম ভাস্কর্য করা যা
সাধারণভাবে জাকার উপকরণ- পেনসিল, কালি, কলম, জাং, পোস্টার রং প্যাস্টেল, রংপেনসিল, কাঠকয়লা, ক্রেন, মার্কিং কলম, বিভিন্ন ভুলি, তেলরং, কাগজ ও ক্যানভাস। এ ছাড়াও ইচ্ছেল, টেবিল, হার্ডবোর্ড, ক্লিপ, ছুরি, কাঁচি, ব্রেড,আঠা, তিসির তেল, তারপিন তেল এমনি আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হয় ছবি আঁকার জন্য। সব উপকরণই একসাথে যোগাড় করার প্রয়োজন হয় না। যে মাধ্যমে ছবি আঁকা হবে সেই মাধ্যমেই উপকরণগুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে। এখানে কয়েকটি মাধ্যমের বর্ণনা ও উপকরণের বিবরণ দেওয়া হলো।
কাগজ
এক সময় আমাদের দেশে ঢাকা শহর ও তার আশপাশে ছবি আঁকার উপযোগী কাগজ হাতে তৈরি হতো। হাতে তৈরি কাগজকে ইংরেজিতে বলে 'হ্যান্ডমেড' পেপার। প্রায় ২৫/৩০ বছর ধরে এ কাগজ আমাদের দেশে তৈরি হচ্ছে না। তবে আমাদের আশপাশের অনেক দেশেই হ্যান্ডমেড কাগজ তৈরি হচ্ছে। যেমন-ভারত, নেপাল ও মিয়ানমারে। হ্যান্ডমেড কাগজ জলরঙে ছবি আঁকার জন্য সবচেয়ে উপযোগী কাগজ। বাংলাদেশে ছবি আঁকার জন্য যে কাগজ সহজলভ্য তা হলো কার্ট্রিজ কাগজ। কার্ট্রিজ পাতলা ও মোটা দুই-তিন রকম হয়ে থাকে। বেশি মোটা ও খসখসে কান্ট্রিজে জলরঙে ছবি আঁকা যায়। বেশি মসৃণ কাগজে জলরং ছবি ভালো হয় না। ছবি আঁকার জন্য বিদেশের তৈরি অনেক রকম কাগজই পাওয়া যায়।
ছবি আঁকার বোর্ড, ক্লিপ ও ইজেল
ছবি আঁকার কাগজ রাখার জন্য প্লাইউডের তৈরি বা হার্ডবোর্ডের তৈরি একটি বা দুটি বোর্ড প্রয়োজন। আমাদের দেশে হার্ডবোর্ড তৈরি হয় তাই এটি সহজলভ্য। প্রয়োজনমতো মাপের একটি হার্ডবোর্ডের টুকরা করাত দিয়ে কেটে তার কিনারা . শিরীষ কাগজে ঘষে মসৃণ করে নিলে ছবি আঁকার বোর্ড তৈরি হয়ে গেল। সাধারণত বোর্ড ৪৫x৬০ সেমি. মাপের হলেই ভালো হয়। সম্ভব হলে বড় ছবি আঁকার জন্য আরও বড় বোর্ড তৈরি করে রাখতে পার। জলরং, পোস্টার রং, পেনসিল, কালি-কলম, কেমন, প্যাস্টেল এসব মাধ্যমে ছবি আঁকা হয় কাগজে এবং এই কাগজ বোর্ড ক্লিপ দিয়ে ভালোভাবে আটকিয়ে নিতে হয়। আটকানোর জন্য দুটো থেকে চারটি ক্লিপ অবশ্যই প্রয়োজন।
ইজেল
ইজেল হলো ছবি আঁকার স্ট্যান্ড। ছবি আঁকার বোর্ড ইজেলে রেখে ছবি আঁকতে হয়। জলরং, কালি-কলম, পেনসিল এসব মাধ্যমে ছবি আঁকতে অনেক সময় টেবিলে রেখে, হাতে রেখে বা মেঝেতে রেখে ছবি আঁকা যায়। ইজেলের খুব প্রয়োজন হয় না। কিন্তু তেলরঙে আঁকতে গেলে ইজেল অবশ্যই প্রয়োজন। ইজেল কাঠ এবং অ্যালুমিনিয়ামের হয়ে থাকে।
