ওহমের সূত্র

এসএসসি(ভোকেশনাল) - জেনারেল মেকানিক্স- ২ - প্রথম পত্র | NCTB BOOK

কোনো পরিবাহীর দুই প্রানের মধ্যে ভোল্টেজ পার্থক্য থাকলে তার মধ্য দিে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে। এই কারেন্ট প্রবাহের পরিমাণ নির্ভর করে পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য, পরিবাহীর আকৃতি ও উপাদান এবং পরিবাহীর তাপমাত্রার উপর। একটি পরিবাহীর তাপমাত্রার স্থির থাকলে, তার মধ্য দিয়ে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয় তা এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এবং রেজিস্ট্যান্স-এর উপর নির্ভর করে।

এই সম্পর্কে জর্জ সাইমন ওহম ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে একটি সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা তার নামানুসারে ওহমের সুত্র নামে পরিচিত। সার্কিটের ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স-এর মান নির্ণয় করার জন্য ওহমের সুত্র ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তা ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক এবং রেজিস্ট্যান্স-এর ব্যস্তানুপাতিক বা উল্টানুগাতিক।

১.৫.১ ওহমের সূত্রের গাণিতিক ব্যাখ্যা

মনে করি, AB পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব যথাক্রমে VA Vg । পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স R এবং এর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য = VA∼VB=V ওহমের সূত্রানুসারে

I ∝ V…… (i)

I 1R...  (ii)

 রোধ ও পরিবাহিতার মধ্যে সম্পর্ক:

কোন পরিবাহকের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ১ ভোট হলে যদি তার মধ্য দিয়ে ১ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহ প্রবাহিত হয় তবে ঐ পরিবাহীর রোধকে ১ ওহম বলে। রোধের বিপরীত রাশি হলো পরিবাহিতা।

নির্দিষ্ট উষ্ণতায় যেকোনো পরিবাহীর রোধ এর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক এবং গ্রন্থচ্ছেদের ব্যস্তানুপাতিক। অভিপরিবাহী (সুপার কন্ডাক্টর) ছাড়া সব পরিবাহীরই কিছু না কিছু রোধ আছে, তা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। কোনো একটি বস্তুর রোধ দুইটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। একটি উপাদান অন্যটি আকার।

প্যারালাল বর্তনী (Parallel Curcuit):

যখন কোনো বর্তনীতে সবগুলো রোধের প্রথম প্রান্ত একটি মাত্র সাধারণ বিন্দুতে এবং অপরপ্রান্ত অপর একটি মাত্র সাধারণ বিন্দুতে যুক্ত থাকে তখন সে বর্তনীকে বলা হয় সমান্তরাল বর্তনী। সমান্তরাল বর্তনীতে ভার প্রত্যেক উপাদানের বিষৰ পার্থক্য একই থাকে।

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion

Promotion