পাঠ ৮,৯,১০
ছবি আঁকার বিভিন্ন মাধ্যম
বিভিন্ন মাধ্যমেই আমরা ছবি আঁকতে পারি। যেমন-পেনসিল, প্যাস্টেল, কালি-কলম, জলরং, তেলরং, পোস্টার রং ইত্যাদি ৷
সাদা-কালো ছবি
পেনসিল : কাঠ পেনসিলের গায়ে লেখা থাকে HB, 1B বা B, 2B, 3B, 4B 6B HB হলো মোটামুটি শক্ত শীর্ষ পেনসিল। সাদা কাগজে হালকা ও শক্ত দাগ হয়। 2B-1B এর চেয়ে নরম ও দাগ কাটলে বেশি কালো হয়। এভাবে 3B আরও নরম এবং কালো। 4B-3B এর চেয়ে নরম ও কালো এবং 6B সবচেয়ে নরম ও কাগজে সবচেয়ে কালো গভীর দাগ কাটে। শুধু এই পেনসিলগুলো দিয়েই সাদা কাগজে সুন্দর সাদা-কালো ছবি হতে পারে। পেনসিলকে নানাদিক থেকে ঘষে বা ছোট রেখা ও লাইন টেনে আলোছায়ার অনেক রূপ ও পরিবর্তন ফুটিয়ে তোলা যায়।কালি-কলম : 'চাইনিজ ইফ' বলি আমরা একদম কালো কানিকে। সম্ভবত চীন দেশের লোকেরা এই কাশি প্রথম ব্যবহার করে। প্রথম ব্যবহারের কথা সঠিকভাবে বলা না গেলেও চীনা প্রাচীন ছবি থেকে শুরু করে বর্তমানকালের ছবি দেখলে বুঝা যায় কালো কালি ব্যবহারের প্রাধান্য তাদের ছবিতে খুব বেশি। কালো কালি ও সাধারণ নিরে কলম দিয়ে সুন্দর ছবি থাকা যায়। তাই এই ছবি হয় সম্পূর্ণ রেখা- প্রধান। নিবের কলমের মতো ড্রইং-কলম বা ড্রইং-নিৰ কিনতে পাওয়া যায়। নিজেরাও কলম বানিয়ে নিতে পর। বাঁশের সরু কঞ্চি বা খালের সন্তু গাছ কেটে তা দিয়ে সুন্দর কলম বানানো যায়। আমাদের দেশের বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদিন তাঁর অনেক ছবি এঁকেছেন এই খাগের কলম ও কালো কালি দিয়ে।
কালো ছবি আঁকা যায় আরো কিছু মাধ্যমে। যেমন- কাঠকয়লা (চারকোল), ক্রেয়ন ও কালো রঙের মার্কিং কলমে। তোমাদের বাড়ির সাধারণ কাঠকয়লা দিয়ে আঁকার চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এ কাঠকয়লা ছবি আঁকার জন্য খুব উপযোগী নয়। ছবি আঁকার জন্য এরকম নরম ও সরু কাঠি নিয়ে করলা তৈরি হয়ে থাকে এগুলোকে চারকোল বলে। কাগজ, রং ও পেনসিলের দোকানে খোঁজ করলে পেয়ে যাবে। কাঠকয়লা দিয়েও কখনো ঘবে, কখনো রেখা টেনে ছবি তৈরি করা যেতে পারে। তবে কাঠকয়লা বা চারকোণ দিয়ে আঁকা ছবিকে স্থায়ী করার জন্য একরকম তরল পদার্থ ছি উপর স্প্রে করে দিলে কয়লার গুঁড়ো পড়ে যায় না। ফিল্যাটি (Fixative) নামে এই তরল পদার্থ রঙের দোকানে খোঁজ করলে পাওয়া যাবে। মোমের মতো কালো ও মেটে রঙের এক ধরনের ছোট কাঠিরং পাওয়া যায়। তাকেই ক্রেনে বলে। ক্রেয়ন দিয়ে ধরে মৰে সুন্দর সাদা-কালো ছবি আঁকা যায়। মার্কিং কলম, কালোরং ও অনেক রঙের হয়ে থাকে। কালো মার্কিং কম সিগনেচার কলম দিয়ে রেখার পর রেখা টেনে সাদা-কালো ছবি আঁকা যায়। আয়াত অনেক মাধ্যমে সাদা-কালো ছবি তৈরি হতে পারে। যেমন-শুধু কালো রং দিয়ে, জলরং মাধ্যমে এবং কালো ও সাদা পোস্টার রং দিয়ে।
ছবি আঁকার রং
বিভিন্ন রঙে ছবি আঁকা যায়। ছবি আঁকার মাধ্যম রং সম্পর্কে প্রথমেই আমরা একটু জেনে নিই। হলুদ, লাল ও নীল এই তিনটিই হচ্ছে প্রাথমিক রং। হলুদ ও লাল মিশিয়ে হয় কমলা রং লাল ও নীল মিশিয়ে হয় বেগুনি, নীল ও হলুদ মিশিয়ে হয় সবুজ। সুতরাং কমলা, বেগুনি ও সবুজ রঙকে বলতে পারি মাধ্যমিক রং। মাধ্যমিক রঙের মতো প্রাথমিক রঙের তিনটি রঙকে পরিমাণের তারতম্য মটিয়ে প্রয়োজনমতো অন্যান্য রং তৈরি করা যায় যেমন- উজ্জ্বল সবুজ রং পেতে হলে হলুদেরভাগ বেশি এবং নীলের ভাগ কম মেশালে তা পাওয়া যাবে। খয়েরি রং তৈরি করার জন্যে লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটি রঙের তারতম্য ঘটিয়ে মেশাতে হবে। প্রাথমিক রং থেকে একদম কালো রং তৈরি করা সম্ভব না হলেও কাছাকাছি গাঢ় রং তৈরি করা যায়। তবে প্রাথমিক রং হলুদ, লাল ও নীল এই তিনটি রং দিয়ে মোটামুটি একটি রঙিন ছবি আঁকা সম্ভব।
জলরং : পানি মিশিয়ে যে রং দিয়ে ছবি আঁকা হয় এবং যে রং স্বচ্ছ তাকেই জলরং বলা হয়। পানি মিশিয়ে অবচ্ছ রং দিয়েও ছবি আঁকা হয় কিন্তু সেগুলোকে জলরং বলা হয় না। স্বচ্ছ রংকেই জলরং বলা হয়। স্বচ্ছ রং হলো একটি রং লাগাবার পর তার উপর আরেকটি রঙের প্রলেপ পড়লে নিচের রংটি হারিয়ে যায় না। আগের রং ও পরের রং দুটোরই অস্তিত্ব অনুভব পাওয়া যায়। বাক্সের ভেতরে চারকোণা 'কেক' হিসেবেও পাওয়া যায়। ট্যাবলেট হিসেবেও এই রং তৈরি হয়ে থাকে। রঙের দোকানে যে পাউডার রং পাওয়া যায় তা পানি দিয়ে গুলিয়ে ছবি আঁকার জন্য জলরং হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ফটো রং করার জন্য একরকম রঙিন কাগজ পানি দিয়ে ভিজিয়ে জলরং হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ রং কাচের শিশিতেও পাওয়া যায়। ড্রইং কালি হিসেবে বিভিন্ন রঙের কালি কাচের শিশিতে পাওয়া যায়। এ রং দিয়েও জলরঙের ছবি আঁকা যায়। দোকানে কাচের শিশিতে পোস্টার রং পাওয়া যায়। এ রং অবশ্য অস্বচ্ছ রং। তবে জলরঙের মতো করে ছবি আঁকার জন্য এ রং ব্যবহার করা যায়। জলরঙে সাধারণত সাদা রং ব্যবহার করা হয় না এবং তুলি রং নিয়ে কাগজে বেশি ঘষাঘষি করা যায় না। দুটি বা তিনটি প্রলেপে (ওয়াশে) ছবি আঁকতে পারলে ছবি সুন্দর হয়।
পোস্টার রং: পোস্টার রং অস্বচ্ছ জলরং। অবচ্ছ জলরং হলো একটি রঙের উপর অন্য রঙের প্রলেপ দিলে আগের রটি সম্পূর্ণ ঢেকে যায়। আগের রঙের অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। পোস্টার রঙের মতোই আরেকটি মাধ্যম রয়েছে 'টেম্পারা' নামে। টেম্পারা রঙে ছবি আঁকার সময় বিভিন্ন রঙের সঙ্গে সাদা রং মিশিয়ে রংকে হালকা করা যায়। জলরঙের সাথে সাদা রং মেশালে রঙের স্বচ্ছতা থাকে না। পোস্টার ও টেম্পারা রং এক রং দিয়ে আরেক রথকে সহজেই ঢেকে দেওয়া যায়। যতবার রং দরকার লাগনো যায়।
পাউডার রঙের সাথে সাদা রঙের আঠা বা এরাবিক গাম মিশিয়ে এই পদ্ধতিতে ছবি আঁকা যায়। পাউডারের সাথে ডিমের কুসুম মিশিয়ে রঙিন ছবি আঁকা যায়। রং তরল করার প্রয়োজনে ডিমের কুসুমের সাথে পানি মেশাতে হয়। এই পদ্ধতির নাম 'এগ টেম্পারা'। এগ টেম্পারায় কাগজে যেমন ছবি আঁকা যায় তেমনি কাপড়ে কাঠে ও হার্ডবোর্ডের উপরও আঁকা যায়। প্রাচীনকালে মিনিয়েচার ছবি (ক্ষুদ্র ছবি) এই পদ্ধতিতে আঁকা হতো। এই পদ্ধতিতে আমাদের দেশের অনেক শিল্পীই ছবি এঁকেছেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত ছবি 'সংগ্রাম' এই পদ্ধতিতে আঁকা।
জলরং, পোস্টার রং, টেম্পারা ইত্যাদি মাধ্যমগুলো সাধারণত কাগজে আঁকতে হয় এবং এগুলোই কাগজে ছবি আঁকার প্রধান কয়েকটি মাধ্যম। আরও কিছু মাধ্যম রয়েছে যেমন- রঙিন মার্কিং কলম, চক ও মোমপ্যাস্টেল, রঙিন পেনসিল ইত্যাদি।
রঙিন মার্কিং কলম : বিভিন্ন রঙের মোটা ও সরু মার্কিং কলম পাওয়া যায় ছবি আঁকার জন্য। এগুলো কাগজে ঘষে লাইন টেনে সুন্দর রঙিন ছবি তৈরি করা সম্ভব। প্যাস্টেলে ছবি আঁকার কাগজ একটু খসখসে হলে ভালো হয়।
তেলরং : তেলরং সাধারণত টিউবে বা কৌটায় নরম পেস্টের আকারে পাওয়া যায়। তিসি তেল ও তারপিন মিশিয়ে এ রং ব্যবহার করতে হয়। এ রঙে ছবি সাধারণত ক্যানভাসে, হার্ডবোর্ডে, কাঠে আঁকা হয়ে থাকে। তবে বিশেষ ধরনের কাগজেও আঁকা যায়। ছবি আঁকার ক্যানভাস হলো একটু মোটা সুতায় ঘন বুননের কাপড়। রঙের দোকানে রঙিন অক্সাইড পাউডার হিসেবে পাওয়া যায়। তার সাথে তিসি তেল ও তারপিন মিশিয়ে তেলরং তৈরি করা যায়। তেলরঙের ছবি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। যুগ যুগ ধরে এ মাধ্যমের ছবি টিকিয়ে রাখা যায়। দেশ বিদেশের গ্যালারিতে (চিত্রশালা) কয়েক হাজার বছরের পুরোনো ছবি এখনো অক্ষত অবস্থায় টিকে আছে।
আরও দেখুন...